দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ সপ্তম টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে লড়বে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালে স্পট লাইট থাকবে যেসব খেলোয়াড়ের ওপর।
এডাম জাম্পা : ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বড় অস্ত্র স্পিনার এডাম জাম্পা। দুবাই কন্ডিশনের কারণে ফাইনালে বড় ভূমিকা রাখবেন জাম্পা। এবারের বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী তিনি। ৬ ইনিংসে ১৩১ রান দিয়ে ১২ উইকেট শিকার তার। ইকোনমি রেট ৫ দশমিক ৬৯। সুপার টুয়েলভ পর্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৯ রানে ৫ উইকেট তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার। সেমিফাইনালেও বল হাতে কিপটে ছিলেন তিনি। ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন জাম্পা।
ডেভিড ওয়ার্নার : টি-২০ বিশ্বকাপের শুরুতে ফর্মহীনতায় ভুগছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। কিন্তু টুর্নামেন্ট শুরুর পর থেকে অন্য রূপে আবির্ভূত হন ওয়ার্নার। দুই হাফ-সেঞ্চুরিতে ৬ ইনিংসে এ পর্যন্ত আসরে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৩৬ রান করেছেন তিনি। টুর্নামেন্টে যা চতুর্থ সর্বোচ্চ। ওয়ার্নারের গড় ৪৭ দশমিক ২০ ও স্ট্রাইক রেট ১৪৮ দশমিক ৪২। সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ খেলেছিলেন ওয়ার্নার।
মিচেল স্টার্ক : অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণের অন্যতম ভরসা মিচেল স্টার্ক। ৬ ইনিংসে ৯ উইকেট ঝুলিতে আছে তার। জাম্পার পর অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট তারই। ধারাবাহিকতা থাকলেও, এখনও বিধ্বংসী রূপে দেখা যায়নি স্টার্ককে। ফাইনালের মতো বড় মঞ্চে, স্টার্কের জ্বলে উঠার অপেক্ষা অস্ট্রেলিয়া।
ট্রেন্ট বোল্ট : এবারের আসরে এখন পর্যন্ত ৬ ইনিংসে ১১ উইকেট নিউজিল্যান্ডের পেসার ট্রেন্ট বোল্টের। যা নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ শিকার। সবগুলো উইকেট সুপার টুয়েলভেই নিয়েছেন তিনি। কিন্তু সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের ৪০ রান দিয়ে উইকেটশুন্য ছিলেন বোল্ট। তারপরও কেন উইলিয়ামসনের বড় অস্ত্র হচ্ছেন এই বাঁ-হাতি পেসার।
এ বছর ১১ ম্যাচে ১৮ উইকেট আছে বোল্টের। ২০১৩ সালে অভিষেকের পর এক বছরে এটিই সবচেয়ে বেশি উইকেট তার। পাওয়ার-প্লে ও ডেথ ওভারে নিউজিল্যান্ডের অন্যতম ভরসার নাম বোল্ট। সুপার টুয়েলভে ভারতের ব্যাটিং লাইন-আপকে এলোমেলো করতে দারুণ পারদর্শী ছিলেন বোল্ট।
ইশ সোধি : প্রতিপক্ষের ব্যাটিংয়ে মাঝ ওভারে চাপ সৃষ্টি করতে পটু নিউজিল্যান্ডের স্পিনার ইশ সোধি। মরুর দেশে বিশ্বকাপ হওয়ার সুবিধা ভালোভাবেই নিয়েছেন সোধি। ৬ ইনিংসে ৯ উইকেট তার। ইকোনমি ৭ দশমিক ৩৩। সুপার টুয়েলভে তার ঘুর্ণিতে কুপোকাত হন ভারতের সেরা দুই খেলোয়াড় বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। ফাইনালের মঞ্চে প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ে জ্বলে উঠতে হবে সোধিকে।
টিম সাউদি : বোল্টের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের পেস আক্রমণ সামলাচ্ছেন টিম সাউদি। ৬ ইনিংসে ৮ উইকেট সাউদির। এবারের বিশ্বকাপে বিশ্বের চতুর্থ বোলার হিসেবে টি-২০তে ১শ’ উইকেট শিকারের ক্লাবে প্রবেশ করেন সাউদি। এই আসরে যে ক’টি ম্যাচ খেলেছেন, সবগুলোতেই উইকেট নিয়েছেন তিনি। তাই ফাইনালে সাউদির ধারাহিকতার প্রত্যাশায় নিউজিল্যান্ড।
শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ সপ্তম টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে লড়বে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালে স্পট লাইট থাকবে যেসব খেলোয়াড়ের ওপর।
এডাম জাম্পা : ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বড় অস্ত্র স্পিনার এডাম জাম্পা। দুবাই কন্ডিশনের কারণে ফাইনালে বড় ভূমিকা রাখবেন জাম্পা। এবারের বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী তিনি। ৬ ইনিংসে ১৩১ রান দিয়ে ১২ উইকেট শিকার তার। ইকোনমি রেট ৫ দশমিক ৬৯। সুপার টুয়েলভ পর্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৯ রানে ৫ উইকেট তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার। সেমিফাইনালেও বল হাতে কিপটে ছিলেন তিনি। ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন জাম্পা।
ডেভিড ওয়ার্নার : টি-২০ বিশ্বকাপের শুরুতে ফর্মহীনতায় ভুগছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। কিন্তু টুর্নামেন্ট শুরুর পর থেকে অন্য রূপে আবির্ভূত হন ওয়ার্নার। দুই হাফ-সেঞ্চুরিতে ৬ ইনিংসে এ পর্যন্ত আসরে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৩৬ রান করেছেন তিনি। টুর্নামেন্টে যা চতুর্থ সর্বোচ্চ। ওয়ার্নারের গড় ৪৭ দশমিক ২০ ও স্ট্রাইক রেট ১৪৮ দশমিক ৪২। সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ খেলেছিলেন ওয়ার্নার।
মিচেল স্টার্ক : অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণের অন্যতম ভরসা মিচেল স্টার্ক। ৬ ইনিংসে ৯ উইকেট ঝুলিতে আছে তার। জাম্পার পর অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট তারই। ধারাবাহিকতা থাকলেও, এখনও বিধ্বংসী রূপে দেখা যায়নি স্টার্ককে। ফাইনালের মতো বড় মঞ্চে, স্টার্কের জ্বলে উঠার অপেক্ষা অস্ট্রেলিয়া।
ট্রেন্ট বোল্ট : এবারের আসরে এখন পর্যন্ত ৬ ইনিংসে ১১ উইকেট নিউজিল্যান্ডের পেসার ট্রেন্ট বোল্টের। যা নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ শিকার। সবগুলো উইকেট সুপার টুয়েলভেই নিয়েছেন তিনি। কিন্তু সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের ৪০ রান দিয়ে উইকেটশুন্য ছিলেন বোল্ট। তারপরও কেন উইলিয়ামসনের বড় অস্ত্র হচ্ছেন এই বাঁ-হাতি পেসার।
এ বছর ১১ ম্যাচে ১৮ উইকেট আছে বোল্টের। ২০১৩ সালে অভিষেকের পর এক বছরে এটিই সবচেয়ে বেশি উইকেট তার। পাওয়ার-প্লে ও ডেথ ওভারে নিউজিল্যান্ডের অন্যতম ভরসার নাম বোল্ট। সুপার টুয়েলভে ভারতের ব্যাটিং লাইন-আপকে এলোমেলো করতে দারুণ পারদর্শী ছিলেন বোল্ট।
ইশ সোধি : প্রতিপক্ষের ব্যাটিংয়ে মাঝ ওভারে চাপ সৃষ্টি করতে পটু নিউজিল্যান্ডের স্পিনার ইশ সোধি। মরুর দেশে বিশ্বকাপ হওয়ার সুবিধা ভালোভাবেই নিয়েছেন সোধি। ৬ ইনিংসে ৯ উইকেট তার। ইকোনমি ৭ দশমিক ৩৩। সুপার টুয়েলভে তার ঘুর্ণিতে কুপোকাত হন ভারতের সেরা দুই খেলোয়াড় বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। ফাইনালের মঞ্চে প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ে জ্বলে উঠতে হবে সোধিকে।
টিম সাউদি : বোল্টের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের পেস আক্রমণ সামলাচ্ছেন টিম সাউদি। ৬ ইনিংসে ৮ উইকেট সাউদির। এবারের বিশ্বকাপে বিশ্বের চতুর্থ বোলার হিসেবে টি-২০তে ১শ’ উইকেট শিকারের ক্লাবে প্রবেশ করেন সাউদি। এই আসরে যে ক’টি ম্যাচ খেলেছেন, সবগুলোতেই উইকেট নিয়েছেন তিনি। তাই ফাইনালে সাউদির ধারাহিকতার প্রত্যাশায় নিউজিল্যান্ড।