বাবার কোলে ডেঙ্গু আক্রান্ত ছোট্ট শিশু। মুগদা হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড থেকে তোলা -সংবাদ
ডেঙ্গুতে এক দিনে সর্বোচ্চ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে রাজধানীতে ৮ জন, খুলনা বিভাগে ১ জন ও বরিশাল বিভাগে একজন মারা গেছেন।
সরকারি অবহেলার পরিণতি বলছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা
অবহেলা ও দেরী করে হাসপাতালে যাওয়ার কারনে মৃত্যু বাড়ছে: ডাঃ আয়েশা
একদিনে চলতি বছর এটি সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে ডেঙ্গুতে ১২ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল। তবে সেই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, এর মধ্যে তিনটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল আগের দিন অর্থাৎ ২০ সেপ্টেম্বর। সেই হিসেবে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে এডিস মশার কামড়ে হওয়া ডেঙ্গু রোগে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে। আর এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছে ৩০২ জন।
আর ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন আরও ১ হাজার ৬৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে বুধবার,(০৫ নভেম্বর ২০২৫) ৫ নভেম্বর পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে ৭৪ হাজার ৯৯২ জন।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১২৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৯ জন, ঢাকা বিভাগে ২১৯ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৫১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৫২ জন, খুলনা বিভাগে ৬৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৭০ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩৪ জন, রংপুর বিভাগে ৪৩ জন, সিলেট বিভাগে ৫ জন আক্রান্তের তথ্য নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আক্রান্তদের মধ্যে ৫ বছরের শিশু ৫৮ জন, ৬-১০ বছরের ৫১ জন, ১১-১৫ বছরের ৫৪ জন, ১৬-২০ বছরের ১১৭ জন, ২১-২৫ বছরের ১৫৮ জন, ২৬-৩০ বছরের ১৪২ জন, ৩১-৩৫ বছরের ১১৩ জন, ৮০ বছর বয়সের ৫ জন আক্রান্ত হয়েছে।
হাসপাতালের তথ্য মতে, এখনো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৭৫ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৫২ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ২৩ জন, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৪ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৯০ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১০২ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ২০১ জন ভর্তি আছে। এইভাবে রাজধানীর ১৮টি হাসপাতালে ৯৬০ জন ভর্তি আছে। সারাদেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রেগুলোয় এখনো ৩ হাজার ২০ জন ভর্তি আছে।
ডেঙ্গু প্রসঙ্গে মহাখালী রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক হোসেন জানায়, ডেঙ্গু আক্রান্তদের প্রাথমিক চিকিৎসা, মাধ্যমিক চিকিৎসা নেই। আগে ডেঙ্গুতে শহরে বিত্তবানরা বেশি আক্রান্ত হতো। এখন গরিবও বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। আবার মারাও যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানেসথেসিয়া অ্যানালজেসিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক ডা. আখতারুজ্জামান জানায়, ডেঙ্গু প্রথমবার হলে সমস্যা কিছুটা কম হয়। একই ব্যক্তি দ্বিতীয়বার একই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ঝুঁকি বেশি। এমন কি মৃত্যু বেড়ে যায়। আইসিইউতে (ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগে) রোগী বাড়ছে। তার মতে, অনেকেরই জ্বর হলে পরীক্ষা না করে বাসায় থাকায় বেশি সমস্যা হচ্ছে। তার জন্য সতর্ক থাকতে হবে। জ্বর হলেই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং ডাক্তারের পরার্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া যাবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
রাজধানীর শ্যামলী ২৫০ শর্য্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, জ্বর হওয়ার পর অবহেলা ও দেরি করে হাসপাতালে যাওয়ার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। তার মতে, কারও জ্বর হলে হাসপাতালে গিয়ে ডেঙ্গু টেস্ট করা দরকার। আর শুরু থেকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়া ভালো বলে মনে করেন তিনি।
চলতি বছরে যে ডেঙ্গুতে সংক্রমণ বাড়তে পারে, তার ইঙ্গিত শুরুতেই দিয়েছিলেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। কিন্তু বিষয়টি আদৌ আমলে নেয়নি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো। জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়েছে। আবার তাপমাত্রাও ছিল এডিস মশার প্রজনন বৃদ্ধির সহায়ক। কিন্তু মশা নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ছিল চরম। আবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার সহায়তায়। দীর্ঘ সময় পর এসে গত অক্টোবর মাসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সতর্ক করে জানায়, জ্বর হলেই ডেঙ্গুর পরীক্ষা করতে হবে। এটুকু বলে মোটামুটি দায়িত্ব শেষ করেছে তারা। কিন্তু সহজে এবং কম খরচে ডেঙ্গুর পরীক্ষার ব্যবস্থা হয়নি।
ডেঙ্গু মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। এর দায়িত্ব মূলত পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার পরিষদগুলোর। কিন্তু সরকার পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার পরিষদগুলো ভেঙে দেয়। মশা নিয়ন্ত্রণে পৌরসভাগুলো যে খুব ভালো কাজ করতো তা কেউই দাবি করেন না। কিন্তু জনস্বাস্থ্যবিদদের কথা, অন্তত সেখানে জনপ্রতিনিধি থাকলে কিছুটা হলেও মশা নিধনসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ হতো। কিন্তু পরিষদগুলো ভেঙে দিয়ে পুরো ব্যবস্থাপনা নষ্ট করে ফেলা হয়েছে বলেই মনে করেন জনস্বাস্থ্যবিদরা।
অক্টোবরের শেষে এবং চলতি মাসের শুরুতে বৃষ্টিপাত ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে একাধিক বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা করেছিলেন। এখন মাসের শুরু থেকে যে হারে রোগী বাড়ছে এবং ডেঙ্গুতে মৃত্যু ঘটছে তাতে এসব শঙ্কা এখন সত্যি হওয়ার পথে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বাবার কোলে ডেঙ্গু আক্রান্ত ছোট্ট শিশু। মুগদা হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড থেকে তোলা -সংবাদ
বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
ডেঙ্গুতে এক দিনে সর্বোচ্চ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে রাজধানীতে ৮ জন, খুলনা বিভাগে ১ জন ও বরিশাল বিভাগে একজন মারা গেছেন।
সরকারি অবহেলার পরিণতি বলছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা
অবহেলা ও দেরী করে হাসপাতালে যাওয়ার কারনে মৃত্যু বাড়ছে: ডাঃ আয়েশা
একদিনে চলতি বছর এটি সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে ডেঙ্গুতে ১২ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল। তবে সেই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, এর মধ্যে তিনটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল আগের দিন অর্থাৎ ২০ সেপ্টেম্বর। সেই হিসেবে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে এডিস মশার কামড়ে হওয়া ডেঙ্গু রোগে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে। আর এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছে ৩০২ জন।
আর ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন আরও ১ হাজার ৬৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে বুধবার,(০৫ নভেম্বর ২০২৫) ৫ নভেম্বর পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে ৭৪ হাজার ৯৯২ জন।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১২৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৯ জন, ঢাকা বিভাগে ২১৯ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৫১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৫২ জন, খুলনা বিভাগে ৬৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৭০ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩৪ জন, রংপুর বিভাগে ৪৩ জন, সিলেট বিভাগে ৫ জন আক্রান্তের তথ্য নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আক্রান্তদের মধ্যে ৫ বছরের শিশু ৫৮ জন, ৬-১০ বছরের ৫১ জন, ১১-১৫ বছরের ৫৪ জন, ১৬-২০ বছরের ১১৭ জন, ২১-২৫ বছরের ১৫৮ জন, ২৬-৩০ বছরের ১৪২ জন, ৩১-৩৫ বছরের ১১৩ জন, ৮০ বছর বয়সের ৫ জন আক্রান্ত হয়েছে।
হাসপাতালের তথ্য মতে, এখনো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৭৫ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৫২ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ২৩ জন, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৪ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৯০ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১০২ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ২০১ জন ভর্তি আছে। এইভাবে রাজধানীর ১৮টি হাসপাতালে ৯৬০ জন ভর্তি আছে। সারাদেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রেগুলোয় এখনো ৩ হাজার ২০ জন ভর্তি আছে।
ডেঙ্গু প্রসঙ্গে মহাখালী রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক হোসেন জানায়, ডেঙ্গু আক্রান্তদের প্রাথমিক চিকিৎসা, মাধ্যমিক চিকিৎসা নেই। আগে ডেঙ্গুতে শহরে বিত্তবানরা বেশি আক্রান্ত হতো। এখন গরিবও বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। আবার মারাও যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানেসথেসিয়া অ্যানালজেসিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক ডা. আখতারুজ্জামান জানায়, ডেঙ্গু প্রথমবার হলে সমস্যা কিছুটা কম হয়। একই ব্যক্তি দ্বিতীয়বার একই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ঝুঁকি বেশি। এমন কি মৃত্যু বেড়ে যায়। আইসিইউতে (ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগে) রোগী বাড়ছে। তার মতে, অনেকেরই জ্বর হলে পরীক্ষা না করে বাসায় থাকায় বেশি সমস্যা হচ্ছে। তার জন্য সতর্ক থাকতে হবে। জ্বর হলেই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং ডাক্তারের পরার্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া যাবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
রাজধানীর শ্যামলী ২৫০ শর্য্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, জ্বর হওয়ার পর অবহেলা ও দেরি করে হাসপাতালে যাওয়ার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। তার মতে, কারও জ্বর হলে হাসপাতালে গিয়ে ডেঙ্গু টেস্ট করা দরকার। আর শুরু থেকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়া ভালো বলে মনে করেন তিনি।
চলতি বছরে যে ডেঙ্গুতে সংক্রমণ বাড়তে পারে, তার ইঙ্গিত শুরুতেই দিয়েছিলেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। কিন্তু বিষয়টি আদৌ আমলে নেয়নি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো। জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়েছে। আবার তাপমাত্রাও ছিল এডিস মশার প্রজনন বৃদ্ধির সহায়ক। কিন্তু মশা নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ছিল চরম। আবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার সহায়তায়। দীর্ঘ সময় পর এসে গত অক্টোবর মাসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সতর্ক করে জানায়, জ্বর হলেই ডেঙ্গুর পরীক্ষা করতে হবে। এটুকু বলে মোটামুটি দায়িত্ব শেষ করেছে তারা। কিন্তু সহজে এবং কম খরচে ডেঙ্গুর পরীক্ষার ব্যবস্থা হয়নি।
ডেঙ্গু মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। এর দায়িত্ব মূলত পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার পরিষদগুলোর। কিন্তু সরকার পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার পরিষদগুলো ভেঙে দেয়। মশা নিয়ন্ত্রণে পৌরসভাগুলো যে খুব ভালো কাজ করতো তা কেউই দাবি করেন না। কিন্তু জনস্বাস্থ্যবিদদের কথা, অন্তত সেখানে জনপ্রতিনিধি থাকলে কিছুটা হলেও মশা নিধনসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ হতো। কিন্তু পরিষদগুলো ভেঙে দিয়ে পুরো ব্যবস্থাপনা নষ্ট করে ফেলা হয়েছে বলেই মনে করেন জনস্বাস্থ্যবিদরা।
অক্টোবরের শেষে এবং চলতি মাসের শুরুতে বৃষ্টিপাত ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে একাধিক বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা করেছিলেন। এখন মাসের শুরু থেকে যে হারে রোগী বাড়ছে এবং ডেঙ্গুতে মৃত্যু ঘটছে তাতে এসব শঙ্কা এখন সত্যি হওয়ার পথে।