ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সুবিধা পাওয়া চট্টগ্রাম ভিত্তিক শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং তার পরিবারের আরও ২ হাজার ৯৭০ শতাংশ জমি জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। কমিশনের উপ-পরিচালক মামলার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা তাহাসিন মুনাবীল হক এস আলম পরিবারের ৯০ বিঘা বা ২ হাজার ৯৭০ শতাংশ স্থাবর সম্পদ জব্দের আবেদন করেন, যার দলিল মূল্য ৩২ কোটি ১০ টাকা। আবেদনে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম) এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘অর্থ পাচারের’ অভিযোগ অনুসন্ধানের সময় দেখা যায়, তারা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ‘নামে বেনামে বিধিবহির্ভূতভাবে’ ঋণ নিয়ে তা ‘আত্মসাৎ’ নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, অনুসন্ধানকালে বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যরা স্থাবর সম্পত্তি অন্যত্র ‘হস্তান্তর বা বেহাত’ করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর হয়ে গেলে পরবর্তীতে তা উদ্ধার করা দুরূহ হয়ে পড়বে। এজন্য স্থাবর সম্পত্তি জরুরি ভিত্তিতে ক্রোক বা জব্দ করা প্রয়োজন বলে মনে করছে দুদক।
গত ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সে সরকারের কাছ থেকে সুবিধা পাওয়া ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ‘অর্থ পাচারসহ দুর্নীতির’ অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক, যার মধ্যে অন্যতম এস আলম গ্রুপ। গত ১৪ জানুয়ারি একই আদালত এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম (এস আলম) ও তার পরিবারের ১১ সদস্যের ১৬টি স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছে আদালত।
একই সঙ্গে পরিবারটির সদস্যসহ ৮ জনের ৮৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেয়া হয়েছে। দুদকের আবেদনে বলা হয়, এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সাইপ্রাস ও অন্যান্য দেশে ১০০ কোটি ডলার ‘পাচারের’ অভিযোগ অনুসন্ধানকালে তার ও তার পরিবারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সম্পত্তির তথ্য পাওয়া যায়। তার দু’দিন পর গত ১৬ জানুয়ারি এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেয় আদালত। এরপর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তাদের নামে থাকা ৮ হাজার ১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছে আদালত।
এই শেয়ার অবরুদ্ধের আবেদনে দুদকের বলেছিল, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ‘অর্থ পাচারের’ অভিযোগটি অনুসন্ধানে একটি টাস্কফোর্স টিম গঠন করা হয়েছে। গত ১০ মার্চ আদালত ঢাকা ও চট্টগ্রামে থাকা এস আলমের ৯৭টি সম্পত্তির ৩৩ হাজার ২১৬ দশমিক ৪২ শতাংশ জমি জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সুবিধা পাওয়া চট্টগ্রাম ভিত্তিক শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং তার পরিবারের আরও ২ হাজার ৯৭০ শতাংশ জমি জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। কমিশনের উপ-পরিচালক মামলার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা তাহাসিন মুনাবীল হক এস আলম পরিবারের ৯০ বিঘা বা ২ হাজার ৯৭০ শতাংশ স্থাবর সম্পদ জব্দের আবেদন করেন, যার দলিল মূল্য ৩২ কোটি ১০ টাকা। আবেদনে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম) এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘অর্থ পাচারের’ অভিযোগ অনুসন্ধানের সময় দেখা যায়, তারা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ‘নামে বেনামে বিধিবহির্ভূতভাবে’ ঋণ নিয়ে তা ‘আত্মসাৎ’ নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, অনুসন্ধানকালে বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যরা স্থাবর সম্পত্তি অন্যত্র ‘হস্তান্তর বা বেহাত’ করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর হয়ে গেলে পরবর্তীতে তা উদ্ধার করা দুরূহ হয়ে পড়বে। এজন্য স্থাবর সম্পত্তি জরুরি ভিত্তিতে ক্রোক বা জব্দ করা প্রয়োজন বলে মনে করছে দুদক।
গত ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সে সরকারের কাছ থেকে সুবিধা পাওয়া ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ‘অর্থ পাচারসহ দুর্নীতির’ অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক, যার মধ্যে অন্যতম এস আলম গ্রুপ। গত ১৪ জানুয়ারি একই আদালত এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম (এস আলম) ও তার পরিবারের ১১ সদস্যের ১৬টি স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছে আদালত।
একই সঙ্গে পরিবারটির সদস্যসহ ৮ জনের ৮৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেয়া হয়েছে। দুদকের আবেদনে বলা হয়, এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সাইপ্রাস ও অন্যান্য দেশে ১০০ কোটি ডলার ‘পাচারের’ অভিযোগ অনুসন্ধানকালে তার ও তার পরিবারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সম্পত্তির তথ্য পাওয়া যায়। তার দু’দিন পর গত ১৬ জানুয়ারি এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেয় আদালত। এরপর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তাদের নামে থাকা ৮ হাজার ১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছে আদালত।
এই শেয়ার অবরুদ্ধের আবেদনে দুদকের বলেছিল, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ‘অর্থ পাচারের’ অভিযোগটি অনুসন্ধানে একটি টাস্কফোর্স টিম গঠন করা হয়েছে। গত ১০ মার্চ আদালত ঢাকা ও চট্টগ্রামে থাকা এস আলমের ৯৭টি সম্পত্তির ৩৩ হাজার ২১৬ দশমিক ৪২ শতাংশ জমি জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত।