স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জামিনে মুক্তি পাওয়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা যদি কোনো অপরাধে জড়ায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রটানো গুজব প্রতিহত করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
উপদেষ্টা বুধবার,(০৫ নভেম্বর ২০২৫) সকালে গাজীপুরে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, গাজীপুর একটি শিল্প এলাকা। এখানে প্রতিনিয়তই ঘটনা ঘটে থাকে। এখানে মাদকের ব্যাপকতা রয়েছে। আরও অনেক সমস্যা আমাদের সবাই আলোচনা করা হয়েছে। এগুলো সমাধানের বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, সভায় নির্বাচনের উপলক্ষে গাজীপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, নির্বাচন কি হবে ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল ও উৎসবমুখর। নির্বাচনে কোনো ধরনের হুমকি নেই।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগের ঢাকা কর্মসূচি প্রতিহত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবের উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের ক্ষেত্রে কতগুলো ফ্যাক্টর রয়েছে। এগুলোর মধ্যে আছে জনগণ। জনগণ যখন নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে, সেই সময় অনেকে অনেক কিছু চিন্তা করলেও কিছু করতে পারবে না। তারপরে আছে যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন তারা তাদেরও অনেক কাজ রয়েছে- আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য। তারপরে রয়েছে, নির্বাচন কমিশন- তাদের একটা বড় ধরনের কাজ রয়ে গেছে। তারপরে আছে আমাদের প্রশাসন- তাদেরও বড় ধরনের একটি কাজ রয়েছে। তারপর আরেকটা আছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী- তাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। অর্থাৎ এ সব সংস্থা সবাই একসঙ্গে কাজ করলে কোন জায়গায় বাধা হবে না।
গাজীপুরে পুলিশের সংখ্যা কম-এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এটি সত্যি কথা? আমরা ইতোমধ্যে কিছু অতিরিক্ত পুলিশ দিয়েছি, নির্বাচনকে সামনে রেখে আরও কিছু পুলিশ দেয়া হবে।
আওয়ামী লীগের গ্রেপ্তার নেতাদের অনেকে জামিনে বেরিয়ে এসেছেন সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর যদি তারা কোনো অপকর্ম করে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। কিন্তু জামিন দেয়া তো আমাদের হাতে নেই। আদালত হল স্বাধীন, তারা তাদের জামিন দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু জামিন দেয়ার পরে সে যদি কোন অপরাধ করে তাহলে তাকে আমরা আইনের আওতায় আনবো।
নির্বাচনকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গুজব সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবের উপদেষ্টা বলেন, এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রশংসনীয়। আপনাদের লেখালেখির কারণে এসব অনেক কমে গেছে, এজন্য আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে যে মিথ্যা রটায় এসব প্রতিরোধের প্রধান মাধ্যম হচ্ছেন আপনারা। আপনারা যদি সত্যি কথা পত্রিকায় লিখেন, যদি আপনারা বলেন যে, পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে যেটা রটনা করা হয়েছে, সেটি মিথ্যা, তাহলে বেশি কার্যকর হয়। উপদেষ্টা বলেন, আপনারা এটি করে যাচ্ছেন। আমি আশা করব ভবিষ্যতেও করবেন।
পার্শ্ববর্তী দেশে অবস্থানকারী নেতাদের বিভিন্ন প্রচার সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, দুষ্কৃতকারীরা অনেক কিছু বলবে। দুষ্কৃতকারীরা যাতে কোন ধরনের কার্যক্রম চালাতে না পারে সেজন্য আমরা যত ধরনের ব্যবস্থা প্রয়োজনে নিব। এজন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক ডক্টর নাসফিজা আরিফিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. এমদাদ উল্লাহ মিয়ান। আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহেল হাসান, গাজীপুর মহানগর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মো. জাহিদুল হাসান, গাজীপুর সেনা ক্যাম্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল লুৎফর রহমান, গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী যাবের সাদেকসহ জেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানরা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জামিনে মুক্তি পাওয়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা যদি কোনো অপরাধে জড়ায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রটানো গুজব প্রতিহত করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
উপদেষ্টা বুধবার,(০৫ নভেম্বর ২০২৫) সকালে গাজীপুরে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, গাজীপুর একটি শিল্প এলাকা। এখানে প্রতিনিয়তই ঘটনা ঘটে থাকে। এখানে মাদকের ব্যাপকতা রয়েছে। আরও অনেক সমস্যা আমাদের সবাই আলোচনা করা হয়েছে। এগুলো সমাধানের বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, সভায় নির্বাচনের উপলক্ষে গাজীপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, নির্বাচন কি হবে ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল ও উৎসবমুখর। নির্বাচনে কোনো ধরনের হুমকি নেই।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগের ঢাকা কর্মসূচি প্রতিহত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবের উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের ক্ষেত্রে কতগুলো ফ্যাক্টর রয়েছে। এগুলোর মধ্যে আছে জনগণ। জনগণ যখন নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে, সেই সময় অনেকে অনেক কিছু চিন্তা করলেও কিছু করতে পারবে না। তারপরে আছে যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন তারা তাদেরও অনেক কাজ রয়েছে- আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য। তারপরে রয়েছে, নির্বাচন কমিশন- তাদের একটা বড় ধরনের কাজ রয়ে গেছে। তারপরে আছে আমাদের প্রশাসন- তাদেরও বড় ধরনের একটি কাজ রয়েছে। তারপর আরেকটা আছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী- তাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। অর্থাৎ এ সব সংস্থা সবাই একসঙ্গে কাজ করলে কোন জায়গায় বাধা হবে না।
গাজীপুরে পুলিশের সংখ্যা কম-এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এটি সত্যি কথা? আমরা ইতোমধ্যে কিছু অতিরিক্ত পুলিশ দিয়েছি, নির্বাচনকে সামনে রেখে আরও কিছু পুলিশ দেয়া হবে।
আওয়ামী লীগের গ্রেপ্তার নেতাদের অনেকে জামিনে বেরিয়ে এসেছেন সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর যদি তারা কোনো অপকর্ম করে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। কিন্তু জামিন দেয়া তো আমাদের হাতে নেই। আদালত হল স্বাধীন, তারা তাদের জামিন দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু জামিন দেয়ার পরে সে যদি কোন অপরাধ করে তাহলে তাকে আমরা আইনের আওতায় আনবো।
নির্বাচনকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গুজব সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবের উপদেষ্টা বলেন, এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রশংসনীয়। আপনাদের লেখালেখির কারণে এসব অনেক কমে গেছে, এজন্য আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে যে মিথ্যা রটায় এসব প্রতিরোধের প্রধান মাধ্যম হচ্ছেন আপনারা। আপনারা যদি সত্যি কথা পত্রিকায় লিখেন, যদি আপনারা বলেন যে, পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে যেটা রটনা করা হয়েছে, সেটি মিথ্যা, তাহলে বেশি কার্যকর হয়। উপদেষ্টা বলেন, আপনারা এটি করে যাচ্ছেন। আমি আশা করব ভবিষ্যতেও করবেন।
পার্শ্ববর্তী দেশে অবস্থানকারী নেতাদের বিভিন্ন প্রচার সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, দুষ্কৃতকারীরা অনেক কিছু বলবে। দুষ্কৃতকারীরা যাতে কোন ধরনের কার্যক্রম চালাতে না পারে সেজন্য আমরা যত ধরনের ব্যবস্থা প্রয়োজনে নিব। এজন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক ডক্টর নাসফিজা আরিফিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. এমদাদ উল্লাহ মিয়ান। আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহেল হাসান, গাজীপুর মহানগর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মো. জাহিদুল হাসান, গাজীপুর সেনা ক্যাম্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল লুৎফর রহমান, গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী যাবের সাদেকসহ জেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানরা।