ইয়েমেনি ভূখণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান অভিযানে এ পর্যন্ত মোট ১২৩ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটির তথ্যমতে, মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হওয়া এই মার্কিন অভিযানে এখন পর্যন্ত আহত হয়েছেন প্রায় আড়াই শ নাগরিক। যাদের মধ্যে রয়েছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী ও শিশু। যদিও ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, ইয়েমেনি ভূখণ্ডে তাদের হামলার একমাত্র লক্ষ্য হুতিরা। তবে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর তথ্য বলছে ভিন্ন কথা। ইয়েমেনি সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, এই অভিযানে মূলত বেসামরিকদেরই লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে।
কিন্তু ওয়াশিংটনের দাবি, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হুতি বিদ্রোহীদের হামলা এবং লোহিত সাগর দিয়ে চলাচলরত বাডুজ্য জাহাজগুলোর নিরাপত্তার স্বার্থেই এই অভিযান চালানো হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীটিকে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন করা হবে। রই মধ্যে হুতিরা দুর্বল হয়ে পড়েছে বলেও দাবি করেছেন ট্রাম্প। তবে, হুতি বিদ্রোহীরা বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের অভিযান পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তারা আরও দাবি করছে, হুতিদের সঙ্গে না পেরে বেসামরিক কর্মকর্তা এবং অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে মার্কিন সেনারা। গোষ্ঠীটি মার্কিন প্রশাসনকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও অবরোধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত হুতিদের সামরিক অভিযান চলবেই। একে ফিলিস্তিনের প্রতি নিজেদের নৈতিক দায়িত্ব বলেও অভিহিত করে তারা। গত রোববার সানার একটি সিরামিক কারখানায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এতে ছয়জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়। সানার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলে, বেসামরিক লোকজন ও অবকাঠামোতে যুক্তরাষ্ট্রের এমন হামলা গণহত্যার শামিল। পরদিন সোমবার হুতি নিয়ন্ত্রিত আল–মাসিরাহ টিভি জানায়, ইয়েমেনজুড়ে নির্বিচারে বিমান হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
যার মধ্যে ১৫টিই চালানো হয় মা’রিব প্রদেশে।
এদিকে, চুপ করে বসে নেই হুতিরা। তারাও যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ জাহাজ ও ইসরায়েল লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। রোববারও ইসরায়েলি ভূখ-ে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে গোষ্ঠীটি। তাদের দাবি, ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ একটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীও হুতিদের হামলার কথা স্বীকার করেছে। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় জেরুজালেম ও তেল আবিবে সাইরেন বেজে ওঠে। ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে বলেও জানায় তারা।
ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হুতিদের এই হামলাকে স্বাগত জানিয়েছে হামাস। এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইয়েমেন নিজেই রক্তাক্ত হচ্ছে। তবু, তারা ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়ে জায়নবাদী ইহুদিদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রেখেছে। ফিলিস্তিনিরা ইহুদিদের এই অবদান কখনো ভুলবে না। ’ এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি ইসরায়েল ও তার মিত্রদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে, ‘ইসরায়েলি শত্রু এবং আমেরিকানদের বুঝতে হবে যে, ইয়েমেনের নেতৃত্ব, জনগণ ও সেনাবাহিনী কখনোই ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানানো বন্ধ করবে না। পরিণাম যা-ই হোক কখনোই পিছু হটবে না ইয়েমেন। ’
মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
ইয়েমেনি ভূখণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান অভিযানে এ পর্যন্ত মোট ১২৩ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটির তথ্যমতে, মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হওয়া এই মার্কিন অভিযানে এখন পর্যন্ত আহত হয়েছেন প্রায় আড়াই শ নাগরিক। যাদের মধ্যে রয়েছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী ও শিশু। যদিও ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, ইয়েমেনি ভূখণ্ডে তাদের হামলার একমাত্র লক্ষ্য হুতিরা। তবে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর তথ্য বলছে ভিন্ন কথা। ইয়েমেনি সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, এই অভিযানে মূলত বেসামরিকদেরই লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে।
কিন্তু ওয়াশিংটনের দাবি, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হুতি বিদ্রোহীদের হামলা এবং লোহিত সাগর দিয়ে চলাচলরত বাডুজ্য জাহাজগুলোর নিরাপত্তার স্বার্থেই এই অভিযান চালানো হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীটিকে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন করা হবে। রই মধ্যে হুতিরা দুর্বল হয়ে পড়েছে বলেও দাবি করেছেন ট্রাম্প। তবে, হুতি বিদ্রোহীরা বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের অভিযান পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তারা আরও দাবি করছে, হুতিদের সঙ্গে না পেরে বেসামরিক কর্মকর্তা এবং অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে মার্কিন সেনারা। গোষ্ঠীটি মার্কিন প্রশাসনকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও অবরোধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত হুতিদের সামরিক অভিযান চলবেই। একে ফিলিস্তিনের প্রতি নিজেদের নৈতিক দায়িত্ব বলেও অভিহিত করে তারা। গত রোববার সানার একটি সিরামিক কারখানায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এতে ছয়জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়। সানার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলে, বেসামরিক লোকজন ও অবকাঠামোতে যুক্তরাষ্ট্রের এমন হামলা গণহত্যার শামিল। পরদিন সোমবার হুতি নিয়ন্ত্রিত আল–মাসিরাহ টিভি জানায়, ইয়েমেনজুড়ে নির্বিচারে বিমান হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
যার মধ্যে ১৫টিই চালানো হয় মা’রিব প্রদেশে।
এদিকে, চুপ করে বসে নেই হুতিরা। তারাও যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ জাহাজ ও ইসরায়েল লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। রোববারও ইসরায়েলি ভূখ-ে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে গোষ্ঠীটি। তাদের দাবি, ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ একটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীও হুতিদের হামলার কথা স্বীকার করেছে। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় জেরুজালেম ও তেল আবিবে সাইরেন বেজে ওঠে। ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে বলেও জানায় তারা।
ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হুতিদের এই হামলাকে স্বাগত জানিয়েছে হামাস। এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইয়েমেন নিজেই রক্তাক্ত হচ্ছে। তবু, তারা ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়ে জায়নবাদী ইহুদিদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রেখেছে। ফিলিস্তিনিরা ইহুদিদের এই অবদান কখনো ভুলবে না। ’ এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি ইসরায়েল ও তার মিত্রদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে, ‘ইসরায়েলি শত্রু এবং আমেরিকানদের বুঝতে হবে যে, ইয়েমেনের নেতৃত্ব, জনগণ ও সেনাবাহিনী কখনোই ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানানো বন্ধ করবে না। পরিণাম যা-ই হোক কখনোই পিছু হটবে না ইয়েমেন। ’