পৃথিবীর বৃহত্তম গ্রাম হবিগঞ্জের বানিয়াচং বিশ্বের বৃহত্তম গ্রামে অবস্থিত অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর পুরাকীর্তির নিদর্শনে ঘেরা এই রাজবাড়ীটি কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। হবিগঞ্জ জেলা শহর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার উত্তর এবং কিশোরগঞ্জ জেলার পূর্ব প্রান্ত থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে প্রায় ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৬ কিলোমিটার প্রস্থের বিরাট স্থলভাগ বিশিষ্ট এই গ্রামটি ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। এটি বানিয়াচং সদরের ১নং উত্তর-পূর্ব ইউনিয়নের বড়বাজার সংলগ্ন এই রাজবাড়ীর অবস্থান। বানিয়াচং রাজ্যটি গোবিন্দ সিংহ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। গোবিন্দ সিংহ পরে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।
বানিয়াচং রাজবাড়ির স্বত্বাধিকারী হাবিব খা (গোবিন্দ সিংহ)। প্রাচীন এই রাজবাড়িটি জমিদার ঈসা খাঁর বাড়ির আদলে নির্মিত করা হয়েছিলো। তখনকার সময়ে বাড়ির চারদিকে ফুলের বাগান ও তিনটি প্রবেশদ্বার ছিলো। মুক্তিযুদ্বের সময় ঐতিহাসিক এই রাজবাড়িটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিলো। রাজবাড়ির রাজারা তাদের রাজ্য শাসন করে গেছেন, তারা আজ নেই, রয়েছে তাদের বংশধর, আর রয়েছে রাজবাড়ি। এ বাড়িতে বসে লাউড় রাজ্য শাসন করতেন ঐ সব রাজারা। এ বাড়িটি এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে। রাজবাড়িতে রাজাদের চেয়ার ও ফিল্টার : রাজারা একে একে চলে গেলেও তাদের কিছু স্মৃতি রয়ে গেছে। এর মধ্যে একটি চেয়ার ও কয়েকটি পানির ফিল্টার অন্যতম। এগুলো এখনও এ বাড়ির মধ্যে সংরক্ষণে রাখা হয়েছে। এসব স্মৃতি দেখতে এখনও নতুনের মতো। এ রাজবাড়ি থেকে বহু জমিদারের উৎপত্তি : এ বাড়ির রাজাদের বিশাল সাম্রাজ্যে বহু জমিদার হয়েছেন। এখানকার সনদ নিয়ে জমিদাররা প্রজাদের কাছ থেকে খাজনা একত্রে করে রাজদরবারে এনে হাজির করেছেন।
বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
পৃথিবীর বৃহত্তম গ্রাম হবিগঞ্জের বানিয়াচং বিশ্বের বৃহত্তম গ্রামে অবস্থিত অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর পুরাকীর্তির নিদর্শনে ঘেরা এই রাজবাড়ীটি কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। হবিগঞ্জ জেলা শহর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার উত্তর এবং কিশোরগঞ্জ জেলার পূর্ব প্রান্ত থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে প্রায় ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৬ কিলোমিটার প্রস্থের বিরাট স্থলভাগ বিশিষ্ট এই গ্রামটি ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। এটি বানিয়াচং সদরের ১নং উত্তর-পূর্ব ইউনিয়নের বড়বাজার সংলগ্ন এই রাজবাড়ীর অবস্থান। বানিয়াচং রাজ্যটি গোবিন্দ সিংহ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। গোবিন্দ সিংহ পরে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।
বানিয়াচং রাজবাড়ির স্বত্বাধিকারী হাবিব খা (গোবিন্দ সিংহ)। প্রাচীন এই রাজবাড়িটি জমিদার ঈসা খাঁর বাড়ির আদলে নির্মিত করা হয়েছিলো। তখনকার সময়ে বাড়ির চারদিকে ফুলের বাগান ও তিনটি প্রবেশদ্বার ছিলো। মুক্তিযুদ্বের সময় ঐতিহাসিক এই রাজবাড়িটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিলো। রাজবাড়ির রাজারা তাদের রাজ্য শাসন করে গেছেন, তারা আজ নেই, রয়েছে তাদের বংশধর, আর রয়েছে রাজবাড়ি। এ বাড়িতে বসে লাউড় রাজ্য শাসন করতেন ঐ সব রাজারা। এ বাড়িটি এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে। রাজবাড়িতে রাজাদের চেয়ার ও ফিল্টার : রাজারা একে একে চলে গেলেও তাদের কিছু স্মৃতি রয়ে গেছে। এর মধ্যে একটি চেয়ার ও কয়েকটি পানির ফিল্টার অন্যতম। এগুলো এখনও এ বাড়ির মধ্যে সংরক্ষণে রাখা হয়েছে। এসব স্মৃতি দেখতে এখনও নতুনের মতো। এ রাজবাড়ি থেকে বহু জমিদারের উৎপত্তি : এ বাড়ির রাজাদের বিশাল সাম্রাজ্যে বহু জমিদার হয়েছেন। এখানকার সনদ নিয়ে জমিদাররা প্রজাদের কাছ থেকে খাজনা একত্রে করে রাজদরবারে এনে হাজির করেছেন।