ইনসাফের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনার আহ্বান
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন না করে নির্বাচন দেওয়া হলে তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে এবং জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে না। এমন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না; বরং তা দখল, চাঁদাবাজি ও কালোটাকার প্রভাবের মাধ্যমে প্রহসনে পরিণত হবে। তিনি বলেন, “এই ধরনের নির্বাচনের জন্য আমরা আন্দোলন করিনি। আমাদের লক্ষ্য ইসলামের সাম্য ও মানবিক মর্যাদার ভিত্তিতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।”
শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ইসলামী আন্দোলনের জেলা ও মহানগর কমিটির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দলের জেলা সভাপতি দীন ইসলাম। এছাড়া বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন সাকী এবং মহানগর কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ।
সম্মেলনে সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, “দল ও নেতার চেহারা বদল হলেও চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। চুরি-ঘুষসহ দুর্নীতির রূপান্তর ঘটেনি। আমরা শুধু নেতার পরিবর্তন চাই না; আমরা নীতির পরিবর্তন চাই।”
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বলেন, “ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়ানোর চেষ্টা করবেন না। এটা ভুল হবে। বরং সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন। সিন্ডিকেট ভাঙতে পারলে দ্রব্যমূল্যের দাম এমনিতেই কমে আসবে। চুরি ও ঘুষ বন্ধ করতে পারলে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “দেশ পরিচালনায় শক্ত হাতে ইনসাফ নিশ্চিত করতে হবে। যদি জুলুম চালানোর চেষ্টা করা হয়, তবে দেশের মানুষ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে। এনজিও কায়দায় দেশ চালালে তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না।”
বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রশ্ন তুলে ফয়জুল করীম বলেন, “সরকারের ইশারায় পরিচালিত বিচার আমরা চাই না। আমরা একটি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা চাই, যেখানে কেউ অন্যায়ভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না।”
তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি সমাজ গড়ে তুলতে চাই, যেখানে মুসলমানেরা তাদের ধর্ম পালন করবে এবং হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানরাও নির্বিঘ্নে তাদের ধর্মীয় কাজ সম্পাদন করতে পারবে। দেশের স্বার্থ রক্ষায় জাতি ঐক্যবদ্ধ হলে কোনো শক্তিই আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না।”
ফয়জুল করীম ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের উদাহরণ টেনে বলেন, “জাতীয় ঐক্যের কারণে অতীতে আমরা ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে সফল হয়েছি। একইভাবে দেশের মঙ্গলের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
তিনি ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে ঐক্যের বার্তা দিয়ে বলেন, “আমরা সবার সঙ্গে ঐক্য করতে প্রস্তুত। আমাদের লক্ষ্য একটাই—ইসলামের পক্ষে এবং দেশের কল্যাণে কাজ করা।”
সম্মেলন শেষে ইসলামী আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটির সভাপতি হিসেবে মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদকে ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে জেলা কমিটির সভাপতি হিসেবে দীন ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জাহাঙ্গীর কবিরের নাম ঘোষণা করা হয়।
এই সম্মেলন থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নীতি, আদর্শ এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের বার্তা দেওয়া হয়।
ইনসাফের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনার আহ্বান
শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন না করে নির্বাচন দেওয়া হলে তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে এবং জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে না। এমন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না; বরং তা দখল, চাঁদাবাজি ও কালোটাকার প্রভাবের মাধ্যমে প্রহসনে পরিণত হবে। তিনি বলেন, “এই ধরনের নির্বাচনের জন্য আমরা আন্দোলন করিনি। আমাদের লক্ষ্য ইসলামের সাম্য ও মানবিক মর্যাদার ভিত্তিতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।”
শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ইসলামী আন্দোলনের জেলা ও মহানগর কমিটির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দলের জেলা সভাপতি দীন ইসলাম। এছাড়া বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন সাকী এবং মহানগর কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ।
সম্মেলনে সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, “দল ও নেতার চেহারা বদল হলেও চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। চুরি-ঘুষসহ দুর্নীতির রূপান্তর ঘটেনি। আমরা শুধু নেতার পরিবর্তন চাই না; আমরা নীতির পরিবর্তন চাই।”
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বলেন, “ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়ানোর চেষ্টা করবেন না। এটা ভুল হবে। বরং সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন। সিন্ডিকেট ভাঙতে পারলে দ্রব্যমূল্যের দাম এমনিতেই কমে আসবে। চুরি ও ঘুষ বন্ধ করতে পারলে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “দেশ পরিচালনায় শক্ত হাতে ইনসাফ নিশ্চিত করতে হবে। যদি জুলুম চালানোর চেষ্টা করা হয়, তবে দেশের মানুষ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে। এনজিও কায়দায় দেশ চালালে তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না।”
বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রশ্ন তুলে ফয়জুল করীম বলেন, “সরকারের ইশারায় পরিচালিত বিচার আমরা চাই না। আমরা একটি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা চাই, যেখানে কেউ অন্যায়ভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না।”
তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি সমাজ গড়ে তুলতে চাই, যেখানে মুসলমানেরা তাদের ধর্ম পালন করবে এবং হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানরাও নির্বিঘ্নে তাদের ধর্মীয় কাজ সম্পাদন করতে পারবে। দেশের স্বার্থ রক্ষায় জাতি ঐক্যবদ্ধ হলে কোনো শক্তিই আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না।”
ফয়জুল করীম ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের উদাহরণ টেনে বলেন, “জাতীয় ঐক্যের কারণে অতীতে আমরা ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে সফল হয়েছি। একইভাবে দেশের মঙ্গলের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
তিনি ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে ঐক্যের বার্তা দিয়ে বলেন, “আমরা সবার সঙ্গে ঐক্য করতে প্রস্তুত। আমাদের লক্ষ্য একটাই—ইসলামের পক্ষে এবং দেশের কল্যাণে কাজ করা।”
সম্মেলন শেষে ইসলামী আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটির সভাপতি হিসেবে মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদকে ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে জেলা কমিটির সভাপতি হিসেবে দীন ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জাহাঙ্গীর কবিরের নাম ঘোষণা করা হয়।
এই সম্মেলন থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নীতি, আদর্শ এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের বার্তা দেওয়া হয়।