বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে এক মাদ্রাসা ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। শনিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের যৌথ খামার পাড়ায় নিজ বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে।
আত্মহত্যাকারী শাহরিন ছিদ্দিকা (১৩) বাইশারী ইসলামি আদর্শ বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। তিনি আবু তালেবের মেয়ে। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে শাহরিন ছিল তৃতীয়।
শাহরিনের বাবা আবু তালেব জানান, ঘটনার সময় তার মা মহেশখালীতে বড় মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তিনি নিজেও অসুস্থতার কারণে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন। ছোট দুই সন্তান একজন নূরানি মাদ্রাসায় ও অন্যজন বাইশারী বাজারে একটি চায়ের দোকানে ছিল। তখন বাসায় শাহরিন একাই ছিল।
আবু তালেব বলেন, "আমি ডাক্তার দেখিয়ে বাসায় ফিরতে দেড়টা-আড়াইটার মতো সময় লেগেছে। এসে মেয়েকে ডাকাডাকি করেও সাড়া পাইনি। পরে ছোট ছেলে ও মেয়েকে খুঁজতে গিয়ে ঘরের চালের গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। দ্রুত নামানোর চেষ্টা করলেও ততক্ষণে সে নিথর হয়ে গিয়েছিল।"
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তাহেরকে জানানো হলে তিনি বাইশারী তদন্তকেন্দ্রে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রস্তুত করে।
বাইশারী তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ মো. আবু সায়েম জানান, "ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে কিছু বলা সম্ভব নয়।"
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শাহরিন শান্ত স্বভাবের ছিল এবং কখনো কারও সঙ্গে ঝগড়ায় জড়ায়নি। তবে আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রোববার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে এক মাদ্রাসা ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। শনিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের যৌথ খামার পাড়ায় নিজ বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে।
আত্মহত্যাকারী শাহরিন ছিদ্দিকা (১৩) বাইশারী ইসলামি আদর্শ বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। তিনি আবু তালেবের মেয়ে। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে শাহরিন ছিল তৃতীয়।
শাহরিনের বাবা আবু তালেব জানান, ঘটনার সময় তার মা মহেশখালীতে বড় মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তিনি নিজেও অসুস্থতার কারণে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন। ছোট দুই সন্তান একজন নূরানি মাদ্রাসায় ও অন্যজন বাইশারী বাজারে একটি চায়ের দোকানে ছিল। তখন বাসায় শাহরিন একাই ছিল।
আবু তালেব বলেন, "আমি ডাক্তার দেখিয়ে বাসায় ফিরতে দেড়টা-আড়াইটার মতো সময় লেগেছে। এসে মেয়েকে ডাকাডাকি করেও সাড়া পাইনি। পরে ছোট ছেলে ও মেয়েকে খুঁজতে গিয়ে ঘরের চালের গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। দ্রুত নামানোর চেষ্টা করলেও ততক্ষণে সে নিথর হয়ে গিয়েছিল।"
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তাহেরকে জানানো হলে তিনি বাইশারী তদন্তকেন্দ্রে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রস্তুত করে।
বাইশারী তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ মো. আবু সায়েম জানান, "ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে কিছু বলা সম্ভব নয়।"
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শাহরিন শান্ত স্বভাবের ছিল এবং কখনো কারও সঙ্গে ঝগড়ায় জড়ায়নি। তবে আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।