কেশবপুর উপজেলার হদ বড়বিলের মাছের ঘেরের ন্যায্য হারি, অবৈধ ডিড বাতিলসহ ঘের রক্ষার দাবিতে জমির মালিক কৃষকরা ঘের মালিকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ উপলক্ষে গত বুধবার বিকেলে বড়ঘের পাড়ে কৃষক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে ঘের কমিটির সভাপতি মহিরউদ্দীন বিশ্বাস বলেন, উপজেলার হদ গ্রামের বড়বিলে ৪১০ বিঘা জমির একটি মাছের ঘের রয়েছে। বিলের চারপাশের ৮ গ্রামের ৩৫৭ জন কৃষক বিলের জমিতে বোরো আবাদ করে সারা বছর খেয়ে-পরে বেঁচে থাকেন।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল ও তার ভাইপো উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু সাঈদ লাভলু কৃষকদের জিম্মি করে দীর্ঘ ২১ বছর ধরে ওই বিলে মাছ চাষ করছেন। এসময় তারা পানি নিষ্কাশনের খালসহ ১০ বিঘা সরকারি খাস জমিও দখল করে নেয়। কৃষকদের ৩০ পৌষের মধ্যে বিলের পানি নিষ্কাশন করে বোরো আবাদ করার শর্তে ঘের করলেও প্রভাবশালী ওই ঘের মালিকরা সময় মত বিলের পানি নিষ্কাশন না করায় কৃষকরা ঠিকমত বোরো আবাদ করতে পারত না। শুধু তাই নয়, পাশের ঘের মালিকেরা বিঘাপ্রতি ২২/২৩ হাজার টাকা হারি দিলেও তারা গায়ের জোরে ৮ হাজার টাকার বেশি হারি দিত না।
এনিয়ে কৃষকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিলেও ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। সেসময় বিষয়টি নিয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার মেলেনি। যে কারণে কৃষকরা ঘের মালিকের অবৈধ ডিড বাতিলসহ ঘের রক্ষার দাবি জানিয়েছেন। বর্তমান ঘেরের দখল নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এরই প্রতিবাদে মহিরউদ্দীন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বড়ঘের পাড়ে শত শত কৃষকের উপস্থিতিতে সমাবেশ হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কৃষক মোসারাফ হোসেন, মাহমুদ আলী, নিজামুদ্দীন প্রমুখ।
বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
কেশবপুর উপজেলার হদ বড়বিলের মাছের ঘেরের ন্যায্য হারি, অবৈধ ডিড বাতিলসহ ঘের রক্ষার দাবিতে জমির মালিক কৃষকরা ঘের মালিকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ উপলক্ষে গত বুধবার বিকেলে বড়ঘের পাড়ে কৃষক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে ঘের কমিটির সভাপতি মহিরউদ্দীন বিশ্বাস বলেন, উপজেলার হদ গ্রামের বড়বিলে ৪১০ বিঘা জমির একটি মাছের ঘের রয়েছে। বিলের চারপাশের ৮ গ্রামের ৩৫৭ জন কৃষক বিলের জমিতে বোরো আবাদ করে সারা বছর খেয়ে-পরে বেঁচে থাকেন।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল ও তার ভাইপো উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু সাঈদ লাভলু কৃষকদের জিম্মি করে দীর্ঘ ২১ বছর ধরে ওই বিলে মাছ চাষ করছেন। এসময় তারা পানি নিষ্কাশনের খালসহ ১০ বিঘা সরকারি খাস জমিও দখল করে নেয়। কৃষকদের ৩০ পৌষের মধ্যে বিলের পানি নিষ্কাশন করে বোরো আবাদ করার শর্তে ঘের করলেও প্রভাবশালী ওই ঘের মালিকরা সময় মত বিলের পানি নিষ্কাশন না করায় কৃষকরা ঠিকমত বোরো আবাদ করতে পারত না। শুধু তাই নয়, পাশের ঘের মালিকেরা বিঘাপ্রতি ২২/২৩ হাজার টাকা হারি দিলেও তারা গায়ের জোরে ৮ হাজার টাকার বেশি হারি দিত না।
এনিয়ে কৃষকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিলেও ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। সেসময় বিষয়টি নিয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার মেলেনি। যে কারণে কৃষকরা ঘের মালিকের অবৈধ ডিড বাতিলসহ ঘের রক্ষার দাবি জানিয়েছেন। বর্তমান ঘেরের দখল নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এরই প্রতিবাদে মহিরউদ্দীন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বড়ঘের পাড়ে শত শত কৃষকের উপস্থিতিতে সমাবেশ হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কৃষক মোসারাফ হোসেন, মাহমুদ আলী, নিজামুদ্দীন প্রমুখ।