নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার ৫নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের শোল্যা খন্দকার বাড়ীর যৌতুক লোভী স্বামী নাজমুল হুদা সবুজ এবং তার পরিবারের লোকজন স্ত্রী মরিয়ম আক্তারকে মেরে গুরুতর আহত করেছে। খবর পেয়ে মরিয়ম আক্তারের আত্মীয়-স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী মরিয়ম আক্তার বাদী হয়ে তার স্বামী নাজমুল হুদা সবুজসহ ৩ জনকে আসামি করে চাটখিল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগসূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে মরিয়ম আক্তারের সাথে শোল্যা খন্দকার বাড়ির জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে নাজমুল হুদা সবুজের ২০২০ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর মরিয়মের পরিবারের কাছ থেকে সবুজের পরিবার বিল্ডিং করার জন্য ৬ লাখ টাকা ধার নেয়। সেই টাকা এখনও পরিশোধ করা হয়নি। গত কয়েক মাস থেকে নাজমুল হুদা সবুজের পরিবার আরও ২ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য মরিয়মকে চাপ সৃষ্টি করে। এতে মরিয়ম অপারগতা প্রকাশ করলে তার ওপরে বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালাতে থাকে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় নাজমুল হুদা সবুজসহ তার পরিবারের লোকজন মরিয়মকে টাকা নিয়ে আসতে বললে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মরিয়মকে মারধর করে আহত করে আটক করে রাখে তারা। খবর পেয়ে মরিয়মের আত্মীয়-স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে চিকিৎসা করান। এই ঘটনার একদিন পর মরিয়ম বাদী হয়ে নাজমুল হুদা সবুজ, দেবর খালেদ সাইফুল্যা এবং শাশুড়ি সুলতানা রাজিয়ার বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গত ৬ এপ্রিল দুপুরে নির্যাতিতা মরিয়ম আক্তার চাটখিল প্রেসক্লাবে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে তার ওপরে নির্যাতনের বিবরণ তুলে ধরে নির্যাতনকারীদের বিচার দাবি করেন। এ সময় তিনি বলেন, থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর থেকেই অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য স্থানীয় বিএনপি নেতাদেরকে দিয়ে তাকে বিভিন্ন রকম হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে জানতে চাটখিল থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে, তদন্তপূর্বক এই ঘটনায় থানায় পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার ৫নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের শোল্যা খন্দকার বাড়ীর যৌতুক লোভী স্বামী নাজমুল হুদা সবুজ এবং তার পরিবারের লোকজন স্ত্রী মরিয়ম আক্তারকে মেরে গুরুতর আহত করেছে। খবর পেয়ে মরিয়ম আক্তারের আত্মীয়-স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী মরিয়ম আক্তার বাদী হয়ে তার স্বামী নাজমুল হুদা সবুজসহ ৩ জনকে আসামি করে চাটখিল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগসূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে মরিয়ম আক্তারের সাথে শোল্যা খন্দকার বাড়ির জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে নাজমুল হুদা সবুজের ২০২০ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর মরিয়মের পরিবারের কাছ থেকে সবুজের পরিবার বিল্ডিং করার জন্য ৬ লাখ টাকা ধার নেয়। সেই টাকা এখনও পরিশোধ করা হয়নি। গত কয়েক মাস থেকে নাজমুল হুদা সবুজের পরিবার আরও ২ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য মরিয়মকে চাপ সৃষ্টি করে। এতে মরিয়ম অপারগতা প্রকাশ করলে তার ওপরে বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালাতে থাকে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় নাজমুল হুদা সবুজসহ তার পরিবারের লোকজন মরিয়মকে টাকা নিয়ে আসতে বললে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মরিয়মকে মারধর করে আহত করে আটক করে রাখে তারা। খবর পেয়ে মরিয়মের আত্মীয়-স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে চিকিৎসা করান। এই ঘটনার একদিন পর মরিয়ম বাদী হয়ে নাজমুল হুদা সবুজ, দেবর খালেদ সাইফুল্যা এবং শাশুড়ি সুলতানা রাজিয়ার বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গত ৬ এপ্রিল দুপুরে নির্যাতিতা মরিয়ম আক্তার চাটখিল প্রেসক্লাবে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে তার ওপরে নির্যাতনের বিবরণ তুলে ধরে নির্যাতনকারীদের বিচার দাবি করেন। এ সময় তিনি বলেন, থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর থেকেই অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য স্থানীয় বিএনপি নেতাদেরকে দিয়ে তাকে বিভিন্ন রকম হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে জানতে চাটখিল থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে, তদন্তপূর্বক এই ঘটনায় থানায় পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।