ঢাকার নিউ মার্কেট থানায় করা এক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান আদালতে তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। শুক্রবার বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করা হলে রিমান্ড শুনানিতে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং তথাকথিত ‘আয়নাঘর’ সম্পর্কেও কথা বলেন।
শুনানিতে জিয়াউল আহসান বলেন, "আমি ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) প্রধান ছিলাম, যা একটি নিরস্ত্র সংস্থা। আমি কীভাবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকি?" তিনি দাবি করেন, তাকে সেনাপ্রধানের নির্দেশে তার সহকর্মীরা ৭ আগস্ট রাতে আটক করে এবং গত কয়েকদিন তিনি নিজেও ‘আয়নাঘরে’ বন্দি ছিলেন।
রিমান্ড শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী নাজনীন নাহার দাবি করেন, জিয়াউল আহসান কখনোই ডিজিএফআইয়ে চাকরি করেননি এবং ‘আয়নাঘর’ সম্পর্কিত অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি আরও বলেন, "আয়নাঘর মিডিয়ার সৃষ্টি, যা ডিজিএফআইয়ের একটি কারাগার।"
তবে বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ উল্লাহ খান জুয়েল অভিযোগ করেন, "জিয়াউল আহসান ‘আয়নাঘরের’ একজন প্রবক্তা এবং তিনি গুম, খুনসহ বিগত সরকারের বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।"
শুনানি শেষে আদালত জিয়াউল আহসানকে আট দিনের রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী জিয়াউলকে কারাগারে পাঠানোর বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে বলেন, "কারাগারে তার জীবননাশের আশঙ্কা রয়েছে," এবং তার শারীরিক চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে।
উল্লেখ্য, কোটা আন্দোলনের সময় নিউ মার্কেট এলাকায় হকার শাহজাহানকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জিয়াউল আহসানকে বৃহস্পতিবার রাতে খিলক্ষেত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সরকার পরিবর্তনের পর সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ে রদবদলের অংশ হিসেবে ৬ আগস্ট তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এই মামলায় জিয়াউল আহসান ছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককেও গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার, ১৬ আগস্ট ২০২৪
ঢাকার নিউ মার্কেট থানায় করা এক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান আদালতে তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। শুক্রবার বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করা হলে রিমান্ড শুনানিতে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং তথাকথিত ‘আয়নাঘর’ সম্পর্কেও কথা বলেন।
শুনানিতে জিয়াউল আহসান বলেন, "আমি ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) প্রধান ছিলাম, যা একটি নিরস্ত্র সংস্থা। আমি কীভাবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকি?" তিনি দাবি করেন, তাকে সেনাপ্রধানের নির্দেশে তার সহকর্মীরা ৭ আগস্ট রাতে আটক করে এবং গত কয়েকদিন তিনি নিজেও ‘আয়নাঘরে’ বন্দি ছিলেন।
রিমান্ড শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী নাজনীন নাহার দাবি করেন, জিয়াউল আহসান কখনোই ডিজিএফআইয়ে চাকরি করেননি এবং ‘আয়নাঘর’ সম্পর্কিত অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি আরও বলেন, "আয়নাঘর মিডিয়ার সৃষ্টি, যা ডিজিএফআইয়ের একটি কারাগার।"
তবে বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ উল্লাহ খান জুয়েল অভিযোগ করেন, "জিয়াউল আহসান ‘আয়নাঘরের’ একজন প্রবক্তা এবং তিনি গুম, খুনসহ বিগত সরকারের বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।"
শুনানি শেষে আদালত জিয়াউল আহসানকে আট দিনের রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী জিয়াউলকে কারাগারে পাঠানোর বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে বলেন, "কারাগারে তার জীবননাশের আশঙ্কা রয়েছে," এবং তার শারীরিক চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে।
উল্লেখ্য, কোটা আন্দোলনের সময় নিউ মার্কেট এলাকায় হকার শাহজাহানকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জিয়াউল আহসানকে বৃহস্পতিবার রাতে খিলক্ষেত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সরকার পরিবর্তনের পর সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ে রদবদলের অংশ হিসেবে ৬ আগস্ট তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এই মামলায় জিয়াউল আহসান ছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককেও গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।