alt

জাতীয়

বিচারপতি শামসুদ্দিনকে ঢাকা ও সিলেটে ছয় মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন

আকাশ চৌধুরী, সিলেট : সোমবার, ২৬ আগস্ট ২০২৪

সিলেট সীমান্তে আটক সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে (৭৪) ঢাকা ও সিলেটে ছয় মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন জানানো হয়েছে। শুক্রবার রাতে কানাইঘাটের দনা সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করার পর শনিবার বিকেলে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এরপর আদালত বিচারপতি শামসুদ্দিনকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। প্রথমদিকে ৫৪ ধারায় তাকে গ্রেফতার দেখালেও পরে রোববার গভীর রাতে কানাইঘাট থানার এস আই পীযূষ চন্দ্র সিংহ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে ১৯৭৩ সালের পাসপোর্ট আইন অনুযায়ী "পাসপোর্ট ও ভিসা ব্যতীত অবৈধভাবে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করার অপরাধ" এনে একটি মামলা দায়ের করেন । মামলায় আসামি হিসেবে তার নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে "(এল কে আর ৬ বি) জনাব, আবুল হোসেন মোহাম্মদ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক (৭৪), পিতা মৃত হাজী আব্দুল হাকিম চৌধুরী, গ্রাম- লৌহজং, থানা- লৌহজং, জেলা- মুন্সিগঞ্জ। বর্তমান ঠিকানা- উত্তর নয়নগর, থানা- ভাটারা, জেলা- ঢাকা।" এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এস আই মোহাম্মদ মোরশেদ আলমকে।

এর আগে গত শনিবার বিকেলে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে সিলেটের বিজ্ঞ অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত নং ৫ (কানাইঘাট) এ সোপর্দ করার সময় কানাইঘাট থানার সাধারণ ডায়েরি ৮০২ মূলে এস আই মো: সোহেল মাহমুদ লিখিতভাবে জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী আবুল হোসেন মোহাম্মদ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলার রুজু আছে। তদন্তাধীন মামলা সমূহে তাকে গ্রেফতার দেখানোর লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট থানা সমূহে বেতার বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে।

সিলেট আদালত সূত্র জানায়, সদ্য কানাইঘাট থানায় বাংলাদেশ পাসপোর্ট আদেশ নং ১৯৭৩ এর ১১/( ১)( ৩) ধারায় মামলা নং ১০, তাং ২৫ আগস্ট ২০২৪ মামলা দায়ের ছাড়াও ঢাকার বাড্ডা থানায় তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটির তথ্য পাওয়া গেছে যা হলো, মামলা নং-৪, তাং ২০ আগস্ট ২০২৪, ধারা ৩০২/১০৯ দন্ডবিধি। লালবাগ থানায় মামলা নং-৭, তাং ১৯ আগস্ট ২০২৪, ধারা ১৪৩/ ৩২৩/ ৩০৭/ ৩০২/ ১১৪/ ৩৪/ ১০৯ দন্ডবিধি। আদাবর থানার মামলা নং ৪, তাং-২ ২ আগস্ট ২০২৪, ধারা ৩০২/ ১০৯/ ১১৪/ ১২০/ ১৪৩/ ১৪৮/ ১৪৯/ ১৫৩/ ৩৪ দন্ডবিধি মামলার খবর পাওয়া গেছে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ।

এদিকে শনিবার বিকেলে আদালতে প্রেরণ করার সময় বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য রোববার আট সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন। যদি সব ঠিকঠাক থাকে, হয়তো দুই-চার দিনের মধ্যে ছেড়ে দেয়া যাবে।

আদালতে প্রবেশের সময় আদালত প্রাঙ্গণে থাকা দলবদ্ধ কিছু ব্যক্তি শামসুদ্দিন চৌধুরীকে বেধড়ক কিলঘুষি মারেন। অনেকে ডিম ছোড়ার পাশাপাশি জুতাও নিক্ষেপ করেন। কেউ কেউ শামসুদ্দিন চৌধুরীর নাম উল্লেখ করে কটূক্তিমূলক স্লোগানও দেন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে জখম করেন। এসব দলবদ্ধ ব্যক্তির আক্রমণ থেকে বাঁচিয়ে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা কোনোরকমে শামসুদ্দিন চৌধুরীকে আদালত ভবনে ঢোকান।

কারাগারের একটি সূত্র জানিয়েছে, শনিবার বিকেলে আদালত থেকে শামসুদ্দিন চৌধুরীকে শহরতলির বাদাঘাট এলাকায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক তাঁকে ‘আনফিট’ উল্লেখ করে ওসমানী হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী সন্ধ্যায় শামসুদ্দিন চৌধুরীকে হাসপাতালে আনা হয়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শামসুদ্দিন চৌধুরীর চিকিৎসার জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শিশির চক্রবর্ত্তীকে সভাপতি করে আট সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাঁরা সকালে শামসুদ্দিনের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছেন।

মেডিকেল বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন রেডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আশিকুর রহমান মজুমদার, অ্যান্ড্রোক্রাইনোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. শাহ ইমরান, কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. মোখলেছুর রহমান, সার্জারি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ মাহমুদ, অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. খায়রুল বাশার, ইউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম ও প্যাথলজি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ ক্লিনিক্যাল প্যাথলজিস্ট কান্তা নারায়ণ চক্রবর্তী।

মেডিকেল বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, শামসুদ্দিন চৌধুরী হাসপাতালের চতুর্থ তলায় সার্জারি ওয়ার্ড ৪-এর অধীনে আইসিইউ-২-এ ভর্তি আছেন। গতকাল রাত পৌনে ৯টার দিকে তাঁর স্কোটাল ইনজুরির (অণ্ডকোষে আঘাত) অস্ত্রোপচার হয়।

মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য বলেন, শামসুদ্দিন চৌধুরীর যে অস্ত্রোপচার হয়েছে, সেই আঘাতটি নতুন। এর বাইরে বড় ধরনের জখম তাঁর শরীরে ছিল না।

মেডিকেল বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক শিশির চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘আমরা দেখেছি। মূলত তাঁর হার্টে সমস্যা আছে। ১০ বছর আগে তিনি বাইপাস করেছিলেন। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ আছে। এখন তিনি (শামসুদ্দিন) ভালো আছেন।’

রাজনীতি নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে না ফেরার ঘোষণা ঢাবি শিক্ষার্থীদের

ছবি

রাজউক কর্মকর্তা ইলিয়াস মোল্লার সম্পদের পাহাড়

তদন্তে সম্পৃক্ততা না মিললে মামলা থেকে নাম বাদ, পুলিশের নির্দেশনা

বাংলাদেশের বন্যায় এক মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে জাপান : রাষ্ট্রদূত

সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

ছবি

যে কথা বলছে, রাজশাহীর দেয়াল চিত্রগুলো

গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের তালিকা যাচাইয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কমিটি

ছবি

বড়পুকুরিয়া তাপ-বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১নং ইউনিটে উৎপাদন শুরু

ছবি

বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কক্সবাজার, পাহাড়ধসে ৭ জনের মৃত্যু

ছবি

সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের জন্য চালু হলো ই-পাসপোর্ট

অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে সদস্যদের জন্য বাক্কোর সচেতনতা কর্মশালা

ছবি

তদন্তে সম্পৃক্ততা না পেলে মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশনা

ছবি

লিবিয়া থেকে ফিরলেন ১৫০ জন অনিয়মিত বাংলাদেশি

ছবি

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও তিন হত্যা মামলা, এক মামলায় হাসিনার সঙ্গে ২৫ সাংবাদিক আসামি

ছবি

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু

ছবি

সীমান্তে পাচারের সময় ৪৪০ কেজি ইলিশ জব্দ

ছবি

লক্ষ্মীপুরে বন্যায় চর্মরোগ, জ্বর-ডায়রিয়া ঘরে ঘরে, আক্রান্ত বেশি নারী ও শিশু

গণমাধ্যম কমিশন গঠন করা হবে, জানালেন উপদেষ্টা নাহিদ

ছবি

ডেঙ্গু : হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ, ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাম-গঞ্জেও

বেসিক ব্যাংকের বাচ্চু ও স্ত্রী-পুত্রদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ

তালিকা চূড়ান্ত হয়নি, ১৪ সেপ্টেম্বর স্মরণসভা হচ্ছে না

দেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসায় বড় সমস্যা ঘুষ, বললেন সালেহ উদ্দিন

গুমের তথ্য চেয়ে কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি

বিদ্যুৎ-জ্বালানি : ‘মুনাফা’ বোনাসের তদন্ত করবে অন্তর্বর্তী সরকার

শ্রমিক, মালিক ও সরকারকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

সংস্কার প্রস্তাবের পর সংলাপ, তারপর নির্বাচনের কথা ভাবছে সরকার

ছবি

পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভে অর্ডার বাতিল, সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার

ছবি

বাংলাদেশ ভ্রমণে সতর্কতার মাত্রা কমিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়নে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

ছবি

ছাত্র-জনতার স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে যা প্রয়োজন তাই করা হবে : মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি

পুলিশ কোন গোষ্ঠীর নয়, জনতার- এস এম পি কমিশনার

কিবরিয়া হত্যাসহ চার মামলায় জামিন পেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী বাবর

ছবি

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হবে ‘চোখে চোখ’ রেখে : সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ

ছবি

বিচারপতি মানিক হাসপাতাল থেকে কারাগারে

ছবি

পদ হারালেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি রোবেদ আমিন

ছবি

দুই সচিব হলেন ওএসডি

tab

জাতীয়

বিচারপতি শামসুদ্দিনকে ঢাকা ও সিলেটে ছয় মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন

আকাশ চৌধুরী, সিলেট

সোমবার, ২৬ আগস্ট ২০২৪

সিলেট সীমান্তে আটক সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে (৭৪) ঢাকা ও সিলেটে ছয় মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন জানানো হয়েছে। শুক্রবার রাতে কানাইঘাটের দনা সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করার পর শনিবার বিকেলে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এরপর আদালত বিচারপতি শামসুদ্দিনকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। প্রথমদিকে ৫৪ ধারায় তাকে গ্রেফতার দেখালেও পরে রোববার গভীর রাতে কানাইঘাট থানার এস আই পীযূষ চন্দ্র সিংহ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে ১৯৭৩ সালের পাসপোর্ট আইন অনুযায়ী "পাসপোর্ট ও ভিসা ব্যতীত অবৈধভাবে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করার অপরাধ" এনে একটি মামলা দায়ের করেন । মামলায় আসামি হিসেবে তার নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে "(এল কে আর ৬ বি) জনাব, আবুল হোসেন মোহাম্মদ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক (৭৪), পিতা মৃত হাজী আব্দুল হাকিম চৌধুরী, গ্রাম- লৌহজং, থানা- লৌহজং, জেলা- মুন্সিগঞ্জ। বর্তমান ঠিকানা- উত্তর নয়নগর, থানা- ভাটারা, জেলা- ঢাকা।" এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এস আই মোহাম্মদ মোরশেদ আলমকে।

এর আগে গত শনিবার বিকেলে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে সিলেটের বিজ্ঞ অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত নং ৫ (কানাইঘাট) এ সোপর্দ করার সময় কানাইঘাট থানার সাধারণ ডায়েরি ৮০২ মূলে এস আই মো: সোহেল মাহমুদ লিখিতভাবে জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী আবুল হোসেন মোহাম্মদ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলার রুজু আছে। তদন্তাধীন মামলা সমূহে তাকে গ্রেফতার দেখানোর লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট থানা সমূহে বেতার বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে।

সিলেট আদালত সূত্র জানায়, সদ্য কানাইঘাট থানায় বাংলাদেশ পাসপোর্ট আদেশ নং ১৯৭৩ এর ১১/( ১)( ৩) ধারায় মামলা নং ১০, তাং ২৫ আগস্ট ২০২৪ মামলা দায়ের ছাড়াও ঢাকার বাড্ডা থানায় তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটির তথ্য পাওয়া গেছে যা হলো, মামলা নং-৪, তাং ২০ আগস্ট ২০২৪, ধারা ৩০২/১০৯ দন্ডবিধি। লালবাগ থানায় মামলা নং-৭, তাং ১৯ আগস্ট ২০২৪, ধারা ১৪৩/ ৩২৩/ ৩০৭/ ৩০২/ ১১৪/ ৩৪/ ১০৯ দন্ডবিধি। আদাবর থানার মামলা নং ৪, তাং-২ ২ আগস্ট ২০২৪, ধারা ৩০২/ ১০৯/ ১১৪/ ১২০/ ১৪৩/ ১৪৮/ ১৪৯/ ১৫৩/ ৩৪ দন্ডবিধি মামলার খবর পাওয়া গেছে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ।

এদিকে শনিবার বিকেলে আদালতে প্রেরণ করার সময় বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য রোববার আট সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন। যদি সব ঠিকঠাক থাকে, হয়তো দুই-চার দিনের মধ্যে ছেড়ে দেয়া যাবে।

আদালতে প্রবেশের সময় আদালত প্রাঙ্গণে থাকা দলবদ্ধ কিছু ব্যক্তি শামসুদ্দিন চৌধুরীকে বেধড়ক কিলঘুষি মারেন। অনেকে ডিম ছোড়ার পাশাপাশি জুতাও নিক্ষেপ করেন। কেউ কেউ শামসুদ্দিন চৌধুরীর নাম উল্লেখ করে কটূক্তিমূলক স্লোগানও দেন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে জখম করেন। এসব দলবদ্ধ ব্যক্তির আক্রমণ থেকে বাঁচিয়ে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা কোনোরকমে শামসুদ্দিন চৌধুরীকে আদালত ভবনে ঢোকান।

কারাগারের একটি সূত্র জানিয়েছে, শনিবার বিকেলে আদালত থেকে শামসুদ্দিন চৌধুরীকে শহরতলির বাদাঘাট এলাকায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক তাঁকে ‘আনফিট’ উল্লেখ করে ওসমানী হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী সন্ধ্যায় শামসুদ্দিন চৌধুরীকে হাসপাতালে আনা হয়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শামসুদ্দিন চৌধুরীর চিকিৎসার জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শিশির চক্রবর্ত্তীকে সভাপতি করে আট সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাঁরা সকালে শামসুদ্দিনের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছেন।

মেডিকেল বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন রেডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আশিকুর রহমান মজুমদার, অ্যান্ড্রোক্রাইনোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. শাহ ইমরান, কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. মোখলেছুর রহমান, সার্জারি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ মাহমুদ, অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. খায়রুল বাশার, ইউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম ও প্যাথলজি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ ক্লিনিক্যাল প্যাথলজিস্ট কান্তা নারায়ণ চক্রবর্তী।

মেডিকেল বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, শামসুদ্দিন চৌধুরী হাসপাতালের চতুর্থ তলায় সার্জারি ওয়ার্ড ৪-এর অধীনে আইসিইউ-২-এ ভর্তি আছেন। গতকাল রাত পৌনে ৯টার দিকে তাঁর স্কোটাল ইনজুরির (অণ্ডকোষে আঘাত) অস্ত্রোপচার হয়।

মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য বলেন, শামসুদ্দিন চৌধুরীর যে অস্ত্রোপচার হয়েছে, সেই আঘাতটি নতুন। এর বাইরে বড় ধরনের জখম তাঁর শরীরে ছিল না।

মেডিকেল বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক শিশির চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘আমরা দেখেছি। মূলত তাঁর হার্টে সমস্যা আছে। ১০ বছর আগে তিনি বাইপাস করেছিলেন। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ আছে। এখন তিনি (শামসুদ্দিন) ভালো আছেন।’

back to top