ইউএনও, বিআইডব্লিউটিএ একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন
সুনামগঞ্জ জেলার বিশম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের রক্তিনদী তীর সংলগ্ন কাটাখালি-কৌয়া, ইট সলিং সড়কটি কেটে জনভোগান্তি তৈরী ও রাস্তার ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
ইউএনও, বিআইডব্লিউটিএ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ স্থানীয় সচেতন নাগরিকদের। তবে ইউএনও বিআইডব্লিউটিএ সংশ্লিষ্টদের রয়েছে পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ। তারা এখন দোষ চাপাচ্ছেন একে অন্যের ঘাড়ে। জনসাধারণ চলাচলের এই রাস্তাটি কাটতে নির্দেশ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করছেন ইউএনও অপরদিকে বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা বলছেন ইউএনও’র নির্দেশেই কাটা হয়েছে রাস্তা।
বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের রক্তি নদী থেকে বিআইডব্লিউটিএ ’র অধীন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এসএস ড্রেজার কোম্পানী লিমিটেড ড্রেজিং করছে। নদী থেকে উঠাচ্ছে বালি-মাটি।
সম্প্রতি কাটাখালি-কৌয়া, ইট সলিং রাস্তাটির একাধিক জায়গায় মাটি কেটে গভীর গর্ত তৈরী করা হয়। ফলে ভোগান্তির শিকার কাটাখালি, কৌয়া, পিরিজপুর, ফুলভরিসহ অনেক গ্রামের মানুষ।
বিআইডব্লিউটিএ কর্মচারী, রক্তিনদী ড্রেজিং সশ্লিষ্টরা জানান, নদী থেকে বিআইডব্লিউটিএ এর মাধ্যমে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এসএস ড্রেজার কোম্পানী লিমিটেডের কর্মচারীগন মাটি উঠিয়ে নদী পাড়ে রাখার জন্য ইউএনও’ র পরামর্শ চান, তিনি ভূমি অফিসের কাননগোকে পাঠিয়ে সুবিধা অনুযায়ী ড্রেজিং পাইপ (বালি মাটি উত্তোালনের পাইপ) বসানোর জন্য, এবং পানি নিস্কাশনের জন্য একাধিক জায়গায় রাস্তা কেটে ৪-৫ ফুট গভীর গর্ত করে একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় মাটি স্তুপ দেওয়ার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী রাস্তা কেটে ড্রেজিং পাইপ (বালি মাটি উত্তোলনের পাইপ) বসানোর জন্য,ব্যবস্থা করা হয়।
ইউএনও জানান, সরকারি ও ধাতব্য প্রতিষ্ঠান ব্যাতিত অন্য কোন ব্যক্তি মালিকের জায়গায় মাটি না দিয়ে এই জায়গায় মাটির স্তুপ করার জন্য উপজেলা মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত রয়েছে এবং উপজেলা মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাটি স্তুপ করা হচ্ছে । পরবর্তীতে নিলাম দেওয়া হবে, রাস্তা কাটার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত দেইনি আমি। আমি খবর পেয়ে সড়কটি পুনরায় মাটি ভরাট করার জন্য বলেছি।
এবিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ সুনামঞ্জ অঞ্চলের সাব এসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মুহসিন জানান, ইউএনও’র নির্দেশে এবং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বারদের অভগত করই রাস্তা কাটা হয়েছে । বিষয়টি সর্ম্পকে স্থানীয় নাগরিক আব্দুল আহাদ জানান, ইউএনও’র নিদের্শে স্থায়ী (৬০ বছর আগের) একটি রাস্তা কেটে নষ্ট করা হয়েছে। যে রাস্তাটি বর্ষায় আস্তে আস্তে ভেঙে চলাচল অনুপযোগী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিআইডব্লিউটিএ র এই কর্মচারী দাবি করেন রাস্তাটি পুনরায় মেরামত করা হচ্ছে। এলাকাবাসী বলছেন, এই স্থায়ী রাস্তাটি যতই মেরামত করা হোক আগের মতো হবে না। বর্ষায় একটি বিপদজ্জনক অবস্থা তৈরী হতে পারে। ইতোমধ্যেই ঝড় বৃষ্টি হলে জনসাধারণের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
ইউএনও, বিআইডব্লিউটিএ একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন
বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
সুনামগঞ্জ জেলার বিশম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের রক্তিনদী তীর সংলগ্ন কাটাখালি-কৌয়া, ইট সলিং সড়কটি কেটে জনভোগান্তি তৈরী ও রাস্তার ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
ইউএনও, বিআইডব্লিউটিএ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ স্থানীয় সচেতন নাগরিকদের। তবে ইউএনও বিআইডব্লিউটিএ সংশ্লিষ্টদের রয়েছে পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ। তারা এখন দোষ চাপাচ্ছেন একে অন্যের ঘাড়ে। জনসাধারণ চলাচলের এই রাস্তাটি কাটতে নির্দেশ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করছেন ইউএনও অপরদিকে বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা বলছেন ইউএনও’র নির্দেশেই কাটা হয়েছে রাস্তা।
বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের রক্তি নদী থেকে বিআইডব্লিউটিএ ’র অধীন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এসএস ড্রেজার কোম্পানী লিমিটেড ড্রেজিং করছে। নদী থেকে উঠাচ্ছে বালি-মাটি।
সম্প্রতি কাটাখালি-কৌয়া, ইট সলিং রাস্তাটির একাধিক জায়গায় মাটি কেটে গভীর গর্ত তৈরী করা হয়। ফলে ভোগান্তির শিকার কাটাখালি, কৌয়া, পিরিজপুর, ফুলভরিসহ অনেক গ্রামের মানুষ।
বিআইডব্লিউটিএ কর্মচারী, রক্তিনদী ড্রেজিং সশ্লিষ্টরা জানান, নদী থেকে বিআইডব্লিউটিএ এর মাধ্যমে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এসএস ড্রেজার কোম্পানী লিমিটেডের কর্মচারীগন মাটি উঠিয়ে নদী পাড়ে রাখার জন্য ইউএনও’ র পরামর্শ চান, তিনি ভূমি অফিসের কাননগোকে পাঠিয়ে সুবিধা অনুযায়ী ড্রেজিং পাইপ (বালি মাটি উত্তোালনের পাইপ) বসানোর জন্য, এবং পানি নিস্কাশনের জন্য একাধিক জায়গায় রাস্তা কেটে ৪-৫ ফুট গভীর গর্ত করে একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় মাটি স্তুপ দেওয়ার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী রাস্তা কেটে ড্রেজিং পাইপ (বালি মাটি উত্তোলনের পাইপ) বসানোর জন্য,ব্যবস্থা করা হয়।
ইউএনও জানান, সরকারি ও ধাতব্য প্রতিষ্ঠান ব্যাতিত অন্য কোন ব্যক্তি মালিকের জায়গায় মাটি না দিয়ে এই জায়গায় মাটির স্তুপ করার জন্য উপজেলা মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত রয়েছে এবং উপজেলা মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাটি স্তুপ করা হচ্ছে । পরবর্তীতে নিলাম দেওয়া হবে, রাস্তা কাটার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত দেইনি আমি। আমি খবর পেয়ে সড়কটি পুনরায় মাটি ভরাট করার জন্য বলেছি।
এবিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ সুনামঞ্জ অঞ্চলের সাব এসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মুহসিন জানান, ইউএনও’র নির্দেশে এবং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বারদের অভগত করই রাস্তা কাটা হয়েছে । বিষয়টি সর্ম্পকে স্থানীয় নাগরিক আব্দুল আহাদ জানান, ইউএনও’র নিদের্শে স্থায়ী (৬০ বছর আগের) একটি রাস্তা কেটে নষ্ট করা হয়েছে। যে রাস্তাটি বর্ষায় আস্তে আস্তে ভেঙে চলাচল অনুপযোগী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিআইডব্লিউটিএ র এই কর্মচারী দাবি করেন রাস্তাটি পুনরায় মেরামত করা হচ্ছে। এলাকাবাসী বলছেন, এই স্থায়ী রাস্তাটি যতই মেরামত করা হোক আগের মতো হবে না। বর্ষায় একটি বিপদজ্জনক অবস্থা তৈরী হতে পারে। ইতোমধ্যেই ঝড় বৃষ্টি হলে জনসাধারণের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে।