ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘সরকার মিসইনফরমেশন (ভুল তথ্য) নিয়ে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে। বিশেষ করে সেন্টমার্টিন ও মাইলস্টোন নিয়ে ভুয়া খবরের পরিমাণ ছিল অযাচিত। চট্টগ্রাম পোর্ট এবং উত্তরপাড়া নিয়ে যে পরিমাণ মিথ্যা খবর ছড়ানো হয়েছে, তা অকল্পনীয়।’
বৃহস্পতিবার,(০৬ নভেম্বর ২০২৫) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় এ কথা বলেন শফিকুল আলম। ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা: ইশতেহারে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি প্রসঙ্গ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় সঞ্চালনা করেন সিজিএসের প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান।
আলোচনায় প্রেস সচিব শফিকুল আরও বলেন, সরকারের সঙ্গে মিডিয়ার সম্পর্ক ১৯৪৭ সাল থেকে ওঠানামা করছে। কখনো ভালো অবস্থায়, কখনো আবার খারাপ অবস্থায়। আইয়ুব খানের সময় সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ছিল, কিন্তু ’৯০ এর পর সাংবাদিকরা সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা পেয়েছিলেন কেয়ারটেকার সরকারের আমলে। আওয়ামী লীগ আমলে সাংবাদিকতার অবস্থা তলানিতে গিয়েছিল। হাসিনার আমলের সাংবাদিকতার দুর্বৃত্তায়ন থেকে বের হওয়ার চেষ্টা চলছে।
বর্তমানে অনেকে ‘মবের ভয়’ পাচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তবে আমরা কখনো কোনো নিউজ নিয়ন্ত্রণ করবো না। এখন প্রশ্ন হলো- সামনে যদি রাজনৈতিক সরকার আসে, তাহলে কি এই সংস্কৃতি থাকবে? বর্তমানে এমন মানুষও মিসইনফরমেশন ছড়াচ্ছেন, যারা ভালো জানেন, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পর্যন্ত।’
বিদেশে ‘মিসইনফরমেশন’ ছড়ালে জরিমানা করা হয় জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘আমাদের দেশে তা নেই। প্রতিদিন টক শোতে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। আমরা মেটাকে ফেইসবুকে মিসইনফরমেশন নিয়ে পদক্ষেপ নিতে বলেছি, কিন্তু এটা দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়া।’
ভবিষ্যতে ক্ষমতাসীন সরকারকে ‘মিসইনফরমেশন’ মোকাবিলার বিষয়ে ‘ব্রেনস্টর্মিং’ করা উচিত মন্তব্য করে শফিকুল আলম বলেন, ‘যদি আমরা মিসইনফরমেশন ট্যাকেল (মোকাবিলা) করতে না পারি, তবে ভবিষ্যতের গণতন্ত্র চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।’
অনুষ্ঠানের জিল্লুর রহমান বলেন, ‘১৯৭৫ সালে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কঠোরভাবে দমন করা হয়েছিল এবং আজও সেই প্রভাব বিদ্যমান। গণমাধ্যমের রূপ বদলেছে, কিন্তু সংস্কৃতি বদলায়নি’।
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আলমগীর, বিএনপির চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির বিশেষ সহকারী সাইমুম পারভেজ, গণফোরামের সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক পারভেজ করিম আব্বাসী, বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মঞ্জুর মঈন, আমার বাংলাদেশ পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসরিন সুলতানা, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিকুস সালেহীন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম সচিব দিদার ভূঁইয়া, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য তাসলিমা আখতার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এম আবদুল্লাহ প্রমুখ।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘সরকার মিসইনফরমেশন (ভুল তথ্য) নিয়ে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে। বিশেষ করে সেন্টমার্টিন ও মাইলস্টোন নিয়ে ভুয়া খবরের পরিমাণ ছিল অযাচিত। চট্টগ্রাম পোর্ট এবং উত্তরপাড়া নিয়ে যে পরিমাণ মিথ্যা খবর ছড়ানো হয়েছে, তা অকল্পনীয়।’
বৃহস্পতিবার,(০৬ নভেম্বর ২০২৫) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় এ কথা বলেন শফিকুল আলম। ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা: ইশতেহারে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি প্রসঙ্গ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় সঞ্চালনা করেন সিজিএসের প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান।
আলোচনায় প্রেস সচিব শফিকুল আরও বলেন, সরকারের সঙ্গে মিডিয়ার সম্পর্ক ১৯৪৭ সাল থেকে ওঠানামা করছে। কখনো ভালো অবস্থায়, কখনো আবার খারাপ অবস্থায়। আইয়ুব খানের সময় সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ছিল, কিন্তু ’৯০ এর পর সাংবাদিকরা সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা পেয়েছিলেন কেয়ারটেকার সরকারের আমলে। আওয়ামী লীগ আমলে সাংবাদিকতার অবস্থা তলানিতে গিয়েছিল। হাসিনার আমলের সাংবাদিকতার দুর্বৃত্তায়ন থেকে বের হওয়ার চেষ্টা চলছে।
বর্তমানে অনেকে ‘মবের ভয়’ পাচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তবে আমরা কখনো কোনো নিউজ নিয়ন্ত্রণ করবো না। এখন প্রশ্ন হলো- সামনে যদি রাজনৈতিক সরকার আসে, তাহলে কি এই সংস্কৃতি থাকবে? বর্তমানে এমন মানুষও মিসইনফরমেশন ছড়াচ্ছেন, যারা ভালো জানেন, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পর্যন্ত।’
বিদেশে ‘মিসইনফরমেশন’ ছড়ালে জরিমানা করা হয় জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘আমাদের দেশে তা নেই। প্রতিদিন টক শোতে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। আমরা মেটাকে ফেইসবুকে মিসইনফরমেশন নিয়ে পদক্ষেপ নিতে বলেছি, কিন্তু এটা দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়া।’
ভবিষ্যতে ক্ষমতাসীন সরকারকে ‘মিসইনফরমেশন’ মোকাবিলার বিষয়ে ‘ব্রেনস্টর্মিং’ করা উচিত মন্তব্য করে শফিকুল আলম বলেন, ‘যদি আমরা মিসইনফরমেশন ট্যাকেল (মোকাবিলা) করতে না পারি, তবে ভবিষ্যতের গণতন্ত্র চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।’
অনুষ্ঠানের জিল্লুর রহমান বলেন, ‘১৯৭৫ সালে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কঠোরভাবে দমন করা হয়েছিল এবং আজও সেই প্রভাব বিদ্যমান। গণমাধ্যমের রূপ বদলেছে, কিন্তু সংস্কৃতি বদলায়নি’।
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আলমগীর, বিএনপির চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির বিশেষ সহকারী সাইমুম পারভেজ, গণফোরামের সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক পারভেজ করিম আব্বাসী, বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মঞ্জুর মঈন, আমার বাংলাদেশ পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসরিন সুলতানা, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিকুস সালেহীন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম সচিব দিদার ভূঁইয়া, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য তাসলিমা আখতার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এম আবদুল্লাহ প্রমুখ।