বন্যার্তদের পাশে সমন্বিত শক্তি ও সামর্থ্য নিয়ে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ২৭ জন বিশিষ্ট নাগরিক। আজ সোমবার এক বিবৃতিতে তারা এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই বন্যাসৃষ্ট দুর্যোগ মুহূর্তে নাগরিক সমাজের, বিশেষত বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও নাগরিক সংস্থাগুলোকে আরও বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন এবং বন্যার্তদের পাশে সমন্বিতভাবে দাঁড়াতে বিশেষভাবে আহ্বান জানাচ্ছি।
সেই সঙ্গে নিচের বিষয়গুলির প্রতি দৃষ্টি দিতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়।
১. যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী বন্যার্তদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়াতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা। শুকনা খাবার, পানি, পোশাক, জরুরি ওষুধ, নগদ অর্থ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য সংগ্রহ করে কাছের শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের ত্রাণ কেন্দ্রে পৌঁছানো বা নিজেদের কোনও সমন্বিত কার্যক্রম থাকলে সেখানে দ্রুত সময়ের মধ্যে পাঠানোর ব্যবস্থা করা। এছাড়া প্রয়োজনে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা এবং তাদের সহায়তা দেওয়া।
২. বন্যাকবলিত জেলাগুলির যোগাযোগ ব্যবস্থা শুধু বিপর্যস্ত হয়নি, পরিবহন খরচও নানা কারণে বেড়েছে। সে কারণে আলাদা আলাদাভাবে ত্রাণসামগ্রী বন্যার্তদের কাছে নিয়ে যাওয়ার বদলে সমন্বিতভাবে ওই সব সামগ্রী পৌঁছানোর ব্যবস্থা করলে পরিবহন ব্যয় সাশ্রয় হবে। সহায়তার পরিমাণও বেশি দেওয়া যাবে।
৩. সহায়তার দ্রব্যসামগ্রী বিতরণের সময় দূরের ও দুর্গম এলাকার পানিবন্দি মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
৪. সামাজিকভাবে যারা বৈষম্যের শিকার সেসব সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক মানুষ যেমন গ্রামীণ নারী, শিশু, অসুস্থ প্রবীণ নারী-পুরুষ, প্রতিবন্ধী, দলিত, আদিবাসী ও তৃতীয় লিঙ্গের কোনও মানুষ থাকলে তাদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।
৫. বন্যার সময় অনেক ধরণের অপরাধ সংঘটিত হতে পারে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাও অতীতে ঘটেছে। নারীদের যৌন হয়রানির বিষয়টিও এ সময় ঘটতে পারে বলে আমরা অভিজ্ঞতা থেকে জানি। এসব বিষয়ে বিশেষ নজর রাখা এবং কোনও ঘটনার তথ্য পেলে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে যা করণীয় তা দ্রুত করার চেষ্টা করা। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা চাওয়ার পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগের অনুরোধ করা হচ্ছে।
৬. জরুরি ত্রাণ বিতরণের সময় বন্যার্তদের জন্য মধ্য-মেয়াদি ও দীর্ঘ-মেয়াদি চাহিদা বা প্রয়োজনের তথ্য বা তালিকাও প্রাথমিকভাবে করে ফেলা গুরুত্বপূর্ণ।
৭. কোনও কোনও বন্যাপীড়িত এলাকায় সহায়তার কাজে নয়, এক শ্রেণীর মানুষ অপ্রয়োজনীয় ভিড় বাড়াচ্ছেন। তারা বন্যার্তদের বিরক্তি ও হয়রানির কারণ হয়ে উঠছেন বলে অভিযোগ আসছে। এ সব দর্শনার্থীদের বন্যাকবলিত এলাকায় যাওয়া রোধ কিংবা নিরুৎসাহিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করার জন্য সামাজিক সংগঠন ও শিক্ষার্থী সমাজের প্রতিও আমরা বিশেষ আহ্বান রাখছি।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন সুলতানা কামাল, খুশী কবির, জেড আই খান পান্না, রোবায়েত ফেরদৌস, রেজাউল করিম চৌধুরী, তাসনীম সিরাজ মাহবুব, সুব্রত চৌধুরী, পারভীন হাসান, সালমা আলী, শামসুল হুদা, জাকির হোসেন, ফিরদৌস আজিম, কাজল দেবনাথ, নায়লা জে. খান, মো. নুর খান, জোবায়দা নাসরিন প্রমুখ।
সোমবার, ২৬ আগস্ট ২০২৪
বন্যার্তদের পাশে সমন্বিত শক্তি ও সামর্থ্য নিয়ে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ২৭ জন বিশিষ্ট নাগরিক। আজ সোমবার এক বিবৃতিতে তারা এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই বন্যাসৃষ্ট দুর্যোগ মুহূর্তে নাগরিক সমাজের, বিশেষত বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও নাগরিক সংস্থাগুলোকে আরও বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন এবং বন্যার্তদের পাশে সমন্বিতভাবে দাঁড়াতে বিশেষভাবে আহ্বান জানাচ্ছি।
সেই সঙ্গে নিচের বিষয়গুলির প্রতি দৃষ্টি দিতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়।
১. যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী বন্যার্তদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়াতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা। শুকনা খাবার, পানি, পোশাক, জরুরি ওষুধ, নগদ অর্থ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য সংগ্রহ করে কাছের শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের ত্রাণ কেন্দ্রে পৌঁছানো বা নিজেদের কোনও সমন্বিত কার্যক্রম থাকলে সেখানে দ্রুত সময়ের মধ্যে পাঠানোর ব্যবস্থা করা। এছাড়া প্রয়োজনে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা এবং তাদের সহায়তা দেওয়া।
২. বন্যাকবলিত জেলাগুলির যোগাযোগ ব্যবস্থা শুধু বিপর্যস্ত হয়নি, পরিবহন খরচও নানা কারণে বেড়েছে। সে কারণে আলাদা আলাদাভাবে ত্রাণসামগ্রী বন্যার্তদের কাছে নিয়ে যাওয়ার বদলে সমন্বিতভাবে ওই সব সামগ্রী পৌঁছানোর ব্যবস্থা করলে পরিবহন ব্যয় সাশ্রয় হবে। সহায়তার পরিমাণও বেশি দেওয়া যাবে।
৩. সহায়তার দ্রব্যসামগ্রী বিতরণের সময় দূরের ও দুর্গম এলাকার পানিবন্দি মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
৪. সামাজিকভাবে যারা বৈষম্যের শিকার সেসব সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক মানুষ যেমন গ্রামীণ নারী, শিশু, অসুস্থ প্রবীণ নারী-পুরুষ, প্রতিবন্ধী, দলিত, আদিবাসী ও তৃতীয় লিঙ্গের কোনও মানুষ থাকলে তাদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।
৫. বন্যার সময় অনেক ধরণের অপরাধ সংঘটিত হতে পারে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাও অতীতে ঘটেছে। নারীদের যৌন হয়রানির বিষয়টিও এ সময় ঘটতে পারে বলে আমরা অভিজ্ঞতা থেকে জানি। এসব বিষয়ে বিশেষ নজর রাখা এবং কোনও ঘটনার তথ্য পেলে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে যা করণীয় তা দ্রুত করার চেষ্টা করা। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা চাওয়ার পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগের অনুরোধ করা হচ্ছে।
৬. জরুরি ত্রাণ বিতরণের সময় বন্যার্তদের জন্য মধ্য-মেয়াদি ও দীর্ঘ-মেয়াদি চাহিদা বা প্রয়োজনের তথ্য বা তালিকাও প্রাথমিকভাবে করে ফেলা গুরুত্বপূর্ণ।
৭. কোনও কোনও বন্যাপীড়িত এলাকায় সহায়তার কাজে নয়, এক শ্রেণীর মানুষ অপ্রয়োজনীয় ভিড় বাড়াচ্ছেন। তারা বন্যার্তদের বিরক্তি ও হয়রানির কারণ হয়ে উঠছেন বলে অভিযোগ আসছে। এ সব দর্শনার্থীদের বন্যাকবলিত এলাকায় যাওয়া রোধ কিংবা নিরুৎসাহিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করার জন্য সামাজিক সংগঠন ও শিক্ষার্থী সমাজের প্রতিও আমরা বিশেষ আহ্বান রাখছি।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন সুলতানা কামাল, খুশী কবির, জেড আই খান পান্না, রোবায়েত ফেরদৌস, রেজাউল করিম চৌধুরী, তাসনীম সিরাজ মাহবুব, সুব্রত চৌধুরী, পারভীন হাসান, সালমা আলী, শামসুল হুদা, জাকির হোসেন, ফিরদৌস আজিম, কাজল দেবনাথ, নায়লা জে. খান, মো. নুর খান, জোবায়দা নাসরিন প্রমুখ।