‘নারীরা সংগ্রাম করলেও ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণে শুধু পুরুষকেই দেখা যায়। ক্ষমতায়নের প্রশ্নে নারী ও পুরুষ উভয়ের কথাই বলতে হবে। প্রশাসনিক ত্রুটি, নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে কাজ করতে হবে। সর্বোপরি দেশকে রক্ষা করা জরুরি। নয়তো নারীর জন্য আসা অর্জনটুকুও থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন সংসদ সদস্য শিরীন আখতার।
তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রকে গণতান্ত্রিক অধিকার সুনিশ্চিত করতে হলে প্রথমে উপজেলার গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে, জেলা-উপজেলার মধ্যে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। একজন পুরুষ চেয়ারম্যানের সঙ্গে নারী ভাইস চেয়ারম্যানকে যুক্ত করার মতো বড় দৃশ্যমান অর্জনকে সঙ্গে নিয়ে আগাতে হবে।’
শুক্রবার মহিলা পরিষদের আনোয়ারা বেগম-মুনিরা খান মিলনায়তনে ঢাকা বিভাগের উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যানদের সঙ্গে ‘সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর ফলপ্রসূ অংশগ্রহণ : নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যানদের ভূমিকা’- বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। মহিলা পরিষদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন আন্দোলন সম্পাদক রাবেয়া খাতুন শান্তি।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিরীন আখতার এমপি। অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন সেলিমা আহমেদ এমপি এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. নাসিম আক্তার হোসাইন। বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মধুখালী উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুরাইয়া সালাম।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, সমতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে তার স্বীকৃতি আমরা পেয়েছি। মর্যাদা, অধিকার ও ক্ষমতার জন্য এখন লড়াই করতে হবে। নারীরা মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতিতে এসেছে। তিনি নারী ভাইস চেয়ারম্যানদের উদ্দেশে ব্যক্তিগত অভাব-অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কাজের প্রাতিষ্ঠানিক বিধিবদ্ধ নিয়ম আছে, এগুলো জেনে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, নিজ দায়িত্ব বোঝার পাশাপাশি স্থানীয় সরকার কিভাবে কাজ করতে পারে, শক্তিশালী হতে পারে সেদিক নিজ বিবেচনায় রাখতে হবে। ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে কিভাবে কাজ করতে হবে তা কাজ করার মাধ্যমেই শিখতে হবে। ক্ষমতায়ন হলো আমি আমার শর্তে বাঁচতে চাই।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ক্ষমতায় বঞ্চনার বিষয়টি সব সময় ছিল। এটা থাকবে যে অবস্থায় আছি সেই অবস্থায় অধিকারকে আদায় করে নিতে হবে। আর আগের চেয়ে বর্তমানে থাকা অবস্থাকে বিবেচনা করতে হবে। পরিষদে বর্তমান থাকা পরিপত্র পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে সংকট থাকবে না। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে আমলাতান্ত্রিক সংকট আছে। যেটুকু ক্ষমতা পাওয়া গেছে একে কিভাবে পরিষদকেন্দ্রিক করা যায়, সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। উপজেলা পর্যায়ে থাকা পাঁচ স্তরকে কমিয়ে তিনটি স্তরে নিয়ে এলে সবাই কাজ করার কিছু সুযোগ পাবে।
সংসদ সদস্য সেলিমা আহমেদ বলেন, আমরা চাই নারী প্রতিনিধিরা যেন একটি সম্মানজনক অবস্থানে থাকেন। তারা একজন সংসদ সদস্যের চেয়ে কোন অংশে কম নন। নারীদের দায়িত্ব দিলে তা সঠিকভাবে পালন করতে পারে। তাদের বরাদ্দ ও দায়িত্বগুলো কেন্দ্র থেকে সব ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে বণ্টন করে দেয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. নাসিম আক্তার হোসাইন বলেন, রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতে দীর্ঘ সংগ্রামের প্রয়োজন হয়েছে। উপজেলা বিকেন্দ্রীকরণের একটি স্তর। উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত জরুরি। আলোচনায় আসা সমস্যা মোকাবেলায় পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। নারী জনপ্রতিনিধিদের মর্যাদা ও সম্মান এখনও প্রশ্নবিদ্ধ। ক্ষমতায়ন এখনও হয়নি। অবশ্যই নারীর ভূমিকা ও দায়িত্ব উপজেলা পরিষদ ম্যানুয়ালে ও প্রজ্ঞাপনে থাকতে হবে।
উপজেলা অফিসে থাকা সম্পদের ব্যবহার নারীদের জন্য নিশ্চিত করতে হবে। ১৭টি স্ট্যাডিং কমিটির কাজ ও সিদ্ধান্ত মনিটরিং এর দায়িত্ব নারী ভাইস চেয়ারম্যানদের দিতে হবে। ক্ষমতায়নের জন্য ক্ষমতা শেয়ার করে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানন তিনি।
মধুখালী উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুরাইয়া সালাম বলেন, নারী-পুরুষের জন্য থাকা বরাদ্দ বৈষম্য দূর করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণ কমেছে কেননা নির্বাচনী ব্যয় পুরুষ ও নারী প্রার্থীর জন্য অত্যন্ত ব্যয়বহুল, যা বহন করা সম্ভব না।
স্বাগত বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বহুমুখী কাজ পরিচালনা করছে। দীর্ঘদিনের নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের আন্দোলন হিসেবে আজ রাজনীতিতে নারীদের উপস্থিতি দৃশ্যমান হয়েছে। রাষ্ট্রপরিচালনার প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোয় নির্বাচিত নারী জনপ্রতিনিধিরা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ মনে করে, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন বলতে শুধু পদে অধিষ্ঠিত হওয়া নয়। নিজ প্রত্যাশা অনুযায়ী নির্বাচিত নারী জনপ্রতিনিধিরা কাজ করতে পারছেন কি না সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।
শুক্রবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২২
‘নারীরা সংগ্রাম করলেও ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণে শুধু পুরুষকেই দেখা যায়। ক্ষমতায়নের প্রশ্নে নারী ও পুরুষ উভয়ের কথাই বলতে হবে। প্রশাসনিক ত্রুটি, নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে কাজ করতে হবে। সর্বোপরি দেশকে রক্ষা করা জরুরি। নয়তো নারীর জন্য আসা অর্জনটুকুও থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন সংসদ সদস্য শিরীন আখতার।
তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রকে গণতান্ত্রিক অধিকার সুনিশ্চিত করতে হলে প্রথমে উপজেলার গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে, জেলা-উপজেলার মধ্যে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। একজন পুরুষ চেয়ারম্যানের সঙ্গে নারী ভাইস চেয়ারম্যানকে যুক্ত করার মতো বড় দৃশ্যমান অর্জনকে সঙ্গে নিয়ে আগাতে হবে।’
শুক্রবার মহিলা পরিষদের আনোয়ারা বেগম-মুনিরা খান মিলনায়তনে ঢাকা বিভাগের উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যানদের সঙ্গে ‘সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর ফলপ্রসূ অংশগ্রহণ : নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যানদের ভূমিকা’- বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। মহিলা পরিষদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন আন্দোলন সম্পাদক রাবেয়া খাতুন শান্তি।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিরীন আখতার এমপি। অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন সেলিমা আহমেদ এমপি এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. নাসিম আক্তার হোসাইন। বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মধুখালী উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুরাইয়া সালাম।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, সমতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে তার স্বীকৃতি আমরা পেয়েছি। মর্যাদা, অধিকার ও ক্ষমতার জন্য এখন লড়াই করতে হবে। নারীরা মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতিতে এসেছে। তিনি নারী ভাইস চেয়ারম্যানদের উদ্দেশে ব্যক্তিগত অভাব-অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কাজের প্রাতিষ্ঠানিক বিধিবদ্ধ নিয়ম আছে, এগুলো জেনে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, নিজ দায়িত্ব বোঝার পাশাপাশি স্থানীয় সরকার কিভাবে কাজ করতে পারে, শক্তিশালী হতে পারে সেদিক নিজ বিবেচনায় রাখতে হবে। ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে কিভাবে কাজ করতে হবে তা কাজ করার মাধ্যমেই শিখতে হবে। ক্ষমতায়ন হলো আমি আমার শর্তে বাঁচতে চাই।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ক্ষমতায় বঞ্চনার বিষয়টি সব সময় ছিল। এটা থাকবে যে অবস্থায় আছি সেই অবস্থায় অধিকারকে আদায় করে নিতে হবে। আর আগের চেয়ে বর্তমানে থাকা অবস্থাকে বিবেচনা করতে হবে। পরিষদে বর্তমান থাকা পরিপত্র পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে সংকট থাকবে না। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে আমলাতান্ত্রিক সংকট আছে। যেটুকু ক্ষমতা পাওয়া গেছে একে কিভাবে পরিষদকেন্দ্রিক করা যায়, সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। উপজেলা পর্যায়ে থাকা পাঁচ স্তরকে কমিয়ে তিনটি স্তরে নিয়ে এলে সবাই কাজ করার কিছু সুযোগ পাবে।
সংসদ সদস্য সেলিমা আহমেদ বলেন, আমরা চাই নারী প্রতিনিধিরা যেন একটি সম্মানজনক অবস্থানে থাকেন। তারা একজন সংসদ সদস্যের চেয়ে কোন অংশে কম নন। নারীদের দায়িত্ব দিলে তা সঠিকভাবে পালন করতে পারে। তাদের বরাদ্দ ও দায়িত্বগুলো কেন্দ্র থেকে সব ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে বণ্টন করে দেয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. নাসিম আক্তার হোসাইন বলেন, রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতে দীর্ঘ সংগ্রামের প্রয়োজন হয়েছে। উপজেলা বিকেন্দ্রীকরণের একটি স্তর। উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত জরুরি। আলোচনায় আসা সমস্যা মোকাবেলায় পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। নারী জনপ্রতিনিধিদের মর্যাদা ও সম্মান এখনও প্রশ্নবিদ্ধ। ক্ষমতায়ন এখনও হয়নি। অবশ্যই নারীর ভূমিকা ও দায়িত্ব উপজেলা পরিষদ ম্যানুয়ালে ও প্রজ্ঞাপনে থাকতে হবে।
উপজেলা অফিসে থাকা সম্পদের ব্যবহার নারীদের জন্য নিশ্চিত করতে হবে। ১৭টি স্ট্যাডিং কমিটির কাজ ও সিদ্ধান্ত মনিটরিং এর দায়িত্ব নারী ভাইস চেয়ারম্যানদের দিতে হবে। ক্ষমতায়নের জন্য ক্ষমতা শেয়ার করে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানন তিনি।
মধুখালী উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুরাইয়া সালাম বলেন, নারী-পুরুষের জন্য থাকা বরাদ্দ বৈষম্য দূর করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণ কমেছে কেননা নির্বাচনী ব্যয় পুরুষ ও নারী প্রার্থীর জন্য অত্যন্ত ব্যয়বহুল, যা বহন করা সম্ভব না।
স্বাগত বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বহুমুখী কাজ পরিচালনা করছে। দীর্ঘদিনের নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের আন্দোলন হিসেবে আজ রাজনীতিতে নারীদের উপস্থিতি দৃশ্যমান হয়েছে। রাষ্ট্রপরিচালনার প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোয় নির্বাচিত নারী জনপ্রতিনিধিরা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ মনে করে, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন বলতে শুধু পদে অধিষ্ঠিত হওয়া নয়। নিজ প্রত্যাশা অনুযায়ী নির্বাচিত নারী জনপ্রতিনিধিরা কাজ করতে পারছেন কি না সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।