ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
জুলাই সনদের বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তার পূর্ণ দায় সরকারের ওপরই বর্তাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি। দলটি বলেছে, ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত জুলাই সনদের বাইরের কোনো সিদ্ধান্ত সনদে স্বাক্ষরকারী দলগুলোর জন্য মান্য করা বাধ্যতামূলক নয়।
মঙ্গলবার,(১১ নভেম্বর ২০২৫) দুপুরে গুলশানে দলটির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কথা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেনÑ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, জুলাই সনদের বিষয়াদির বাইরে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলে সনদে স্বাক্ষরকারী কোনো দলের জন্য তা মান্য করার বাধ্যবাধকতা থাকবে না। সে ক্ষেত্রে সব দায় সরকারের ওপরই বর্তাবে। সরকারের প্রতি আমরা সর্তক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কিছু উপদেষ্টা সম্প্রতি জুলাই সনদের বাইরের বিষয়ে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করছেন, যা ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করার শামিল।
বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, সোমবার (গত) রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেখানে দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আইনি দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ ঐতিহাসিক এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে অংশ নেয়া দলগুলো যদি জনগণের ম্যান্ডেট পায়, তবে নিজেদের নোট অব ডিসেন্টগুলো বাস্তবায়নের সুযোগ রাখে। কিন্তু এখন সরকারের প্রস্তাবে সেগুলোর উল্লেখ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির কোনো সাংবিধানিক বিধান বর্তমানে নেই। সংবিধান গৃহীত হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট অর্ডারের বিধান বিলুপ্ত হয়েছে। এখন শুধুমাত্র অধ্যাদেশের মাধ্যমেই রাষ্ট্রপতির আইন প্রণয়নের ক্ষমতা আছে।’
গণভোট ইস্যুতে আলোচনার সুযোগ প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘যদি সরকার আলোচনার আহ্বান
জানায়, তবে আলোচনার সুযোগ থাকতে পারে, কিন্তু রাজপথে নয়।’
রাজনৈতিক টানাপোড়ন প্রসঙ্গে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে ষড়যন্ত্র চলছে। যারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না, তারাই অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। তবে বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার সঙ্গে আমাদের সতর্কবার্তার কোনো সম্পর্ক নেই।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
জুলাই সনদের বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তার পূর্ণ দায় সরকারের ওপরই বর্তাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি। দলটি বলেছে, ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত জুলাই সনদের বাইরের কোনো সিদ্ধান্ত সনদে স্বাক্ষরকারী দলগুলোর জন্য মান্য করা বাধ্যতামূলক নয়।
মঙ্গলবার,(১১ নভেম্বর ২০২৫) দুপুরে গুলশানে দলটির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কথা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেনÑ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, জুলাই সনদের বিষয়াদির বাইরে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলে সনদে স্বাক্ষরকারী কোনো দলের জন্য তা মান্য করার বাধ্যবাধকতা থাকবে না। সে ক্ষেত্রে সব দায় সরকারের ওপরই বর্তাবে। সরকারের প্রতি আমরা সর্তক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কিছু উপদেষ্টা সম্প্রতি জুলাই সনদের বাইরের বিষয়ে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করছেন, যা ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করার শামিল।
বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, সোমবার (গত) রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেখানে দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আইনি দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ ঐতিহাসিক এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে অংশ নেয়া দলগুলো যদি জনগণের ম্যান্ডেট পায়, তবে নিজেদের নোট অব ডিসেন্টগুলো বাস্তবায়নের সুযোগ রাখে। কিন্তু এখন সরকারের প্রস্তাবে সেগুলোর উল্লেখ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির কোনো সাংবিধানিক বিধান বর্তমানে নেই। সংবিধান গৃহীত হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট অর্ডারের বিধান বিলুপ্ত হয়েছে। এখন শুধুমাত্র অধ্যাদেশের মাধ্যমেই রাষ্ট্রপতির আইন প্রণয়নের ক্ষমতা আছে।’
গণভোট ইস্যুতে আলোচনার সুযোগ প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘যদি সরকার আলোচনার আহ্বান
জানায়, তবে আলোচনার সুযোগ থাকতে পারে, কিন্তু রাজপথে নয়।’
রাজনৈতিক টানাপোড়ন প্রসঙ্গে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে ষড়যন্ত্র চলছে। যারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না, তারাই অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। তবে বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার সঙ্গে আমাদের সতর্কবার্তার কোনো সম্পর্ক নেই।’