আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী সারা হোসেন। শনিবার ‘সিভিল রিফর্ম গ্রুপ-বাংলাদেশ ২.০’ আয়োজিত এক নাগরিক সংলাপে সারা হোসেন এই মন্তব্য করেন। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) কার্যালয়ে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
সারা হোসেন বলেন, “বর্তমানে বিভিন্ন মামলায় ৩০, ৪০, এমনকি ৫০ জনের বেশি আসামি রাখা হচ্ছে। অনেকের রাগ ও ক্ষোভ থাকলেও, এই ধরনের মামলা টিকবে না এবং প্রথম ধাপেই পার হবে না। এসব মামলা আন্দোলন ও তার ফলস্বরূপ অর্জিত সফলতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই মামলাগুলি সৎভাবে পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। মামলার এজাহার ক্ষোভ ঝাড়ার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়।”
ব্রিটিশ আমলের মানহানি আইন পুনরায় ব্যবহৃত হচ্ছে উল্লেখ করে সারা হোসেন বলেন, “নতুন স্বাধীনতার যুগে ব্রিটিশ আমলের আইন পুনরায় ব্যবহৃত হচ্ছে, যা দুঃখজনক।”
মন্ত্রীরা এবং সংসদ সদস্যদের রিমান্ডের সময়কালের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সারা হোসেন বলেন, “রিমান্ডের বক্তব্য কী ছিল তা নিয়ে গণমাধ্যমে যেসব খবর আসছে, তার জন্য কাউকে জবাবদিহি করা হয়নি। রিমান্ডের বক্তব্য প্রকাশ বন্ধ করা উচিত এবং আইনকে স্বাভাবিকভাবে চলতে দেওয়া উচিত।”
কোটা সংস্কার আন্দোলনে ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত ৮০ শিশুর ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে মামলায় সাক্ষ্য হিসেবে উপস্থাপনের আহ্বান জানিয়ে সারা হোসেন বলেন, “আদালতকে অবিলম্বে দ্রুত বিচার আইন প্রয়োগ করে নিহতদের বিচারের জন্য নির্দেশ দিতে হবে। এর মাধ্যমে দেশ গঠনের কাজ শুরু করা যাবে।”
রোববার, ২৫ আগস্ট ২০২৪
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী সারা হোসেন। শনিবার ‘সিভিল রিফর্ম গ্রুপ-বাংলাদেশ ২.০’ আয়োজিত এক নাগরিক সংলাপে সারা হোসেন এই মন্তব্য করেন। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) কার্যালয়ে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
সারা হোসেন বলেন, “বর্তমানে বিভিন্ন মামলায় ৩০, ৪০, এমনকি ৫০ জনের বেশি আসামি রাখা হচ্ছে। অনেকের রাগ ও ক্ষোভ থাকলেও, এই ধরনের মামলা টিকবে না এবং প্রথম ধাপেই পার হবে না। এসব মামলা আন্দোলন ও তার ফলস্বরূপ অর্জিত সফলতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই মামলাগুলি সৎভাবে পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। মামলার এজাহার ক্ষোভ ঝাড়ার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়।”
ব্রিটিশ আমলের মানহানি আইন পুনরায় ব্যবহৃত হচ্ছে উল্লেখ করে সারা হোসেন বলেন, “নতুন স্বাধীনতার যুগে ব্রিটিশ আমলের আইন পুনরায় ব্যবহৃত হচ্ছে, যা দুঃখজনক।”
মন্ত্রীরা এবং সংসদ সদস্যদের রিমান্ডের সময়কালের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সারা হোসেন বলেন, “রিমান্ডের বক্তব্য কী ছিল তা নিয়ে গণমাধ্যমে যেসব খবর আসছে, তার জন্য কাউকে জবাবদিহি করা হয়নি। রিমান্ডের বক্তব্য প্রকাশ বন্ধ করা উচিত এবং আইনকে স্বাভাবিকভাবে চলতে দেওয়া উচিত।”
কোটা সংস্কার আন্দোলনে ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত ৮০ শিশুর ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে মামলায় সাক্ষ্য হিসেবে উপস্থাপনের আহ্বান জানিয়ে সারা হোসেন বলেন, “আদালতকে অবিলম্বে দ্রুত বিচার আইন প্রয়োগ করে নিহতদের বিচারের জন্য নির্দেশ দিতে হবে। এর মাধ্যমে দেশ গঠনের কাজ শুরু করা যাবে।”