যশোরের চৌগাছায় নিজ বাড়িতে রিক্তা খাতুন (৪০) এক গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত বুধবার সকালে চৌগাছা উপজেলার মশ্মমপুর ঢেঁকিপোতা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রিক্তা খাতুন ওই গ্রামের রোকনুজ্জামান রোকনের দ্বিতীয় স্ত্রী।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চৌগাছা থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা এএসআই লাভলু। পারিবারিক দ্বন্ধের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, চৌগাছার পার্শ্ববর্তী কোটচাঁদপুর উপজেলা তালসার গ্রামের রিক্তা খাতুনের সঙ্গে গদাধরপুর গ্রামের আজিজুর রহমানের বিয়ে হয়। তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে। জীবিকার প্রয়োজনে আজিজুর রহমান মালয়েশিয়া যান। তিনি বর্তমানে সেখানেই আছেন। স্বামী বিদেশে থাকায় একবছর আগে রিক্তা খাতুন ঢেঁকিপোতা গ্রামের রোকনুজ্জামান রোকনকে বিয়ে করেন। এদিকে রোকনেরও প্রথম স্ত্রী এবং চারটি সন্তান রয়েছে। রিক্তা খাতুনকে বিয়ের পর তিনি দুই স্ত্রী নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার সকাল ১১টার দিকে ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় রিক্তা খাতুনকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
স্থানীয়রা আরও জানান, দ্বিতীয় স্ত্রীর কারণে রোকনের সংসারে প্রায় সময় দ্বন্দ্ব লেগেই থাকত। এজন্য বাড়ির দুই ধারে পৃথকভাবে দুই স্ত্রী বসবাস করে। এই অবস্থায় রোকনুজ্জামান রোকন দ্বন্দ্ব এড়াতে মশ্মমপুর গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের পাশে দ্বিতীয় স্ত্রীর জন্য বাড়ি নির্মাণ করছিলেন। বাড়ি নির্মাণের কারণে প্রতিদিনই সেখানে যাওয়া আসা করেন তারা। ঘটনার দিন সকালে রিক্তা খাতুন নির্মাণাধীন বাড়িতে যান। সেখানে কাজকর্ম সেরে সকালে বাড়িতে গোসল করার জন্য ফিরে আসেন। এ সময় প্রথম স্ত্রী বিলকিচ খাতুন মাংস কেনার জন্য বাজারের যান বলে অনেকে জানান।
এ ব্যাপারে চৌগাছা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
যশোরের চৌগাছায় নিজ বাড়িতে রিক্তা খাতুন (৪০) এক গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত বুধবার সকালে চৌগাছা উপজেলার মশ্মমপুর ঢেঁকিপোতা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রিক্তা খাতুন ওই গ্রামের রোকনুজ্জামান রোকনের দ্বিতীয় স্ত্রী।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চৌগাছা থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা এএসআই লাভলু। পারিবারিক দ্বন্ধের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, চৌগাছার পার্শ্ববর্তী কোটচাঁদপুর উপজেলা তালসার গ্রামের রিক্তা খাতুনের সঙ্গে গদাধরপুর গ্রামের আজিজুর রহমানের বিয়ে হয়। তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে। জীবিকার প্রয়োজনে আজিজুর রহমান মালয়েশিয়া যান। তিনি বর্তমানে সেখানেই আছেন। স্বামী বিদেশে থাকায় একবছর আগে রিক্তা খাতুন ঢেঁকিপোতা গ্রামের রোকনুজ্জামান রোকনকে বিয়ে করেন। এদিকে রোকনেরও প্রথম স্ত্রী এবং চারটি সন্তান রয়েছে। রিক্তা খাতুনকে বিয়ের পর তিনি দুই স্ত্রী নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার সকাল ১১টার দিকে ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় রিক্তা খাতুনকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
স্থানীয়রা আরও জানান, দ্বিতীয় স্ত্রীর কারণে রোকনের সংসারে প্রায় সময় দ্বন্দ্ব লেগেই থাকত। এজন্য বাড়ির দুই ধারে পৃথকভাবে দুই স্ত্রী বসবাস করে। এই অবস্থায় রোকনুজ্জামান রোকন দ্বন্দ্ব এড়াতে মশ্মমপুর গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের পাশে দ্বিতীয় স্ত্রীর জন্য বাড়ি নির্মাণ করছিলেন। বাড়ি নির্মাণের কারণে প্রতিদিনই সেখানে যাওয়া আসা করেন তারা। ঘটনার দিন সকালে রিক্তা খাতুন নির্মাণাধীন বাড়িতে যান। সেখানে কাজকর্ম সেরে সকালে বাড়িতে গোসল করার জন্য ফিরে আসেন। এ সময় প্রথম স্ত্রী বিলকিচ খাতুন মাংস কেনার জন্য বাজারের যান বলে অনেকে জানান।
এ ব্যাপারে চৌগাছা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।