জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আরিফ সোহেলকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগে প্রতিবাদ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেলকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেছে তার পরিবার।
রোববার দুপুর ১টায় এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন ফজিলাতুন্নেসা হল সংলগ্ন নবনির্মিত শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
সমাবেশে শিক্ষকরা দেশব্যাপী কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হত্যা, তাদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদ জানান। তারা আরিফ সোহেলকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
আরিফ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি পরিবারের সঙ্গে আমবাগান এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
আরিফের বাবা আবুল খায়ের অভিযোগ করে বলেন, “শনিবার রাত পৌনে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান এলাকার ভাড়া বাসা থেকে ডিবি ও সিআইডি পরিচয়ে ৮-১০ জন লোক আরিফ সোহেলকে তুলে নিয়ে যায়।”
এ ব্যাপারে জানতে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ এবং ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানকে মোবাইলে কল করলেও তারা রিসিভ করেননি।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, “কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশব্যাপী সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের ওপর হামলা হয়েছে। এখন আবার যেসব শিক্ষার্থী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাদের নিরাপত্তার কথা বলে তুলে নেওয়া হচ্ছে।
“তবে আমরা জানি, শিক্ষার্থীদের রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। আমরা শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা বলেন, “সারাদেশে যা ঘটে যাচ্ছে, তাতে আমরা ভীষণভাবে মর্মাহত। এই সরকার যেভাবে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, আমরা যাদের স্বৈরাচার বলতাম, তাদের আমলেও এমন হত্যাকাণ্ড ঘটেনি।”
তিনি আরও বলেন, “যে বাহিনীকে আমরা মনে করতাম, জনগণের নিরাপত্তা দেবে, সেই বাহিনীকেই সরকার তার নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য শিক্ষার্থী ও জনগণের ওপর লেলিয়ে দিয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মানস চৌধুরীর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস।
রোববার, ২৮ জুলাই ২০২৪
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আরিফ সোহেলকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগে প্রতিবাদ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেলকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেছে তার পরিবার।
রোববার দুপুর ১টায় এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন ফজিলাতুন্নেসা হল সংলগ্ন নবনির্মিত শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
সমাবেশে শিক্ষকরা দেশব্যাপী কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হত্যা, তাদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদ জানান। তারা আরিফ সোহেলকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
আরিফ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি পরিবারের সঙ্গে আমবাগান এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
আরিফের বাবা আবুল খায়ের অভিযোগ করে বলেন, “শনিবার রাত পৌনে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান এলাকার ভাড়া বাসা থেকে ডিবি ও সিআইডি পরিচয়ে ৮-১০ জন লোক আরিফ সোহেলকে তুলে নিয়ে যায়।”
এ ব্যাপারে জানতে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ এবং ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানকে মোবাইলে কল করলেও তারা রিসিভ করেননি।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, “কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশব্যাপী সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের ওপর হামলা হয়েছে। এখন আবার যেসব শিক্ষার্থী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাদের নিরাপত্তার কথা বলে তুলে নেওয়া হচ্ছে।
“তবে আমরা জানি, শিক্ষার্থীদের রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। আমরা শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা বলেন, “সারাদেশে যা ঘটে যাচ্ছে, তাতে আমরা ভীষণভাবে মর্মাহত। এই সরকার যেভাবে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, আমরা যাদের স্বৈরাচার বলতাম, তাদের আমলেও এমন হত্যাকাণ্ড ঘটেনি।”
তিনি আরও বলেন, “যে বাহিনীকে আমরা মনে করতাম, জনগণের নিরাপত্তা দেবে, সেই বাহিনীকেই সরকার তার নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য শিক্ষার্থী ও জনগণের ওপর লেলিয়ে দিয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মানস চৌধুরীর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস।