বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমানে দেশের বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের পারিবারিক সিদ্ধান্ত পর্যন্ত সবকিছুই নির্বাচনের অপেক্ষায় থমকে আছে।
রোববার রাজধানীর ক্র্যাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব মন্তব্য করেন। ‘আগামীর উন্নত জাতি গঠনে দিকনির্দেশনামূলক সুপারিশ’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন বইটির লেখক ও প্রকাশক এবং নিউ হোপ গ্লোবালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন।
আমীর খসরু বলেন, “মানুষ এখন নির্বাচনের মাধ্যমে মুক্তি চায়। কিন্তু দেশের মানুষের প্রায় সব সিদ্ধান্ত স্থগিত অবস্থায় রয়েছে। কেউ বিনিয়োগ করছে না, ব্যবসা সম্প্রসারণ করছে না, এমনকি পারিবারিক সিদ্ধান্তও নিচ্ছে না। সবাই বলছে—নির্বাচনটা হোক, তারপর দেখা যাবে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, নির্বাচন নিয়ে জনগণের আগ্রহ প্রবল হলেও একটি পক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে তা বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে। তাঁর ভাষায়, “যারা নির্বাচনের বিলম্ব চায়, তারা গণতন্ত্রের পক্ষের মানুষ নয়—তাদের বিশ্বাস করা যায় না।”
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধানের অধীনে শপথ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, “এই সংবিধানে গণভোট আয়োজনের কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজন করা সংবিধান অনুমোদন করবে না।”
তিনি জানান, বিএনপি উদারতার পরিচয় দিয়ে নির্বাচনের দিনে গণভোট আয়োজনের বিষয়ে একমত হয়েছে, যাতে রাজনৈতিক সহনশীলতা বজায় থাকে এবং দেশে বিশৃঙ্খলা না ছড়ায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ভবিষ্যতের বাংলাদেশ কীভাবে পরিচালিত হবে তা নিয়ে দলটির বেশ কয়েকটি টিম ইতিমধ্যে কাজ করছে। উদ্দেশ্য হলো, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রথম দিন থেকেই সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম হতে পারে। এসব দলের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে আমীর খসরু বলেন, যেসব প্রস্তাবে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ রয়েছে, সেখানে ঐকমত্য হয়নি। তাঁর ভাষায়, “যেখানে দ্বিমত আছে, সেখানে ঐকমত্য বলা যাবে না। আর ঐকমত্য না হলে তা গণভোটেও যেতে পারে না।”
তিনি আরও বলেন, “কমিশনের আলোচনায় যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, তার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু এখন ঐকমত্য না থাকা অনেক দাবিই তোলা হচ্ছে।”
অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী বলেন, “ভবিষ্যতের বাংলাদেশ হবে এমন, যেখানে মানুষ মাথা উঁচু করে চলতে পারবে, দুর্নীতিমুক্ত উন্নয়ন হবে এবং মানুষ নিজের অধিকার ফিরে পাবে। সেই বাংলাদেশে নেতৃত্ব দেবেন তারেক রহমান।”
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, “বাংলাদেশে সংস্কারের ধারণা এনেছে বিএনপি। ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব জনগণ গ্রহণ করেছে। তাই মানুষ মনে করে, বিএনপির হাতেই দেশ নিরাপদ। কারণ, ক্ষমতায় থেকেও বিএনপি কখনো জনগণের ওপর নির্যাতন চালায়নি।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দ্য ফিন্যান্স টুডের নির্বাহী সম্পাদক শাহীন আবদুল বারী। এতে আরও বক্তব্য দেন যুবদলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক ও জাহিদ চৌধুরী প্রমুখ।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমানে দেশের বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের পারিবারিক সিদ্ধান্ত পর্যন্ত সবকিছুই নির্বাচনের অপেক্ষায় থমকে আছে।
রোববার রাজধানীর ক্র্যাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব মন্তব্য করেন। ‘আগামীর উন্নত জাতি গঠনে দিকনির্দেশনামূলক সুপারিশ’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন বইটির লেখক ও প্রকাশক এবং নিউ হোপ গ্লোবালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন।
আমীর খসরু বলেন, “মানুষ এখন নির্বাচনের মাধ্যমে মুক্তি চায়। কিন্তু দেশের মানুষের প্রায় সব সিদ্ধান্ত স্থগিত অবস্থায় রয়েছে। কেউ বিনিয়োগ করছে না, ব্যবসা সম্প্রসারণ করছে না, এমনকি পারিবারিক সিদ্ধান্তও নিচ্ছে না। সবাই বলছে—নির্বাচনটা হোক, তারপর দেখা যাবে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, নির্বাচন নিয়ে জনগণের আগ্রহ প্রবল হলেও একটি পক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে তা বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে। তাঁর ভাষায়, “যারা নির্বাচনের বিলম্ব চায়, তারা গণতন্ত্রের পক্ষের মানুষ নয়—তাদের বিশ্বাস করা যায় না।”
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধানের অধীনে শপথ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, “এই সংবিধানে গণভোট আয়োজনের কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজন করা সংবিধান অনুমোদন করবে না।”
তিনি জানান, বিএনপি উদারতার পরিচয় দিয়ে নির্বাচনের দিনে গণভোট আয়োজনের বিষয়ে একমত হয়েছে, যাতে রাজনৈতিক সহনশীলতা বজায় থাকে এবং দেশে বিশৃঙ্খলা না ছড়ায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ভবিষ্যতের বাংলাদেশ কীভাবে পরিচালিত হবে তা নিয়ে দলটির বেশ কয়েকটি টিম ইতিমধ্যে কাজ করছে। উদ্দেশ্য হলো, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রথম দিন থেকেই সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম হতে পারে। এসব দলের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে আমীর খসরু বলেন, যেসব প্রস্তাবে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ রয়েছে, সেখানে ঐকমত্য হয়নি। তাঁর ভাষায়, “যেখানে দ্বিমত আছে, সেখানে ঐকমত্য বলা যাবে না। আর ঐকমত্য না হলে তা গণভোটেও যেতে পারে না।”
তিনি আরও বলেন, “কমিশনের আলোচনায় যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, তার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু এখন ঐকমত্য না থাকা অনেক দাবিই তোলা হচ্ছে।”
অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী বলেন, “ভবিষ্যতের বাংলাদেশ হবে এমন, যেখানে মানুষ মাথা উঁচু করে চলতে পারবে, দুর্নীতিমুক্ত উন্নয়ন হবে এবং মানুষ নিজের অধিকার ফিরে পাবে। সেই বাংলাদেশে নেতৃত্ব দেবেন তারেক রহমান।”
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, “বাংলাদেশে সংস্কারের ধারণা এনেছে বিএনপি। ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব জনগণ গ্রহণ করেছে। তাই মানুষ মনে করে, বিএনপির হাতেই দেশ নিরাপদ। কারণ, ক্ষমতায় থেকেও বিএনপি কখনো জনগণের ওপর নির্যাতন চালায়নি।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দ্য ফিন্যান্স টুডের নির্বাহী সম্পাদক শাহীন আবদুল বারী। এতে আরও বক্তব্য দেন যুবদলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক ও জাহিদ চৌধুরী প্রমুখ।