জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন,‘সাড়ে ১৫ বছর দেশ শাসন করে লক্ষ্মণ সেনের মতো দেশত্যাগ উনার (শেখ হাসিনার) জন্য মানানসই হয়নি।
গতকাল মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান মিডিয়া করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ইমক্যাব) সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে জামায়াতের আমির এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর, সহায়-সম্পদ, ধর্মীয় উপাসনালয় পাহারা দিয়েছি, যাতে কেউ ভাঙচুর করতে না পারে। আমরা বিশ্বাস করি, সব মানুষ সমান। এখানে সংখ্যাগুরু, সংখ্যালঘুর কোনো প্রশ্ন নেই। নাগরিক হিসেবে সবাই সমান অধিকার পাবেন, এটাই স্বাভাবিক। আমরা চাই, দেশে দ্রুত শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে আসুক।
দেশের সংবিধান, প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও রাজনৈতিক সংস্কৃতির সংস্কার হওয়া দরকার।’
আমিরে জামায়াত বলেন, ‘দল বা ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বিভাজন করা যাবে না। আমরা প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা দল হিসেবে সবার অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা অসত্য, বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে কাউকে হয়রানি করা পছন্দ করি না। জামায়াত কখনো কোনো হয়রানিমূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না, এখনো নেই।’
এক প্রশ্নের জবাবে আমিরে জামায়াত বলেন, বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। একজন প্রধান বিচারপতিকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন সিস্টেম বলতে কিছু নেই। পুলিশ বাহিনী জনগণের বন্ধু না হয়ে শত্রুতে পরিণত হয়েছে। নির্বাচনের জন্য যৌক্তিক সময় দিতে হবে। দেশকে সংস্কার করতে হবে। এই মুহূর্তে জামায়াতের প্রধান কাজ হলো ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে নিহত, আহত ও তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। কিন্তু তারা তাদের অর্জন ধরে রাখতে পারেনি। জনগণ আওয়ামী লীগকে কিভাবে দেখে, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো আওয়ামী লীগ নিজেদের কিভাবে দেখে।
মতবিনিময়সভায় উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ। ইন্ডিয়ান মিডিয়া করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ইমক্যাব) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক মাছুম বিল্লাহ, সাবেক সভাপতি বাসুদেব ধর, প্রদীপ্ত নারায়ণ, সিনিয়র সাংবাদিক ফরিদ হোসেন, রাজিব খান, মিজানুর রহমান, রাশেদুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, আবু আলী, আমিনুল হক ভূইয়া, সিয়াম সরোয়ার জামিল, কাউসার আযম, তারিকুল ইসলাম, শাহীন পারভেজ, জাকির হোসেন, মো. মনির হোসেন প্রমুখ।
মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট ২০২৪
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন,‘সাড়ে ১৫ বছর দেশ শাসন করে লক্ষ্মণ সেনের মতো দেশত্যাগ উনার (শেখ হাসিনার) জন্য মানানসই হয়নি।
গতকাল মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান মিডিয়া করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ইমক্যাব) সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে জামায়াতের আমির এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর, সহায়-সম্পদ, ধর্মীয় উপাসনালয় পাহারা দিয়েছি, যাতে কেউ ভাঙচুর করতে না পারে। আমরা বিশ্বাস করি, সব মানুষ সমান। এখানে সংখ্যাগুরু, সংখ্যালঘুর কোনো প্রশ্ন নেই। নাগরিক হিসেবে সবাই সমান অধিকার পাবেন, এটাই স্বাভাবিক। আমরা চাই, দেশে দ্রুত শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে আসুক।
দেশের সংবিধান, প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও রাজনৈতিক সংস্কৃতির সংস্কার হওয়া দরকার।’
আমিরে জামায়াত বলেন, ‘দল বা ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বিভাজন করা যাবে না। আমরা প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা দল হিসেবে সবার অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা অসত্য, বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে কাউকে হয়রানি করা পছন্দ করি না। জামায়াত কখনো কোনো হয়রানিমূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না, এখনো নেই।’
এক প্রশ্নের জবাবে আমিরে জামায়াত বলেন, বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। একজন প্রধান বিচারপতিকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন সিস্টেম বলতে কিছু নেই। পুলিশ বাহিনী জনগণের বন্ধু না হয়ে শত্রুতে পরিণত হয়েছে। নির্বাচনের জন্য যৌক্তিক সময় দিতে হবে। দেশকে সংস্কার করতে হবে। এই মুহূর্তে জামায়াতের প্রধান কাজ হলো ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে নিহত, আহত ও তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। কিন্তু তারা তাদের অর্জন ধরে রাখতে পারেনি। জনগণ আওয়ামী লীগকে কিভাবে দেখে, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো আওয়ামী লীগ নিজেদের কিভাবে দেখে।
মতবিনিময়সভায় উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ। ইন্ডিয়ান মিডিয়া করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ইমক্যাব) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক মাছুম বিল্লাহ, সাবেক সভাপতি বাসুদেব ধর, প্রদীপ্ত নারায়ণ, সিনিয়র সাংবাদিক ফরিদ হোসেন, রাজিব খান, মিজানুর রহমান, রাশেদুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, আবু আলী, আমিনুল হক ভূইয়া, সিয়াম সরোয়ার জামিল, কাউসার আযম, তারিকুল ইসলাম, শাহীন পারভেজ, জাকির হোসেন, মো. মনির হোসেন প্রমুখ।