লঞ্চে চিকিৎসক কেবিন প্রাথমিক চিকিৎসার ঔষধ রাখার দাবি
নারায়নগঞ্জ থেকে পিতার বাড়ি বরিশাল নগরী সংলগ্ন বরিশাল সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের শোলনায় পিতার বাড়িতে আসছিলেন সন্তান সম্ভবা ঝুমুর বেগম। সঙ্গে ছিলেন আরো ৫ জন। তারা সকলেই ছিলেন প্রিন্স আওলাদ-১০ লঞ্চের ডেকের যাত্রী।
পথিমধ্যে ঝুমুর বেগমের প্রসব বেদসা উঠলে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তিনি ধাত্রীর সহযোগিতায় একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। অবশ্য লঞ্চের অন্যান্য যাত্রীরা ঝুমুর বেগম যাতে নির্বিঘ্নে সন্তান প্রসব করতে পারেন তার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন।
ঝুমুর বেগমের স্বামী মোঃ হারিছ কুমিল্লায় একটি মুরগি বিক্রীর দোকানের কর্মচারী। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ তাদের লঞ্চে এই প্রথমবারের মত ঝুমুর বেগম সন্তান প্রসব করায় প্রাথমিকভাবে ঝুমুর বেগমকে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার এবং সন্তানটি সুস্থ অবস্থায় জন্ম নেওয়ায় ওই লঞ্চে ঝুমুর বেগম, তার স্বামী ও সন্তানটির আজীবন যাতায়াত ফ্রি বলে ঘোষণা দিয়েছে।
লঞ্চে কোন চিকিৎসক না থাকলেও একজন নার্স ছিলেন। তিনি প্রথমে ভোরে বরিশাল পৌঁছে সিজার করার পরামর্শ দিলেও হঠাৎ একজন ধাত্রী এগিয়ে আসায় তিনি এবং ওই নার্সের পরামর্শে ধাত্রী স্বভাবিকভাবেই ঝুমুর বেগমের সন্তান প্রসব করান। ঝুমুর বেগম জানান চিকিৎসকের পরামর্শ ছিল আগামী মাসের ৬ তারিখ সন্তান প্রসবের তারিখ। ঝুমুর বেগমের মা ফোনে খবর পেয়ে রাত থাকতেই লঞ্চঘাটে এসে অপেক্ষা করতে থাকেন।
তিনি জানান এর আগে তার মেয়ের ১০ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। লঞ্চের যাত্রী ফরিদা বেগম বলেন সব যাত্রীরাই যে যেভাবে পেরেছে প্রসুতি মায়ের সেবা শুশ্রুষা করেছেন। ভোরে শিশুটিকে তার মায়ের কোলে দিয়ে দেওয়া হয়। অপরদিকে লঞ্চের সুপারভাইজার বলেন, তারাও সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। প্রয়োজনে প্রসুতি মাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য যতটা দ্রুত সম্ভব লঞ্চ চালিয়ে বরিশাল নিয়ে আসা হয়েছে।
লঞ্চের যাত্রী রাকিব ও সোলায়মান বলেন, প্রসুতি মায়ের সন্তান প্রসব করানোর জন্য লঞ্চে কোন ব্যবস্থা ছিলনা। কোন চিকিৎসক খুঁজে পাওয়া যায়নি। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ খোঁজাখুঁজি করে মাত্র একজন নার্স পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনিও স্বভাবিকভাবে সন্তান প্রসবের ঝুঁকি নেননি। তবে ভাগ্য ভাল একজন অভিজ্ঞ ধাত্রী থাকায় তিনি এগিয়ে এসে সন্তান প্রসব করান।
রাকিব বলেন, লঞ্চে সন্তানের জন্ম নেবার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। অন্যন্য লঞ্চে মাঝে মাঝেই এ ঘটনা ঘটছে। আবার অনেক সময় যাত্রীরা ডায়রিয়া,হৃদরোগ বা মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ সহ অন্যান্য রোগেও আক্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেবার মত ব্যবস্থা কোন লঞ্চেই নেই। তারা প্রতিটি দূও পাল্লার লঞ্চে যে কোন ধরনের রোগীদের চিকিৎসা দেবার জন্য অন্তত পক্ষে একজন জুনিয়র বা অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স রাখা, প্রাথমিক চিকিৎসার ঔষধ রাখা, রোগীদের জন্য একটি কেবিন বা কক্ষ নির্ধারিত করে রাখা, একটি স্ট্রেচার রাখার দাবি জানান।
লঞ্চে চিকিৎসক কেবিন প্রাথমিক চিকিৎসার ঔষধ রাখার দাবি
শুক্রবার, ১৯ আগস্ট ২০২২
নারায়নগঞ্জ থেকে পিতার বাড়ি বরিশাল নগরী সংলগ্ন বরিশাল সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের শোলনায় পিতার বাড়িতে আসছিলেন সন্তান সম্ভবা ঝুমুর বেগম। সঙ্গে ছিলেন আরো ৫ জন। তারা সকলেই ছিলেন প্রিন্স আওলাদ-১০ লঞ্চের ডেকের যাত্রী।
পথিমধ্যে ঝুমুর বেগমের প্রসব বেদসা উঠলে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তিনি ধাত্রীর সহযোগিতায় একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। অবশ্য লঞ্চের অন্যান্য যাত্রীরা ঝুমুর বেগম যাতে নির্বিঘ্নে সন্তান প্রসব করতে পারেন তার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন।
ঝুমুর বেগমের স্বামী মোঃ হারিছ কুমিল্লায় একটি মুরগি বিক্রীর দোকানের কর্মচারী। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ তাদের লঞ্চে এই প্রথমবারের মত ঝুমুর বেগম সন্তান প্রসব করায় প্রাথমিকভাবে ঝুমুর বেগমকে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার এবং সন্তানটি সুস্থ অবস্থায় জন্ম নেওয়ায় ওই লঞ্চে ঝুমুর বেগম, তার স্বামী ও সন্তানটির আজীবন যাতায়াত ফ্রি বলে ঘোষণা দিয়েছে।
লঞ্চে কোন চিকিৎসক না থাকলেও একজন নার্স ছিলেন। তিনি প্রথমে ভোরে বরিশাল পৌঁছে সিজার করার পরামর্শ দিলেও হঠাৎ একজন ধাত্রী এগিয়ে আসায় তিনি এবং ওই নার্সের পরামর্শে ধাত্রী স্বভাবিকভাবেই ঝুমুর বেগমের সন্তান প্রসব করান। ঝুমুর বেগম জানান চিকিৎসকের পরামর্শ ছিল আগামী মাসের ৬ তারিখ সন্তান প্রসবের তারিখ। ঝুমুর বেগমের মা ফোনে খবর পেয়ে রাত থাকতেই লঞ্চঘাটে এসে অপেক্ষা করতে থাকেন।
তিনি জানান এর আগে তার মেয়ের ১০ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। লঞ্চের যাত্রী ফরিদা বেগম বলেন সব যাত্রীরাই যে যেভাবে পেরেছে প্রসুতি মায়ের সেবা শুশ্রুষা করেছেন। ভোরে শিশুটিকে তার মায়ের কোলে দিয়ে দেওয়া হয়। অপরদিকে লঞ্চের সুপারভাইজার বলেন, তারাও সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। প্রয়োজনে প্রসুতি মাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য যতটা দ্রুত সম্ভব লঞ্চ চালিয়ে বরিশাল নিয়ে আসা হয়েছে।
লঞ্চের যাত্রী রাকিব ও সোলায়মান বলেন, প্রসুতি মায়ের সন্তান প্রসব করানোর জন্য লঞ্চে কোন ব্যবস্থা ছিলনা। কোন চিকিৎসক খুঁজে পাওয়া যায়নি। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ খোঁজাখুঁজি করে মাত্র একজন নার্স পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনিও স্বভাবিকভাবে সন্তান প্রসবের ঝুঁকি নেননি। তবে ভাগ্য ভাল একজন অভিজ্ঞ ধাত্রী থাকায় তিনি এগিয়ে এসে সন্তান প্রসব করান।
রাকিব বলেন, লঞ্চে সন্তানের জন্ম নেবার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। অন্যন্য লঞ্চে মাঝে মাঝেই এ ঘটনা ঘটছে। আবার অনেক সময় যাত্রীরা ডায়রিয়া,হৃদরোগ বা মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ সহ অন্যান্য রোগেও আক্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেবার মত ব্যবস্থা কোন লঞ্চেই নেই। তারা প্রতিটি দূও পাল্লার লঞ্চে যে কোন ধরনের রোগীদের চিকিৎসা দেবার জন্য অন্তত পক্ষে একজন জুনিয়র বা অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স রাখা, প্রাথমিক চিকিৎসার ঔষধ রাখা, রোগীদের জন্য একটি কেবিন বা কক্ষ নির্ধারিত করে রাখা, একটি স্ট্রেচার রাখার দাবি জানান।