পিলখানা বিদ্রোহের মামলায় বিডিআরের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহিমের কারাগারে মৃত্যুর ঘটনায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিডিআর প্রধান (পরে সেনাপ্রধান) জেনারেল আজিজ আহমেদসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আবেদন করা হয়েছে।
রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. আক্তারুজ্জামানের আদালতে এই আবেদন করেন আব্দুর রহিমের ছেলে অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ। আদালত বাদীর জবানবন্দি শুনে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চকবাজার থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. দেলোয়ার হোসেন অভি জানান, বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তারের পর আব্দুর রহিম ২০১০ সালের ২৯ জুলাই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন। বাদীপক্ষের দাবি, আসামিরা পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছেন।
এই ঘটনায় চকবাজার থানায় তখন একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আদালত সেই অপমৃত্যু মামলার নথি তলব করেছেন এবং জানতে চেয়েছেন, ওই মামলায় কোনো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হয়েছিল কিনা এবং আদালত কোনো আদেশ দিয়েছিল কিনা। এসব নথি উপস্থাপনের পর আদালত মামলাটি গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বিডিআর সদরদপ্তরে বিদ্রোহের সময় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা সহ ৭৪ জন নিহত হন। এই বিদ্রোহ দেশের ভেতরে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। পরবর্তী সময়ে বিডিআরের নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাখা হয় এবং বাহিনীর পোশাকেও পরিবর্তন আনা হয়।
বাদীপক্ষের অভিযোগে বলা হয়, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার বিদেশি এজেন্টদের দিয়ে পরিকল্পিতভাবে পিলখানায় বিদ্রোহ ঘটিয়ে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করে। বিদ্রোহের পর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
বাদীর আর্জিতে শেখ হাসিনা, জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং পিলখানা বিদ্রোহ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজলসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাদী আরও উল্লেখ করেন, তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম পিলখানায় ডিএডি হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং বিদ্রোহের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছয় মাস পর কারাগারে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়।
রোববার, ২৫ আগস্ট ২০২৪
পিলখানা বিদ্রোহের মামলায় বিডিআরের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহিমের কারাগারে মৃত্যুর ঘটনায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিডিআর প্রধান (পরে সেনাপ্রধান) জেনারেল আজিজ আহমেদসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আবেদন করা হয়েছে।
রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. আক্তারুজ্জামানের আদালতে এই আবেদন করেন আব্দুর রহিমের ছেলে অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ। আদালত বাদীর জবানবন্দি শুনে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চকবাজার থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. দেলোয়ার হোসেন অভি জানান, বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তারের পর আব্দুর রহিম ২০১০ সালের ২৯ জুলাই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন। বাদীপক্ষের দাবি, আসামিরা পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছেন।
এই ঘটনায় চকবাজার থানায় তখন একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আদালত সেই অপমৃত্যু মামলার নথি তলব করেছেন এবং জানতে চেয়েছেন, ওই মামলায় কোনো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হয়েছিল কিনা এবং আদালত কোনো আদেশ দিয়েছিল কিনা। এসব নথি উপস্থাপনের পর আদালত মামলাটি গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বিডিআর সদরদপ্তরে বিদ্রোহের সময় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা সহ ৭৪ জন নিহত হন। এই বিদ্রোহ দেশের ভেতরে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। পরবর্তী সময়ে বিডিআরের নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাখা হয় এবং বাহিনীর পোশাকেও পরিবর্তন আনা হয়।
বাদীপক্ষের অভিযোগে বলা হয়, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার বিদেশি এজেন্টদের দিয়ে পরিকল্পিতভাবে পিলখানায় বিদ্রোহ ঘটিয়ে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করে। বিদ্রোহের পর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
বাদীর আর্জিতে শেখ হাসিনা, জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং পিলখানা বিদ্রোহ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজলসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাদী আরও উল্লেখ করেন, তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম পিলখানায় ডিএডি হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং বিদ্রোহের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছয় মাস পর কারাগারে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়।