এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে পটপরির্তনের পর গণতান্ত্রিক উত্তরণের কোনো বিকল্প নেই। অবশ্যই নির্বাচন হতে হবে।
নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে হবে।’
গতকাল দুপুরে এনসিপির নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর কার্যালয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় জানিয়ে হাসনাত বলেন, ‘আমরা সংস্কার কার্যক্রমকে ফ্যাসিলিটেট করেছি এবং সংস্কার কার্যক্রমের পাইওনিয়রও এনসিপিকে বলা যায়। এনসিপি থেকেই প্রস্তাবনা এসেছে। একইসঙ্গে নির্বাচন কার্যক্রমকে ফ্যাসিলিটেট আমরা করতে চাই।’
জনগণের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি জানিয়ে এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘এই কারণে আমরা চেয়েছি ইনস্টিটিউশনাল রিফর্মেশন। আবার যদি মধ্যরাতে ডিসি, এসপি ভাগাভাগি হয় এবং ওসি, এসপি, এসআই, ইউএনওকে দাঁড় করিয়ে রেখে নির্বাচন হয়। যে নির্বাচনে প্রভাবকের (ক্যাটালিস্ট) ভূমিকায় চলে যাবে প্রশাসন, আর জনগণ হয়ে যাবে মাইনর। আসলে সেই নির্বাচন দিয়ে আমাদের প্রত্যাশিত গণতান্ত্রিক রূপান্তর কতটা ঘটবে তা নিয়ে সন্দিহান। সেজন্যই কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের প্রস্তাবনা আমাদের কাছ থেকে এসেছিল।’
সংস্কারের পক্ষে থাকা রাজনৈতিক শক্তিগুলোর সঙ্গে এনসিপি জোট করতে চায় বলেও জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক দল এনসিপি। আমাদের আহবায়ক নাহিদ ইসলাম ইতোমধ্যে স্পষ্ট করেছেন যে, এনসিপি স্বতন্ত্রভাবে সংস্কারের পক্ষে যারা জোটবদ্ধ হতে চায়, তাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারি। প্রয়োজনে বাংলাদেশের
পক্ষে এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে যে শক্তিটা গঠিত হয়েছে তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে আমরা জোট গঠন করতে পারি।’
আগামী সপ্তাহের মধ্যে এনসিপি প্রাথমিক ধাপের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে বলেও জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ।
আওয়ামী লীগ এখন বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক বলেও মন্তব্য করেন গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখ সারিতে থাকা সাবেক এ ছাত্রনেতা। তিনি বলেন, আমাদের সামনের বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে হবে। কিন্তু টকশোতে বিভিন্নভাবে যেসব পেইড ইন্টেলেকচুয়াল আওয়ামী লীগের পক্ষে এতদিন বৈধতা উৎপাদন করেছে। গত দুইদিনের কার্যক্রমে তাদের বুঝে যাওয়া উচিত যে, আওয়ামী লীগ কখনোই গণমানুষের দল ছিল না। এই যে আগুন সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও এগুলো কারা করেছিল অতীতে এবং বর্তমানে কারা করেছে এটি সুস্পষ্ট হয়ে গিয়েছে গত দুইদিনের কার্যক্রমে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পতন কিন্তু নিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়নি, হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে রাজনৈতিক দলের পতন হয় সেই রাজনৈতিক দলের উপযোগিতা ফুরিয়ে যায়।’
নারায়ণগঞ্জ প্রসঙ্গে হাসনাত বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জকে রাজনৈতিকভাবে বিভিন্ন সময় কলুষিত করা হয়েছে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও গডফাদারের রাজনীতি দিয়ে। নারায়ণগঞ্জ যেন গডফাদারের না হয়ে জনতার হয়, সেই বিষয়টি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য এনসিপি সবসময় কাজ করে যাবে।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে পটপরির্তনের পর গণতান্ত্রিক উত্তরণের কোনো বিকল্প নেই। অবশ্যই নির্বাচন হতে হবে।
নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে হবে।’
গতকাল দুপুরে এনসিপির নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর কার্যালয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় জানিয়ে হাসনাত বলেন, ‘আমরা সংস্কার কার্যক্রমকে ফ্যাসিলিটেট করেছি এবং সংস্কার কার্যক্রমের পাইওনিয়রও এনসিপিকে বলা যায়। এনসিপি থেকেই প্রস্তাবনা এসেছে। একইসঙ্গে নির্বাচন কার্যক্রমকে ফ্যাসিলিটেট আমরা করতে চাই।’
জনগণের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি জানিয়ে এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘এই কারণে আমরা চেয়েছি ইনস্টিটিউশনাল রিফর্মেশন। আবার যদি মধ্যরাতে ডিসি, এসপি ভাগাভাগি হয় এবং ওসি, এসপি, এসআই, ইউএনওকে দাঁড় করিয়ে রেখে নির্বাচন হয়। যে নির্বাচনে প্রভাবকের (ক্যাটালিস্ট) ভূমিকায় চলে যাবে প্রশাসন, আর জনগণ হয়ে যাবে মাইনর। আসলে সেই নির্বাচন দিয়ে আমাদের প্রত্যাশিত গণতান্ত্রিক রূপান্তর কতটা ঘটবে তা নিয়ে সন্দিহান। সেজন্যই কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের প্রস্তাবনা আমাদের কাছ থেকে এসেছিল।’
সংস্কারের পক্ষে থাকা রাজনৈতিক শক্তিগুলোর সঙ্গে এনসিপি জোট করতে চায় বলেও জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক দল এনসিপি। আমাদের আহবায়ক নাহিদ ইসলাম ইতোমধ্যে স্পষ্ট করেছেন যে, এনসিপি স্বতন্ত্রভাবে সংস্কারের পক্ষে যারা জোটবদ্ধ হতে চায়, তাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারি। প্রয়োজনে বাংলাদেশের
পক্ষে এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে যে শক্তিটা গঠিত হয়েছে তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে আমরা জোট গঠন করতে পারি।’
আগামী সপ্তাহের মধ্যে এনসিপি প্রাথমিক ধাপের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে বলেও জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ।
আওয়ামী লীগ এখন বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক বলেও মন্তব্য করেন গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখ সারিতে থাকা সাবেক এ ছাত্রনেতা। তিনি বলেন, আমাদের সামনের বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে হবে। কিন্তু টকশোতে বিভিন্নভাবে যেসব পেইড ইন্টেলেকচুয়াল আওয়ামী লীগের পক্ষে এতদিন বৈধতা উৎপাদন করেছে। গত দুইদিনের কার্যক্রমে তাদের বুঝে যাওয়া উচিত যে, আওয়ামী লীগ কখনোই গণমানুষের দল ছিল না। এই যে আগুন সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও এগুলো কারা করেছিল অতীতে এবং বর্তমানে কারা করেছে এটি সুস্পষ্ট হয়ে গিয়েছে গত দুইদিনের কার্যক্রমে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পতন কিন্তু নিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়নি, হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে রাজনৈতিক দলের পতন হয় সেই রাজনৈতিক দলের উপযোগিতা ফুরিয়ে যায়।’
নারায়ণগঞ্জ প্রসঙ্গে হাসনাত বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জকে রাজনৈতিকভাবে বিভিন্ন সময় কলুষিত করা হয়েছে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও গডফাদারের রাজনীতি দিয়ে। নারায়ণগঞ্জ যেন গডফাদারের না হয়ে জনতার হয়, সেই বিষয়টি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য এনসিপি সবসময় কাজ করে যাবে।’