alt

জাবির সমন্বয়ক আরিফ সোহেলকে তুলে নেওয়ার অভিযোগে শিক্ষকদের প্রতিবাদ

জাবি প্রতিনিধি : রোববার, ২৮ জুলাই ২০২৪

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আরিফ সোহেলকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগে প্রতিবাদ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেলকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেছে তার পরিবার।

রোববার দুপুর ১টায় এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন ফজিলাতুন্নেসা হল সংলগ্ন নবনির্মিত শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

সমাবেশে শিক্ষকরা দেশব্যাপী কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হত্যা, তাদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদ জানান। তারা আরিফ সোহেলকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

আরিফ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি পরিবারের সঙ্গে আমবাগান এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

আরিফের বাবা আবুল খায়ের অভিযোগ করে বলেন, “শনিবার রাত পৌনে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান এলাকার ভাড়া বাসা থেকে ডিবি ও সিআইডি পরিচয়ে ৮-১০ জন লোক আরিফ সোহেলকে তুলে নিয়ে যায়।”

এ ব্যাপারে জানতে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ এবং ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানকে মোবাইলে কল করলেও তারা রিসিভ করেননি।

এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, “কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশব্যাপী সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের ওপর হামলা হয়েছে। এখন আবার যেসব শিক্ষার্থী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাদের নিরাপত্তার কথা বলে তুলে নেওয়া হচ্ছে।

“তবে আমরা জানি, শিক্ষার্থীদের রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। আমরা শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা বলেন, “সারাদেশে যা ঘটে যাচ্ছে, তাতে আমরা ভীষণভাবে মর্মাহত। এই সরকার যেভাবে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, আমরা যাদের স্বৈরাচার বলতাম, তাদের আমলেও এমন হত্যাকাণ্ড ঘটেনি।”

তিনি আরও বলেন, “যে বাহিনীকে আমরা মনে করতাম, জনগণের নিরাপত্তা দেবে, সেই বাহিনীকেই সরকার তার নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য শিক্ষার্থী ও জনগণের ওপর লেলিয়ে দিয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মানস চৌধুরীর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস।

ছবি

জবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক হলেন খাদিজা

ছবি

রাবিতে নবীনবরণ: এক মঞ্চে রাকসু, ডাকসু ও চাকসুর ভিপি

ছবি

ঢাবি রসায়ন বিভাগের শিক্ষক এরশাদ হালিমের বিরুদ্ধে মানববন্ধন, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

ছবি

ছাত্রলীগের রাবি শাখার সাবেক নেতা আটক

ডাকসু, জাকসু, রাকসু, চাকসু: সম্মিলিত ছাত্র সংসদের বিবৃতি

ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস উদযাপন

ছবি

রাকসু জিএসের সঙ্গে বাকবিতন্ডা, রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ চাইলেন রাকসুর প্রতিনিধিরা

ছবি

‘সোহ্রাওয়ার্দীতে গাঁজা বেঁচতে নিষেধ করায় ছাত্রদল নেতা সাম্যকে হত্যা’: ডিবি

ছবি

সৈয়দপুরে আর্মি ইউনিভার্সিটিতে মেট্রোরেল বিষয়ক সেমিনার

ছবি

জকসু নির্বাচন ২২ ডিসেম্বর

ছবি

রাকসুর প্রথম অধিবেশনে ১২ দফা কর্মসূচি ঘোষণা

ছবি

জকসু নির্বাচন ২২ ডিসেম্বর

ছবি

কোটা আন্দোলনে হামলায় ঢাবির আরও ২৭৫ শিক্ষার্থী অভিযুক্ত

ছবি

৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা যৌক্তিক সময়ে নেওয়ার দাবি উত্তীর্ণদের

ছবি

জকসুতে এমফিল বাদ: আমাদের মাইনাস করার মাস্টারপ্ল্যান, বলছে ছাত্রদল

ছবি

বিএনপির বিরুদ্ধে ডাকসুর শিবিরের তিন নেতার বিবৃতি

ছবি

ইবিতে জুলাইবিরোধী ৩০ শিক্ষক-কর্মকর্তা বরখাস্ত

ছবি

সিটি ইউনিভার্সিটিতে সংবাদ সম্মেলন: শাস্তি, ক্ষতিপূরণ ও জড়িতদের ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি

ছবি

জবি ছাত্রদলের মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা

ছবি

রাবি: দুই প্রশিক্ষকের উপস্থিতিতে ডুবেছেন সায়মা, তদন্তে পাওয়া গেছে অন্যান্য ‘গাফিলতি’

ছবি

‘বৈষম্য’ বাতিলের দাবীতে লাগাতার কর্মবিরতিতে রাবির স্কুল শিক্ষকরা

ছবি

জকসু নির্বাচন: পাঁচ সদস্যের কমিশন গঠন

ছবি

রাবি: সায়মার মৃত্যুর ‘সুষ্ঠু বিচার’ দাবিতে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরা, বিক্ষোভ

ছবি

চবির শহীদ আবদুর রব হলে সমৃদ্ধ কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন

ছবি

রাবি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে আমরণ অনশন, তদন্তে কমিটি

ছবি

রাবি: সুইমিংপুলে সাঁতার কাটতে গিয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি

রাবি: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে আমরণ অনশন, তদন্তে কমিটি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ পদ থেকে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের নিয়োগ বাতিল

ছাত্র সংসদ এখন থেকে জাতীয় ছাত্রশক্তি

ছবি

বুয়েটের শ্রীশান্তের বিরুদ্ধে মামলায় ধর্মানুভূতিতে আঘাতের ধারা

ছবি

পুলিশের বলা ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ নিয়ে প্রশ্ন জোবায়েদের শিক্ষকের

ছবি

ছাত্রীদের নিয়ে বাজে মন্তব্য: বুয়েটছাত্র শ্রীশান্ত কারাগারে

ছবি

রাবি: সভাপতির অপসরণসহ চার দাবিতে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের ‘শাটডাউন’

ছবি

রাকসুর গেজেট প্রকাশ, শপথ ‘২৬ অক্টোবর’

ছবি

ব্রিটিশ কাউন্সিল পুরস্কার পেলেন ইংরেজি মাধ্যমের ৪২ শিক্ষার্থী

ছবি

তিস্তা প্রকল্পের দাবিতে রাবিতে ‘তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন’ কর্মসূচী

tab

জাবির সমন্বয়ক আরিফ সোহেলকে তুলে নেওয়ার অভিযোগে শিক্ষকদের প্রতিবাদ

জাবি প্রতিনিধি

রোববার, ২৮ জুলাই ২০২৪

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আরিফ সোহেলকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগে প্রতিবাদ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেলকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেছে তার পরিবার।

রোববার দুপুর ১টায় এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন ফজিলাতুন্নেসা হল সংলগ্ন নবনির্মিত শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

সমাবেশে শিক্ষকরা দেশব্যাপী কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হত্যা, তাদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদ জানান। তারা আরিফ সোহেলকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

আরিফ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি পরিবারের সঙ্গে আমবাগান এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

আরিফের বাবা আবুল খায়ের অভিযোগ করে বলেন, “শনিবার রাত পৌনে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান এলাকার ভাড়া বাসা থেকে ডিবি ও সিআইডি পরিচয়ে ৮-১০ জন লোক আরিফ সোহেলকে তুলে নিয়ে যায়।”

এ ব্যাপারে জানতে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ এবং ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানকে মোবাইলে কল করলেও তারা রিসিভ করেননি।

এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, “কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশব্যাপী সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের ওপর হামলা হয়েছে। এখন আবার যেসব শিক্ষার্থী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাদের নিরাপত্তার কথা বলে তুলে নেওয়া হচ্ছে।

“তবে আমরা জানি, শিক্ষার্থীদের রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। আমরা শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা বলেন, “সারাদেশে যা ঘটে যাচ্ছে, তাতে আমরা ভীষণভাবে মর্মাহত। এই সরকার যেভাবে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, আমরা যাদের স্বৈরাচার বলতাম, তাদের আমলেও এমন হত্যাকাণ্ড ঘটেনি।”

তিনি আরও বলেন, “যে বাহিনীকে আমরা মনে করতাম, জনগণের নিরাপত্তা দেবে, সেই বাহিনীকেই সরকার তার নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য শিক্ষার্থী ও জনগণের ওপর লেলিয়ে দিয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মানস চৌধুরীর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস।

back to top