সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। এ সিদ্ধান্তের ফলে আগামী সপ্তাহে তার নির্ধারিত হোয়াইট হাউস সফরে আর কোনো বাধা থাকছে না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয় নিরাপত্তা পরিষদ। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
আহমেদ আল-শারার নেতৃত্বে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বিদ্রোহী যোদ্ধারা বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর তিনি সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। আর এর মধ্য দিয়েই দেশটির ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটে।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজ বলেন, “এই ভোট জাতিসংঘের পক্ষ থেকে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক বার্তা যে, সিরিয়ায় আসাদের শাসনের অবসান ঘটেছে এবং দেশটি এখন এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে।” শারা মূলত জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিলেন, কারণ তিনি ইসলামপন্থি সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-এর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আর এই সংগঠনটি একসময় আল-কায়েদার সহযোগী সংগঠন হিসেবে পরিচিত ছিল। যুক্তরাষ্ট্র গত জুলাইয়ে এইচটিএসকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দেয়।
এছাড়া নিরাপত্তা পরিষদ সিরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনাস খাত্তাবের ওপর থেকেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “সিরিয়া যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের বন্ধু দেশগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞ, যারা সিরিয়া ও এর জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।” বিবিসি বলছে, আগামী সোমবার আহমেদ আল-শারা হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ট্রাম্প এর আগে বলেছিলেন, সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে “উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি” অর্জন করেছেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। এ সিদ্ধান্তের ফলে আগামী সপ্তাহে তার নির্ধারিত হোয়াইট হাউস সফরে আর কোনো বাধা থাকছে না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয় নিরাপত্তা পরিষদ। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
আহমেদ আল-শারার নেতৃত্বে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বিদ্রোহী যোদ্ধারা বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর তিনি সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। আর এর মধ্য দিয়েই দেশটির ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটে।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজ বলেন, “এই ভোট জাতিসংঘের পক্ষ থেকে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক বার্তা যে, সিরিয়ায় আসাদের শাসনের অবসান ঘটেছে এবং দেশটি এখন এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে।” শারা মূলত জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিলেন, কারণ তিনি ইসলামপন্থি সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-এর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আর এই সংগঠনটি একসময় আল-কায়েদার সহযোগী সংগঠন হিসেবে পরিচিত ছিল। যুক্তরাষ্ট্র গত জুলাইয়ে এইচটিএসকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দেয়।
এছাড়া নিরাপত্তা পরিষদ সিরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনাস খাত্তাবের ওপর থেকেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “সিরিয়া যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের বন্ধু দেশগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞ, যারা সিরিয়া ও এর জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।” বিবিসি বলছে, আগামী সোমবার আহমেদ আল-শারা হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ট্রাম্প এর আগে বলেছিলেন, সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে “উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি” অর্জন করেছেন।