বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের প্রত্যাশার মাত্রা দেখার পর বোঝা যাচ্ছিল প্রথম পর্ব নিয়ে তাদের তেমন কোনো চিন্তা-ভাবনাই নেই। হিসেব-নিকেশ মিলিয়ে সরাসরি সেমিফাইনালে খেলার আকাশ-কুসুম কল্পনার কথাও শুনিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট কর্মকর্তারা। সম্প্রতি ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয় সেই কল্পনাকে করেছে আরো জোরদার।কিন্তু করোরই চিন্তার কারন ছিলো না বাছাই পর্ব পার হওয়ার। বাংলাদেশের খেলোয়াড় কর্মকর্তারা হেসে-খেলেই বাছাই পর্ব পার হওয়ার মতবাদ ব্যক্ত করেছে।
অশনি সঙ্কেতটা মিলতে শুরু করেছিল প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে। শ্রীলঙ্কার পর আয়ারল্যান্ডের কাছে হারের পর নির্বাচক এবং কর্মকর্তারা বলেছিলেন এ দুটি হার নিয়ে চিন্তার কারণ নেই। সাকিব, মাহমুদউল্লাহ খেলেননি। তারা তো ফিরবেন মূল ম্যাচে, অতএব চিন্তা নেই।
অথচ এ বাছাই পর্ব নিয়েই এখন হোঁচট খাওয়ার সবচেয়ে বড় শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে স্কটল্যান্ডের কাছে ৬ রানের লজ্জাজনক হার হয়েছে সঙ্গী। স্কটিশদের করা ১৪১ রান করতে পারেনি বাংলাদেশ। সবচেয়ে বড় কথা, ৫৩ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে তারা। রানকে নিয়ে গেছে ১৪১ রানে। প্রথম ১০ ওভারে যে দলটির রান ৫০ এর ঘরে, সেই দলটিই শেষ ১০ ওভারে তুলছে ৯০-এর কাছাকাছি রান।
বাংলাদেশ সে কাজটিই করতে পারলো না। সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহর মত ব্যাটাররা ব্যাটিং করেছেন আদর্শ টেস্ট ব্যাটারদের মতো। আর যাদের নিয়ে উচ্চাশা ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট সমর্থকদের মনে সেই সৌম্য-লিটন, আফিফ, সোহানরা পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলো।
বাংলাদেশের একোদশ গঠন নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। নিয়মিত ওপেনার নাইম শেখ ছিলেন না। নেয়া হয়েছে সৌম্য সরকারকে। দলে রাখা হয়নি স্পিনার নাসুম আহমেদকে। এ দু’জনকে বাদ দিয়ে একাদশ গঠন করাতেই যেন হারটাকে সঙ্গে লিখে নিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট।
উদ্বোধনী দিনে ওমান ম্যাচ জিতেছে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। সে সঙ্গে রান রেট এক ম্যাচেই লিখে নিয়েছে ৩.১৩৫। অন্যদিকে বাংলাদেশ হারের কারণে রানরেট -০.৩০০ এবং স্কটল্যান্ডের রান রেট ০.৩০০।
স্কটিশদের কাছে প্রথম ম্যাচ হারের পরই তীব্র শঙ্কা তৈরি হয়েছে। জটিল সমীকরণের মুখোমুখি হয়ে গেছে টাইগাররা। শেষ দুই ম্যাচ ওমান এবং পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে। ওমানের বিপক্ষে আজ রাতেই মাঠে নামছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। বৃহস্পতিবার খেলবে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে।
সুপার টুয়েলভে যেতে হলে পরের দুই ম্যাচ তো অবশ্যই জিততে হবে। সে সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যদের দিকেও। কারণ, ওমান এবং স্কটল্যান্ডের অন্তত আরও একটি করে ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা আছে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ২টা জিতলে তিন দলের পয়েন্ট হয়ে যাবে সমান ৪ করে। তখন, রান রেটে যারা এগিয়ে থাকবে, তারাই যাবে সুপার টুয়েলভে।
অন্যদিকে স্কটল্যান্ড যদি তিন ম্যাচেই জিতে যায়, বাংলাদেশ যদি দুই ম্যাচ জেতে, তাহলে হয়তো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে না, রানারআপ হয়েই উঠতে পারবে সুপার টুয়েলভে। সে ক্ষেত্রে মূল পর্বে বাংলাদেশের সঙ্গী হতে পারে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং বাছাই পর্ব থেকে উঠে আসা একটি দল।
তবে, বাংলাদেশ যদি কোনোভাবে মঙ্গলবার ওমানের কাছেও হেরে যায়, তাহলে সুপার টুয়েলভে খেলা ছাড়াই ফিরে আসতে হবে দেশে। তবে পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, স্কটল্যান্ডের চেয়েও ওমান ম্যাচ কঠিন হতে পারে। কারণ, ওমানিরা একে তো নিজেদের মাঠে খেলবে। তারওপর দেশটির ক্রিকেট দলের হয়ে খেলছেন যারা, তাদের অধিকাংশই ভারত এবং পাকিস্তানের। সুতরাং, মানসিক শক্তি তাদের বাংলাদেশের চেয়েও বেশি।
এখন দেখার বিষয়, শেষ দুই ম্যাচে বাংলাদেশ কেমন খেলে এবং সাথে ভাগ্যেরও সহায়তা থাকছে কিনা।
সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের প্রত্যাশার মাত্রা দেখার পর বোঝা যাচ্ছিল প্রথম পর্ব নিয়ে তাদের তেমন কোনো চিন্তা-ভাবনাই নেই। হিসেব-নিকেশ মিলিয়ে সরাসরি সেমিফাইনালে খেলার আকাশ-কুসুম কল্পনার কথাও শুনিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট কর্মকর্তারা। সম্প্রতি ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয় সেই কল্পনাকে করেছে আরো জোরদার।কিন্তু করোরই চিন্তার কারন ছিলো না বাছাই পর্ব পার হওয়ার। বাংলাদেশের খেলোয়াড় কর্মকর্তারা হেসে-খেলেই বাছাই পর্ব পার হওয়ার মতবাদ ব্যক্ত করেছে।
অশনি সঙ্কেতটা মিলতে শুরু করেছিল প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে। শ্রীলঙ্কার পর আয়ারল্যান্ডের কাছে হারের পর নির্বাচক এবং কর্মকর্তারা বলেছিলেন এ দুটি হার নিয়ে চিন্তার কারণ নেই। সাকিব, মাহমুদউল্লাহ খেলেননি। তারা তো ফিরবেন মূল ম্যাচে, অতএব চিন্তা নেই।
অথচ এ বাছাই পর্ব নিয়েই এখন হোঁচট খাওয়ার সবচেয়ে বড় শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে স্কটল্যান্ডের কাছে ৬ রানের লজ্জাজনক হার হয়েছে সঙ্গী। স্কটিশদের করা ১৪১ রান করতে পারেনি বাংলাদেশ। সবচেয়ে বড় কথা, ৫৩ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে তারা। রানকে নিয়ে গেছে ১৪১ রানে। প্রথম ১০ ওভারে যে দলটির রান ৫০ এর ঘরে, সেই দলটিই শেষ ১০ ওভারে তুলছে ৯০-এর কাছাকাছি রান।
বাংলাদেশ সে কাজটিই করতে পারলো না। সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহর মত ব্যাটাররা ব্যাটিং করেছেন আদর্শ টেস্ট ব্যাটারদের মতো। আর যাদের নিয়ে উচ্চাশা ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট সমর্থকদের মনে সেই সৌম্য-লিটন, আফিফ, সোহানরা পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলো।
বাংলাদেশের একোদশ গঠন নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। নিয়মিত ওপেনার নাইম শেখ ছিলেন না। নেয়া হয়েছে সৌম্য সরকারকে। দলে রাখা হয়নি স্পিনার নাসুম আহমেদকে। এ দু’জনকে বাদ দিয়ে একাদশ গঠন করাতেই যেন হারটাকে সঙ্গে লিখে নিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট।
উদ্বোধনী দিনে ওমান ম্যাচ জিতেছে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। সে সঙ্গে রান রেট এক ম্যাচেই লিখে নিয়েছে ৩.১৩৫। অন্যদিকে বাংলাদেশ হারের কারণে রানরেট -০.৩০০ এবং স্কটল্যান্ডের রান রেট ০.৩০০।
স্কটিশদের কাছে প্রথম ম্যাচ হারের পরই তীব্র শঙ্কা তৈরি হয়েছে। জটিল সমীকরণের মুখোমুখি হয়ে গেছে টাইগাররা। শেষ দুই ম্যাচ ওমান এবং পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে। ওমানের বিপক্ষে আজ রাতেই মাঠে নামছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। বৃহস্পতিবার খেলবে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে।
সুপার টুয়েলভে যেতে হলে পরের দুই ম্যাচ তো অবশ্যই জিততে হবে। সে সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যদের দিকেও। কারণ, ওমান এবং স্কটল্যান্ডের অন্তত আরও একটি করে ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা আছে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ২টা জিতলে তিন দলের পয়েন্ট হয়ে যাবে সমান ৪ করে। তখন, রান রেটে যারা এগিয়ে থাকবে, তারাই যাবে সুপার টুয়েলভে।
অন্যদিকে স্কটল্যান্ড যদি তিন ম্যাচেই জিতে যায়, বাংলাদেশ যদি দুই ম্যাচ জেতে, তাহলে হয়তো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে না, রানারআপ হয়েই উঠতে পারবে সুপার টুয়েলভে। সে ক্ষেত্রে মূল পর্বে বাংলাদেশের সঙ্গী হতে পারে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং বাছাই পর্ব থেকে উঠে আসা একটি দল।
তবে, বাংলাদেশ যদি কোনোভাবে মঙ্গলবার ওমানের কাছেও হেরে যায়, তাহলে সুপার টুয়েলভে খেলা ছাড়াই ফিরে আসতে হবে দেশে। তবে পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, স্কটল্যান্ডের চেয়েও ওমান ম্যাচ কঠিন হতে পারে। কারণ, ওমানিরা একে তো নিজেদের মাঠে খেলবে। তারওপর দেশটির ক্রিকেট দলের হয়ে খেলছেন যারা, তাদের অধিকাংশই ভারত এবং পাকিস্তানের। সুতরাং, মানসিক শক্তি তাদের বাংলাদেশের চেয়েও বেশি।
এখন দেখার বিষয়, শেষ দুই ম্যাচে বাংলাদেশ কেমন খেলে এবং সাথে ভাগ্যেরও সহায়তা থাকছে কিনা।