ঢাকা ওয়াসার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। এই আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের পেশকার ফয়েজ আহমেদ।
আদালতের আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি এবং প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা লুটের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়েও দুদক তদন্ত করছে।
তাকসিমের বিদেশযাত্রা ঠেকাতে এর আগে সোমবার পুলিশের বিশেষ শাখাকে চিঠি পাঠিয়েছে দুদক। পাশাপাশি তাকসিমের বিরুদ্ধে আনা বিভিন্ন অভিযোগের তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে দুদক। এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন দুদকের সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম।
তদন্তের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবকে ২৮ আগস্টের মধ্যে তাকসিমের নিয়োগসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে তাকসিমের প্রথম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, নিয়োগসংক্রান্ত অভিজ্ঞতা, আবেদন, নিয়োগপত্রসহ সংশ্লিষ্ট সকল রেকর্ডের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া, তার চাকরির মেয়াদ কতবার বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং এই বিষয়ে নীতিমালা বা বিধি সম্পর্কিত রেকর্ডও জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাকসিম এ খানকে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর, তার মেয়াদ সাতবার বৃদ্ধি করা হয়। তবে সাম্প্রতিক গণআন্দোলনের ফলে সরকার পতনের দশ দিন পর, ১৫ আগস্ট তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের কাছে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
তাকসিম এ খানের নেতৃত্বে ওয়াসায় তার সময়কালে অনিয়ম ও দুর্নীতির নানা অভিযোগে তিনি বেশ কয়েকবার সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। তাঁর পদত্যাগ এবং অপসারণের দাবি ওঠে বহুবার, তবে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে তা কার্যকর হয়নি। শেষ পর্যন্ত সরকার পতনের পর তাকসিম যুগের অবসান ঘটে।
পদত্যাগের পর তার বিরুদ্ধে ‘অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের’ অভিযোগ তুলে তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানায় ‘ওয়াসার নিরাপদ পানি আন্দোলন’ সংগঠন।
শুক্রবার, ২৩ আগস্ট ২০২৪
ঢাকা ওয়াসার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। এই আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের পেশকার ফয়েজ আহমেদ।
আদালতের আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি এবং প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা লুটের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়েও দুদক তদন্ত করছে।
তাকসিমের বিদেশযাত্রা ঠেকাতে এর আগে সোমবার পুলিশের বিশেষ শাখাকে চিঠি পাঠিয়েছে দুদক। পাশাপাশি তাকসিমের বিরুদ্ধে আনা বিভিন্ন অভিযোগের তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে দুদক। এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন দুদকের সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম।
তদন্তের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবকে ২৮ আগস্টের মধ্যে তাকসিমের নিয়োগসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে তাকসিমের প্রথম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, নিয়োগসংক্রান্ত অভিজ্ঞতা, আবেদন, নিয়োগপত্রসহ সংশ্লিষ্ট সকল রেকর্ডের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া, তার চাকরির মেয়াদ কতবার বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং এই বিষয়ে নীতিমালা বা বিধি সম্পর্কিত রেকর্ডও জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাকসিম এ খানকে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর, তার মেয়াদ সাতবার বৃদ্ধি করা হয়। তবে সাম্প্রতিক গণআন্দোলনের ফলে সরকার পতনের দশ দিন পর, ১৫ আগস্ট তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের কাছে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
তাকসিম এ খানের নেতৃত্বে ওয়াসায় তার সময়কালে অনিয়ম ও দুর্নীতির নানা অভিযোগে তিনি বেশ কয়েকবার সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। তাঁর পদত্যাগ এবং অপসারণের দাবি ওঠে বহুবার, তবে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে তা কার্যকর হয়নি। শেষ পর্যন্ত সরকার পতনের পর তাকসিম যুগের অবসান ঘটে।
পদত্যাগের পর তার বিরুদ্ধে ‘অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের’ অভিযোগ তুলে তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানায় ‘ওয়াসার নিরাপদ পানি আন্দোলন’ সংগঠন।