কিশোরগঞ্জের ভৈরবে প্রসাব করতে বাধা দেয়ায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশ-র্যাবসহ উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছে। টানা ৪ ঘন্টা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকটি দোকানপাট ও বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে পৌর শহরের পঞ্চবটি বউ বাজার ও পুকুর পাড় এলাকার মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষটি রাত ১০টা থেকে শুরু হয়ে রাত ২টা পর্যন্ত চলে ধাওয়া পালটা ধাওয়া ও ইটপাটকেলসহ বোতল নিক্ষেপ।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও র্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে সংঘর্ষ থামাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা গেলে সংঘর্ষকারীদের ইট পাটকেলের আঘাতে ৫ জন আহত হয়। এদের মধ্যে ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শকসহ অন্যান্য আহতরা বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার সন্ধ্যায় বউ বাজার এলাকার রাব্বী নামের এক যুবক পুকুর পাড় এলাকায় রাস্তার পাশে প্রসাব করতে দাঁড়ায়।
এ সময় পুকুর পাড় এলাকার সায়মন ও আকাশ নামে দুই যুবক তাকে প্রসাব করতে বাধা দেই। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে রাতে বউ বাজার এলাকার রাব্বী সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে পুকুর পাড় এলাকায় হামলা চালায়।
বিষয়টি স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে গেলে উভয় পক্ষ দা, বল্লম, লাঠিসোটা, ইটপাটকেল, কাঁচের বোতল ও রেলের পাথর নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ, র্যাবসহ উভয় পক্ষের ৩০ জন আহতসহ বেশ কয়েকটি বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা আরও জানান, দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মধ্যস্থানে থাকা নিরপরাধ মানুষের বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত লতিফা বেগম ও নূরুল ইসলাম বলেন, আমরা কেউই সংঘর্ষের সাথে জড়িত নয়। রাস্তার পাশ ঘেঁষা আমাদের বাড়ি। এটাই কি আমাদের অপরাধ।
আমাদের বাড়ি ঘর ভেঙ্গে চুরে লুটপাট করে নিয়ে গেছে সংঘর্ষকারীরা। আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমরা অপরাধীদের বিচার চাই। ভৈরব থানা ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানী বলেন, উভয়পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে প্রসাব করতে বাধা দেয়ায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশ-র্যাবসহ উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছে। টানা ৪ ঘন্টা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকটি দোকানপাট ও বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে পৌর শহরের পঞ্চবটি বউ বাজার ও পুকুর পাড় এলাকার মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষটি রাত ১০টা থেকে শুরু হয়ে রাত ২টা পর্যন্ত চলে ধাওয়া পালটা ধাওয়া ও ইটপাটকেলসহ বোতল নিক্ষেপ।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও র্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে সংঘর্ষ থামাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা গেলে সংঘর্ষকারীদের ইট পাটকেলের আঘাতে ৫ জন আহত হয়। এদের মধ্যে ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শকসহ অন্যান্য আহতরা বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার সন্ধ্যায় বউ বাজার এলাকার রাব্বী নামের এক যুবক পুকুর পাড় এলাকায় রাস্তার পাশে প্রসাব করতে দাঁড়ায়।
এ সময় পুকুর পাড় এলাকার সায়মন ও আকাশ নামে দুই যুবক তাকে প্রসাব করতে বাধা দেই। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে রাতে বউ বাজার এলাকার রাব্বী সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে পুকুর পাড় এলাকায় হামলা চালায়।
বিষয়টি স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে গেলে উভয় পক্ষ দা, বল্লম, লাঠিসোটা, ইটপাটকেল, কাঁচের বোতল ও রেলের পাথর নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ, র্যাবসহ উভয় পক্ষের ৩০ জন আহতসহ বেশ কয়েকটি বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা আরও জানান, দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মধ্যস্থানে থাকা নিরপরাধ মানুষের বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত লতিফা বেগম ও নূরুল ইসলাম বলেন, আমরা কেউই সংঘর্ষের সাথে জড়িত নয়। রাস্তার পাশ ঘেঁষা আমাদের বাড়ি। এটাই কি আমাদের অপরাধ।
আমাদের বাড়ি ঘর ভেঙ্গে চুরে লুটপাট করে নিয়ে গেছে সংঘর্ষকারীরা। আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমরা অপরাধীদের বিচার চাই। ভৈরব থানা ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানী বলেন, উভয়পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।