বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচে চলমান বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের দেখা মিলেছে। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ৮৪ রানে থামে টাইগাররা। যদিও এই অল্প লক্ষ্য মোকাবেলায় চার উইকেট হারিয়ে ১৪ ওভার পর্যন্ত লড়াই করতে হয়েছিল টেম্বা বাভুমাদের। বল হাতে দুর্দান্ত টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদের মতে, বাংলাদেশের সংগ্রহ ১২০ কিংবা ১২৫ হলে ম্যাচের গল্পটা অন্যরকম হতে পারত। এর জন্য ব্যাটিং অর্ডারকেই দায়ী করলেন তিনি।
বিশ্বকাপের শুরু থেকেই ওপেনিং জুটির ব্যর্থতা কাটছে না। গতকালও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মাত্র ২২ রানেই থামে এই জুটি। তারপর চরম ব্যাটিং ব্যর্থতার দেখা মিলে বাংলাদেশের শিবিরে। সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম ও আফিফ হোসেন তিনজনই রান না করে সাজঘরে ফেরেন। এ ছাড়াও বাকি যারা ছিলেন তাদের মধ্যে কেউই ত্রিশের ঘরে যেতে পারেননি। তাতেই প্রোটিয়াদের সামনে লক্ষ্য ছোট হয়ে যায়। যদিও তাসকিন ও শেখ মেহেদী যথেষ্ঠ লড়াইয়ের চেষ্টা করে গেছেন কিন্তু দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কোনোভাবে আটকানো যায়নি।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে তাসকিন বলেন, ‘নরমালি তো ১৪০/৫০ সবগুলো ম্যাচেই অনেক ফাইটিং স্কোর হচ্ছে। কিন্তু আজকে মনে হচ্ছিল ১২০/২৫ হয়তো অন্যরকম গল্প হতে পারত, যদি আমরা করতে পারতাম। আসলে আগের ম্যাচ গুলোর তুলনা আজকে উইকেট একটু অন্যরকম লাগছিল। বল একটু সিমিং হচ্ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসেও আপনারা দেখছিলেন অফ দ্য পিচ মুভমেন্ট হচ্ছি। ওরাও কিন্তু ৮৪ করতে ১৪ ওভার লেগে গেছিল। আমরা যদি একটু ভালো করতাম তবে লড়াই হতো। এখানকার উইকেট অনেক স্পোর্টিং। মিরপুরের চেয়ে অনেক ভিন্ন। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আরও ভালো উইকেটে খেলা হলে আমাদের বোলিং-ব্যাটিং দুটাই আরও উন্নত হবে। যত ভালো উইকেটে খেলা হবে বোলারদের তত চ্যালেঞ্জ বাড়বে। এতে আমাদের সবারই আরও উন্নতি হবে। ভবিষ্যতে ভালো উইকেটে খেললে ফলাফল যাই হোক, বড় ইভেন্টগুলোতে সুবিধা হবে আশা করছি।’
দলের স্কোর বড় না হওয়ার জন্য ব্যাটিংয়ের দায় কম নয়। সেই কথাই মনে করিয়ে দিয়ে তাসকিন বলেন, ‘আসলে আমাদের একটু ব্যাকফুটে চলে যাওয়ার কারণ কিছু ম্যাচ হারাতে। ব্যাটিং ইউনিটে কনফিডেন্ট কিছুটা কম থাকার কারণে হয়তো ভালো হয়নি। যদিও ওরা খুব ভালো বোলিং করেছে। দুর্ভাগ্যবশত আমরা ভালো টোটাল করতে না পারায় ম্যাচটা হেরে গেছি। দিন শেষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রানটা ফ্যাক্টর। যদিও ওমন টোটাল হয়নি, একটা ম্যাচে পরে ব্যাটিং করে রান করতে পারিনি, আরেকটা ম্যাচে তো ভালো রান করলেও বোলিংটা ভালো হয়নি। একেকদিন একেকটা ভুল ছিল। একদিন বোলিং খারাপ হয়েছে তো আরেকদিন ব্যাটিং। ওভার অল টিম হিসেবে যেমন হওয়া দরকার ছিল তেমন পারফরম্যান্স করতে পারিনি’
তাসকিন আহমেদ আরও বলেন, কোনো হারই তো মজার না, বড় হোক আর ছোট হোক। হার তো হারই। হার কার ভালো লাগে? আমরা অনেক আশা নিয়ে এসেছিলাম। স্বপ্ন ও আশা অনুযায়ী খেলতে পারিনি। এজন্য এত কথা, অনেক সমালোচনা। খুব স্বাভাবিক। এটা মেনে নিতেই হবে, কিছু করার নেই। দোয়া করবেন সবাই যেন একটা জয় দেশকে উপহার দিতে পারি।
মঙ্গলবার, ০২ নভেম্বর ২০২১
বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচে চলমান বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের দেখা মিলেছে। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ৮৪ রানে থামে টাইগাররা। যদিও এই অল্প লক্ষ্য মোকাবেলায় চার উইকেট হারিয়ে ১৪ ওভার পর্যন্ত লড়াই করতে হয়েছিল টেম্বা বাভুমাদের। বল হাতে দুর্দান্ত টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদের মতে, বাংলাদেশের সংগ্রহ ১২০ কিংবা ১২৫ হলে ম্যাচের গল্পটা অন্যরকম হতে পারত। এর জন্য ব্যাটিং অর্ডারকেই দায়ী করলেন তিনি।
বিশ্বকাপের শুরু থেকেই ওপেনিং জুটির ব্যর্থতা কাটছে না। গতকালও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মাত্র ২২ রানেই থামে এই জুটি। তারপর চরম ব্যাটিং ব্যর্থতার দেখা মিলে বাংলাদেশের শিবিরে। সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম ও আফিফ হোসেন তিনজনই রান না করে সাজঘরে ফেরেন। এ ছাড়াও বাকি যারা ছিলেন তাদের মধ্যে কেউই ত্রিশের ঘরে যেতে পারেননি। তাতেই প্রোটিয়াদের সামনে লক্ষ্য ছোট হয়ে যায়। যদিও তাসকিন ও শেখ মেহেদী যথেষ্ঠ লড়াইয়ের চেষ্টা করে গেছেন কিন্তু দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কোনোভাবে আটকানো যায়নি।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে তাসকিন বলেন, ‘নরমালি তো ১৪০/৫০ সবগুলো ম্যাচেই অনেক ফাইটিং স্কোর হচ্ছে। কিন্তু আজকে মনে হচ্ছিল ১২০/২৫ হয়তো অন্যরকম গল্প হতে পারত, যদি আমরা করতে পারতাম। আসলে আগের ম্যাচ গুলোর তুলনা আজকে উইকেট একটু অন্যরকম লাগছিল। বল একটু সিমিং হচ্ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসেও আপনারা দেখছিলেন অফ দ্য পিচ মুভমেন্ট হচ্ছি। ওরাও কিন্তু ৮৪ করতে ১৪ ওভার লেগে গেছিল। আমরা যদি একটু ভালো করতাম তবে লড়াই হতো। এখানকার উইকেট অনেক স্পোর্টিং। মিরপুরের চেয়ে অনেক ভিন্ন। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আরও ভালো উইকেটে খেলা হলে আমাদের বোলিং-ব্যাটিং দুটাই আরও উন্নত হবে। যত ভালো উইকেটে খেলা হবে বোলারদের তত চ্যালেঞ্জ বাড়বে। এতে আমাদের সবারই আরও উন্নতি হবে। ভবিষ্যতে ভালো উইকেটে খেললে ফলাফল যাই হোক, বড় ইভেন্টগুলোতে সুবিধা হবে আশা করছি।’
দলের স্কোর বড় না হওয়ার জন্য ব্যাটিংয়ের দায় কম নয়। সেই কথাই মনে করিয়ে দিয়ে তাসকিন বলেন, ‘আসলে আমাদের একটু ব্যাকফুটে চলে যাওয়ার কারণ কিছু ম্যাচ হারাতে। ব্যাটিং ইউনিটে কনফিডেন্ট কিছুটা কম থাকার কারণে হয়তো ভালো হয়নি। যদিও ওরা খুব ভালো বোলিং করেছে। দুর্ভাগ্যবশত আমরা ভালো টোটাল করতে না পারায় ম্যাচটা হেরে গেছি। দিন শেষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রানটা ফ্যাক্টর। যদিও ওমন টোটাল হয়নি, একটা ম্যাচে পরে ব্যাটিং করে রান করতে পারিনি, আরেকটা ম্যাচে তো ভালো রান করলেও বোলিংটা ভালো হয়নি। একেকদিন একেকটা ভুল ছিল। একদিন বোলিং খারাপ হয়েছে তো আরেকদিন ব্যাটিং। ওভার অল টিম হিসেবে যেমন হওয়া দরকার ছিল তেমন পারফরম্যান্স করতে পারিনি’
তাসকিন আহমেদ আরও বলেন, কোনো হারই তো মজার না, বড় হোক আর ছোট হোক। হার তো হারই। হার কার ভালো লাগে? আমরা অনেক আশা নিয়ে এসেছিলাম। স্বপ্ন ও আশা অনুযায়ী খেলতে পারিনি। এজন্য এত কথা, অনেক সমালোচনা। খুব স্বাভাবিক। এটা মেনে নিতেই হবে, কিছু করার নেই। দোয়া করবেন সবাই যেন একটা জয় দেশকে উপহার দিতে পারি।