নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল বা সমাবেশের চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
সম্প্রতি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের কর্মীরা হঠাৎ করে ঝটিকা মিছিল করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ১৩ নভেম্বর দলীয় ‘লকডাউন’-এর মতো কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
এই পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর অবস্থানের ইঙ্গিত দিলেন প্রেস সচিব।
তিনি জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি একটি ভিডিওতে নানককে লকডাউনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করতে দেখা গেছে। একইভাবে কয়েক দিন আগে ভারতে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অডিও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে তিনি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আসন্ন নির্বাচনে ভোট না দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে শফিকুল আলম বলেন, “যার বিরুদ্ধে শত শত ছেলেমেয়েকে হত্যার অভিযোগ আছে, সেই ব্যক্তি এখন বিদেশে বসে কী নির্দেশ দিচ্ছেন—তা সরকারের নজরদারিতে রয়েছে। সরকারের নির্দেশেই আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোও খতিয়ে দেখছে।”
তিনি আরও বলেন,“যদি কেউ এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সভা-সমিতি বা ঝটিকা মিছিলের চেষ্টা করেন, তাহলে আইনের পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করা হবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
শফিকুল আলম বলেন,“উনি (শেখ হাসিনা) শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা মন্তব্য করছেন, আন্দোলনকারী লাখো তরুণ-তরুণীকে সন্ত্রাসী বলছেন। বর্তমানে তার বিচার চলছে, রায় না আসা পর্যন্ত এ বিষয়ে সরকার কোনো মন্তব্য করতে চায় না।”
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল বা সমাবেশের চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
সম্প্রতি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের কর্মীরা হঠাৎ করে ঝটিকা মিছিল করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ১৩ নভেম্বর দলীয় ‘লকডাউন’-এর মতো কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
এই পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর অবস্থানের ইঙ্গিত দিলেন প্রেস সচিব।
তিনি জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি একটি ভিডিওতে নানককে লকডাউনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করতে দেখা গেছে। একইভাবে কয়েক দিন আগে ভারতে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অডিও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে তিনি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আসন্ন নির্বাচনে ভোট না দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে শফিকুল আলম বলেন, “যার বিরুদ্ধে শত শত ছেলেমেয়েকে হত্যার অভিযোগ আছে, সেই ব্যক্তি এখন বিদেশে বসে কী নির্দেশ দিচ্ছেন—তা সরকারের নজরদারিতে রয়েছে। সরকারের নির্দেশেই আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোও খতিয়ে দেখছে।”
তিনি আরও বলেন,“যদি কেউ এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সভা-সমিতি বা ঝটিকা মিছিলের চেষ্টা করেন, তাহলে আইনের পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করা হবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
শফিকুল আলম বলেন,“উনি (শেখ হাসিনা) শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা মন্তব্য করছেন, আন্দোলনকারী লাখো তরুণ-তরুণীকে সন্ত্রাসী বলছেন। বর্তমানে তার বিচার চলছে, রায় না আসা পর্যন্ত এ বিষয়ে সরকার কোনো মন্তব্য করতে চায় না।”