জেনেভায় জাতিসংঘ ভবনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের দ্বারা সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি এবং এই গণহত্যাকে অবিলম্বে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য জাতিসংঘসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ‘গণহত্যা’র স্বীকৃতির অধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির মাধ্যমে ১৯৭১-এর ‘গণহত্যা’র শিকার এবং তাদের বংশধরদের সম্মান জানানো একান্ত প্রয়োজন। দুর্ভাগ্যবশত, বাংলাদেশের গণহত্যা আজ বিশ্বের কাছে ইতিহাসের এক বিস্মৃত অধ্যায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার (৩ অক্টোবর) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের সদরদপ্তরে ৫১তম অধিবেশনে ইউরোপভিত্তিক প্রবাসী সংগঠন বাসুগ এই সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারের এই সাইড ইভেন্টটি ইউরোপভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইউরোপীয় বাংলাদেশ ফোরাম (ইবিএফ) এবং সুইজারল্যান্ড মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়।
জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের উপস্থায়ী প্রতিনিধি সঞ্চিতা হক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বৈষম্য ও শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯ মাস লড়াই করেছে। এই ৯ মাস পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাংলাদেশের নিরস্ত্র নারী-শিশুসহ সাধারণ মানুষের ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন করেছে। বাংলাদেশের মানুষ জাতিসংঘের কাছে এই গণহত্যার সুবিচার চায়। স্বীকৃতি চায় জাতিসংঘের।
এই স্পর্শকাতর বিষয়ে বাংলাদেশের প্রতি বিশ্ববাসীর সমর্থন আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার একাত্তরের গণহত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে। এছাড়া বাংলাদেশ সরকার বিশ্বের যেকোন জায়গায় নির্যাতন-নিপীড়ন ও গণহত্যার নিন্দা জানায়।
পাকিস্তানের নাগরিক বিচারপতি সৈয়দ আলী শাকার বলেন, গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এবং সঠিক বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক কমিশন গঠন করতে হবে, যেখানে পাকিস্তানের পক্ষ থেকেও প্রতিনিধি থাকতে হবে। বর্তমানে সুইডেনে নির্বাসিত পাকিস্তানি এই নাগরিক শাকার বাংলাদেশের একজন প্রবল সমর্থক এবং একাত্তরে গণহত্যার তীব্র সমালোচক। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সরকার ও সামরিক শাসনে বাংলাদেশের পক্ষে তার ভূমিকার জন্য তাকে ছয় মাসের জন্য কারাগারে পাঠায়।
বুধবার, ০৫ অক্টোবর ২০২২
জেনেভায় জাতিসংঘ ভবনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের দ্বারা সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি এবং এই গণহত্যাকে অবিলম্বে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য জাতিসংঘসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ‘গণহত্যা’র স্বীকৃতির অধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির মাধ্যমে ১৯৭১-এর ‘গণহত্যা’র শিকার এবং তাদের বংশধরদের সম্মান জানানো একান্ত প্রয়োজন। দুর্ভাগ্যবশত, বাংলাদেশের গণহত্যা আজ বিশ্বের কাছে ইতিহাসের এক বিস্মৃত অধ্যায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার (৩ অক্টোবর) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের সদরদপ্তরে ৫১তম অধিবেশনে ইউরোপভিত্তিক প্রবাসী সংগঠন বাসুগ এই সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারের এই সাইড ইভেন্টটি ইউরোপভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইউরোপীয় বাংলাদেশ ফোরাম (ইবিএফ) এবং সুইজারল্যান্ড মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়।
জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের উপস্থায়ী প্রতিনিধি সঞ্চিতা হক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বৈষম্য ও শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯ মাস লড়াই করেছে। এই ৯ মাস পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাংলাদেশের নিরস্ত্র নারী-শিশুসহ সাধারণ মানুষের ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন করেছে। বাংলাদেশের মানুষ জাতিসংঘের কাছে এই গণহত্যার সুবিচার চায়। স্বীকৃতি চায় জাতিসংঘের।
এই স্পর্শকাতর বিষয়ে বাংলাদেশের প্রতি বিশ্ববাসীর সমর্থন আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার একাত্তরের গণহত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে। এছাড়া বাংলাদেশ সরকার বিশ্বের যেকোন জায়গায় নির্যাতন-নিপীড়ন ও গণহত্যার নিন্দা জানায়।
পাকিস্তানের নাগরিক বিচারপতি সৈয়দ আলী শাকার বলেন, গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এবং সঠিক বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক কমিশন গঠন করতে হবে, যেখানে পাকিস্তানের পক্ষ থেকেও প্রতিনিধি থাকতে হবে। বর্তমানে সুইডেনে নির্বাসিত পাকিস্তানি এই নাগরিক শাকার বাংলাদেশের একজন প্রবল সমর্থক এবং একাত্তরে গণহত্যার তীব্র সমালোচক। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সরকার ও সামরিক শাসনে বাংলাদেশের পক্ষে তার ভূমিকার জন্য তাকে ছয় মাসের জন্য কারাগারে পাঠায়।