যেকোনো হার হারই। তবে সিলেটে বাংলাদেশ যেভাবে হেরেছে, তাতে উঠবে প্রশ্ন। টেস্ট ক্রিকেটের টেম্পারমেন্ট, লড়াইয়ের মানসিকতা নিয়ে পুরনো সমালোচনা ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।
চতুর্থ দিনে খেলা শেষ হওয়া নিয়ে সংশয়ে ছিলেন না কেউই। দেখার ছিল বাকি ৫ উইকেট নিয়ে আর কতটা লম্বা হয় খেলা। মোমিনুলের সৌজন্যে এক সেশনের কিছু বেশি লড়াই হলো। অনুমিত বড় এই হারের মাঝেও সান্ত¡না হতে পারেন মোমিনুল। অন্তত কিছুটা লড়াইয়ের ঝাঁজ দেখালেন তিনি। বাংলাদেশকে গুটিয়ে পেসারদের নৈপুণ্যে ১৯৮৬ সালের পর একটা গৌরবময় স্মৃতি ফিরিয়ে আনল তারা।
সোমবার (২৫ মার্চ) বাংলাদেশের ইনিংস টিকেছে ১৮৬ মিনিট। অলআউট হয়েছে ১৮২ রানে। শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট জিতে ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে। এদিন খেলার ফল কি হতে যাচ্ছে জানত সবাই। স্রেফ আনুষ্ঠানিকতার মতই হারের ব্যবধানটা চূড়ান্ত হওয়ার ব্যাপার ছিল।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর প্রথম ঘণ্টায় নাহিদ রানাকে বাউন্সারে কাবু করে স্বাগতিকদের মুড়িয়ে দেন লাহিরু কুমারা। এতেই ১৯৮৬ সালের পর একটি পেসারদের একটি অর্জন ফিরে আসে। কোনো টেস্টে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেটের সবগুলোই নেয়ার ঘটনা শ্রীলঙ্কান পেসাররা করে দেখালেন তৃতীয়বার। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস মুড়ে দিতে অবশ্য খুব বেশি খাটতে হয়নি লঙ্কানদের। আলগা শট, আত্মঘাতী শটে নিজেরাই বিপদ ডেকে এনেছেন। আগের দিন বিকেলে নেমে অদ্ভুতুড়ে ব্যাটিংয়ে ৩৭ রানে পাঁচ উইকেট হারায় স্বাগতিকতা। নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাসরা ফেরেন ব্যাখ্যাতীত শটে।
চতুর্থ দিনে বাংলাদেশের পাওয়ার ছিল সামান্য। মোমিনুলের দৃঢ়তা কেউ প্রাপ্তির জায়গায় রেখে সান্ত্বনা খুঁজতে পারেন। ম্যাচের ফলে কোনো প্রভাবক না হলেও সাবেক অধিনায়ক মোমিনুল নিজের কাজটা তো অন্তত করেছেন। ১৪৮ বল খেলে ৮৭ রানে অপরাজিত থেকে দেখেছেন বাকিদের আসা যাওয়া। তার মতন নিবেদন অন্য আরও অন্তত দুজন দেখাতে পারলে দ্বিতীয় টেস্টের আগে আত্মবিশ্বাস চাঙ্গা করতে পারত দল।
যেকোনো হার হারই। তবে সিলেটে বাংলাদেশ যেভাবে হেরেছে, তাতে উঠবে প্রশ্ন। টেস্ট ক্রিকেটের টেম্পারমেন্ট, লড়াইয়ের মানসিকতা নিয়ে পুরনো সমালোচনা ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।
ম্যাচটা যে ছিল লাল বলের, মোমিনুল ছাড়া সেই কথাটা যেন ভুলেই গিয়েছিলেন বাকি সব স্বীকৃত ব্যাটাররা। তাই তো চড়াও হতে সময় নেননি কেউ। তাতে যা হবার তাই হয়েছে। বিশাল ব্যবধানেই হেরেছে বাংলাদেশ দল।
ধৈর্য ধরে খেললে যে ভালো কিছু হতে পারতো এদিন তা সতীর্থদের আঙুল দিয়েই দেখিয়ে দিয়েছেন মোমিনুল। ধারার বিপরীতে এক প্রান্তে মাটি কামড়ে থেকে খেলেছেন হার না মানা ৮৭ রানের ইনিংস। ১৪৮ বলের ইনিংসটি ১২টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজান তিনি। এর আগে সিলেটের এই মাঠে লঙ্কানদের হয়ে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি পেয়েছে কামিন্দু মেন্ডিস ও অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।
সকালে স্ট্রাইক পেয়ে প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করা তাইজুল ইসলাম। রাজিথার বলে লাইন মিস করে এলবিডব্লউ হন। এরপর মিরাজের সঙ্গে দলের হাল ধরেন মোমিনুল। সপ্তম উইকেটে ৬৬ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়ার ইঙ্গিত দেন এ দুই ব্যাটার।
মিরাজের প্রতিরোধ ভাঙে আগ্রাসী হতে গিয়ে। রাজিথার বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে গেলে স্লিপে ধনাঞ্জয়ার হাতে জমা পরে। ৫০ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৩৩ রান করেন এই অলরাউন্ডার।
এরপর শরিফুলের সঙ্গে ৪৭ রানের আরও একটি জুটি গড়েন মোমিনুল। রাজিথার বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন শরিফুল (৪২ বলে ১২ রান)। রাজিথার পরের বলেই কটবিহাইন্ড হন খালেদ আর কুমারার বলে স্লিপে ধনাঞ্জয়া হাতে গেলে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।
৫৬ রানের খরচায় ৫টি উইকেট তুলে নেন রাজিথা। ৩৬ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট পান বিশ্ব ফার্নান্ডো। এছাড়া ২টি উইকেট নেন কুমারা।
সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪
যেকোনো হার হারই। তবে সিলেটে বাংলাদেশ যেভাবে হেরেছে, তাতে উঠবে প্রশ্ন। টেস্ট ক্রিকেটের টেম্পারমেন্ট, লড়াইয়ের মানসিকতা নিয়ে পুরনো সমালোচনা ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।
চতুর্থ দিনে খেলা শেষ হওয়া নিয়ে সংশয়ে ছিলেন না কেউই। দেখার ছিল বাকি ৫ উইকেট নিয়ে আর কতটা লম্বা হয় খেলা। মোমিনুলের সৌজন্যে এক সেশনের কিছু বেশি লড়াই হলো। অনুমিত বড় এই হারের মাঝেও সান্ত¡না হতে পারেন মোমিনুল। অন্তত কিছুটা লড়াইয়ের ঝাঁজ দেখালেন তিনি। বাংলাদেশকে গুটিয়ে পেসারদের নৈপুণ্যে ১৯৮৬ সালের পর একটা গৌরবময় স্মৃতি ফিরিয়ে আনল তারা।
সোমবার (২৫ মার্চ) বাংলাদেশের ইনিংস টিকেছে ১৮৬ মিনিট। অলআউট হয়েছে ১৮২ রানে। শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট জিতে ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে। এদিন খেলার ফল কি হতে যাচ্ছে জানত সবাই। স্রেফ আনুষ্ঠানিকতার মতই হারের ব্যবধানটা চূড়ান্ত হওয়ার ব্যাপার ছিল।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর প্রথম ঘণ্টায় নাহিদ রানাকে বাউন্সারে কাবু করে স্বাগতিকদের মুড়িয়ে দেন লাহিরু কুমারা। এতেই ১৯৮৬ সালের পর একটি পেসারদের একটি অর্জন ফিরে আসে। কোনো টেস্টে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেটের সবগুলোই নেয়ার ঘটনা শ্রীলঙ্কান পেসাররা করে দেখালেন তৃতীয়বার। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস মুড়ে দিতে অবশ্য খুব বেশি খাটতে হয়নি লঙ্কানদের। আলগা শট, আত্মঘাতী শটে নিজেরাই বিপদ ডেকে এনেছেন। আগের দিন বিকেলে নেমে অদ্ভুতুড়ে ব্যাটিংয়ে ৩৭ রানে পাঁচ উইকেট হারায় স্বাগতিকতা। নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাসরা ফেরেন ব্যাখ্যাতীত শটে।
চতুর্থ দিনে বাংলাদেশের পাওয়ার ছিল সামান্য। মোমিনুলের দৃঢ়তা কেউ প্রাপ্তির জায়গায় রেখে সান্ত্বনা খুঁজতে পারেন। ম্যাচের ফলে কোনো প্রভাবক না হলেও সাবেক অধিনায়ক মোমিনুল নিজের কাজটা তো অন্তত করেছেন। ১৪৮ বল খেলে ৮৭ রানে অপরাজিত থেকে দেখেছেন বাকিদের আসা যাওয়া। তার মতন নিবেদন অন্য আরও অন্তত দুজন দেখাতে পারলে দ্বিতীয় টেস্টের আগে আত্মবিশ্বাস চাঙ্গা করতে পারত দল।
যেকোনো হার হারই। তবে সিলেটে বাংলাদেশ যেভাবে হেরেছে, তাতে উঠবে প্রশ্ন। টেস্ট ক্রিকেটের টেম্পারমেন্ট, লড়াইয়ের মানসিকতা নিয়ে পুরনো সমালোচনা ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।
ম্যাচটা যে ছিল লাল বলের, মোমিনুল ছাড়া সেই কথাটা যেন ভুলেই গিয়েছিলেন বাকি সব স্বীকৃত ব্যাটাররা। তাই তো চড়াও হতে সময় নেননি কেউ। তাতে যা হবার তাই হয়েছে। বিশাল ব্যবধানেই হেরেছে বাংলাদেশ দল।
ধৈর্য ধরে খেললে যে ভালো কিছু হতে পারতো এদিন তা সতীর্থদের আঙুল দিয়েই দেখিয়ে দিয়েছেন মোমিনুল। ধারার বিপরীতে এক প্রান্তে মাটি কামড়ে থেকে খেলেছেন হার না মানা ৮৭ রানের ইনিংস। ১৪৮ বলের ইনিংসটি ১২টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজান তিনি। এর আগে সিলেটের এই মাঠে লঙ্কানদের হয়ে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি পেয়েছে কামিন্দু মেন্ডিস ও অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।
সকালে স্ট্রাইক পেয়ে প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করা তাইজুল ইসলাম। রাজিথার বলে লাইন মিস করে এলবিডব্লউ হন। এরপর মিরাজের সঙ্গে দলের হাল ধরেন মোমিনুল। সপ্তম উইকেটে ৬৬ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়ার ইঙ্গিত দেন এ দুই ব্যাটার।
মিরাজের প্রতিরোধ ভাঙে আগ্রাসী হতে গিয়ে। রাজিথার বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে গেলে স্লিপে ধনাঞ্জয়ার হাতে জমা পরে। ৫০ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৩৩ রান করেন এই অলরাউন্ডার।
এরপর শরিফুলের সঙ্গে ৪৭ রানের আরও একটি জুটি গড়েন মোমিনুল। রাজিথার বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন শরিফুল (৪২ বলে ১২ রান)। রাজিথার পরের বলেই কটবিহাইন্ড হন খালেদ আর কুমারার বলে স্লিপে ধনাঞ্জয়া হাতে গেলে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।
৫৬ রানের খরচায় ৫টি উইকেট তুলে নেন রাজিথা। ৩৬ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট পান বিশ্ব ফার্নান্ডো। এছাড়া ২টি উইকেট নেন কুমারা।