বান্দরবানের থানচি উপজেলার সাঙ্গু নদীতে দু’বছর আগে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। এতে নদীর দুই পাড়ের হাজারো মানুষের মধ্যে মেলবন্ধন সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু বছর দুয়েক যেতে না যেতেই সেতুটি ভেঙে গেছে।
২০১৯-২১ অর্থবছ?রে ঝুলন্ত সেতুটি নির্মিত হয়। এটি বাংলাদে?শের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঝুলন্ত সেতু হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করে। সেতুটি সেখানকার পাঁচ হাজার মানুষের নির্বিঘ্নে যাতায়াতের মাধ্যম তৈরি করেছিল। শুধু স্থানীয় বাসিন্দারাই যে সেতুর সুবিধা ভোগ করছিলেন তা নয়। দেশ-বিদেশের পর্যটক?দের কাছেও সেটা ছিল আকর্ষণীয়।
একটা সেতু বানানোর পর দুই বছরও টিকলো না, এর কারণটা কী। টেকসইভাবে সেতু নির্মাণ করা হলে সেটা দুই বছরও টিকবে না- এমনটা হতে পারে না বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। জনগণের করের টাকায় সেতু তৈরি করা হবে, দু-এক বছর যেতে না যেতেই সেটা ভাঙবে। আর ভাঙলে আবার মেরামত করতে হবে। এই ভাঙাগড়ার অপসংস্কৃতি কি চলতেই থাকবে- এটা একটা প্রশ্ন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টেকসই সেতু নির্মাণে বাংলাদেশের নিজস্ব কোনো ‘মানদন্ড’ নেই। বিদেশি স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করে এ দেশে সেতু নির্মাণ করা হয়ে থাকে। সেতু টেকসই না হওয়ার এটা একটা কারণ। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এখানে স্বাভাবিকভাবেই অনেক সেতু নির্মাণ করা হয়েছে বা হবে। দেশে নিজস্ব ‘ব্রিজ ডিজাইন স্ট্যান্ডার্ড’ থাকা জরুরি। দেশের বাতাস, তাপমাত্রা, আদ্রতাসহ পরিবেশের অন্যান্য উপাদানের কথা মাথায় রেখে নিজস্ব স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করতে হবে।
সাঙ্গু নদীর ঝুলন্ত সেতুটিকে ঘিরে স্থানীয় মানুষের জীবন-জীবিকার বিষয়টি যেমন জড়িত, তেমনি এটি দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছেও আকর্ষণীয়। পর্যটকরা এটি দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন। পর্যটন খাত এতে লাভবান হয়। এসব বিষয় মাথায় রেখে কর্তৃপক্ষ টেকসইভাবে সেতুটি সংস্কারের ব্যবস্থা করবে এটি আমরা আশা করব।
ঝুলন্ত সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনো পর্যায়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। সেতু নির্মাণের পর এর রক্ষাণাবেক্ষণ ঠিকঠাকমতো করা হয়েছে কিনা সেটাও জানতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো গলদ থাকলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
রোববার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বান্দরবানের থানচি উপজেলার সাঙ্গু নদীতে দু’বছর আগে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। এতে নদীর দুই পাড়ের হাজারো মানুষের মধ্যে মেলবন্ধন সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু বছর দুয়েক যেতে না যেতেই সেতুটি ভেঙে গেছে।
২০১৯-২১ অর্থবছ?রে ঝুলন্ত সেতুটি নির্মিত হয়। এটি বাংলাদে?শের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঝুলন্ত সেতু হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করে। সেতুটি সেখানকার পাঁচ হাজার মানুষের নির্বিঘ্নে যাতায়াতের মাধ্যম তৈরি করেছিল। শুধু স্থানীয় বাসিন্দারাই যে সেতুর সুবিধা ভোগ করছিলেন তা নয়। দেশ-বিদেশের পর্যটক?দের কাছেও সেটা ছিল আকর্ষণীয়।
একটা সেতু বানানোর পর দুই বছরও টিকলো না, এর কারণটা কী। টেকসইভাবে সেতু নির্মাণ করা হলে সেটা দুই বছরও টিকবে না- এমনটা হতে পারে না বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। জনগণের করের টাকায় সেতু তৈরি করা হবে, দু-এক বছর যেতে না যেতেই সেটা ভাঙবে। আর ভাঙলে আবার মেরামত করতে হবে। এই ভাঙাগড়ার অপসংস্কৃতি কি চলতেই থাকবে- এটা একটা প্রশ্ন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টেকসই সেতু নির্মাণে বাংলাদেশের নিজস্ব কোনো ‘মানদন্ড’ নেই। বিদেশি স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করে এ দেশে সেতু নির্মাণ করা হয়ে থাকে। সেতু টেকসই না হওয়ার এটা একটা কারণ। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এখানে স্বাভাবিকভাবেই অনেক সেতু নির্মাণ করা হয়েছে বা হবে। দেশে নিজস্ব ‘ব্রিজ ডিজাইন স্ট্যান্ডার্ড’ থাকা জরুরি। দেশের বাতাস, তাপমাত্রা, আদ্রতাসহ পরিবেশের অন্যান্য উপাদানের কথা মাথায় রেখে নিজস্ব স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করতে হবে।
সাঙ্গু নদীর ঝুলন্ত সেতুটিকে ঘিরে স্থানীয় মানুষের জীবন-জীবিকার বিষয়টি যেমন জড়িত, তেমনি এটি দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছেও আকর্ষণীয়। পর্যটকরা এটি দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন। পর্যটন খাত এতে লাভবান হয়। এসব বিষয় মাথায় রেখে কর্তৃপক্ষ টেকসইভাবে সেতুটি সংস্কারের ব্যবস্থা করবে এটি আমরা আশা করব।
ঝুলন্ত সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনো পর্যায়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। সেতু নির্মাণের পর এর রক্ষাণাবেক্ষণ ঠিকঠাকমতো করা হয়েছে কিনা সেটাও জানতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো গলদ থাকলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।