alt

সম্পাদকীয়

ইবিতে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ আমলে নিন

: শুক্রবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এক শিক্ষার্থী ওরিয়েন্টেশনের দিন র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়েছে। র‌্যাগিংয়ের শিকার শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে বাড়ি চলে গেছে। উক্ত শিক্ষার্থীর অভিভাবক এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রারকে প্রাথমিকভাবে ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়েছেন। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

অনেক শিক্ষার্থীকেই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরুতে র‌্যাগিং নামক অপসংস্কৃতির শিকার হতে হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে ইবির দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গেস্ট রুমে র‌্যাগিংয়ের নামে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে নির্যাতন করা হয়েছিল। সেখানকার ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী এর সঙ্গে জড়িত ছিল। সেই ঘটনায় দেশে অনেক সমালোচনা হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে- আবারো বিশ্ববিদ্যালয়টিতে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে র‌্যাগিংয়ের অনেক ঘটনাই ঘটে। এর মধ্যে খুব কম ঘটনাই প্রকাশ পায়। যেসব নবীন শিক্ষার্থী এ অপসংস্কৃতির শিকার হন তাদের অনেকেই নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ করে না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে র‌্যাগিংয়ের অপচর্চা হয় কী করে সেটা একটা প্রশ্ন। কখনো যদি র‌্যাগিংয়ের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ পায় তখন কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। কখনো কখনো ব্যবস্থাও নেয়া হয়, তবে র‌্যাগিং অপসংস্কৃতি বন্ধ হয় না।

র‌্যাগিং ?একজন শিক্ষার্থীর জীবনকে নানানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এর শিকার শিক্ষার্থীকে পরবর্তী জীবনে মানসিক সমস্যা মোকাবিলা করতে হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। তাই এটা বন্ধ করা জরুরি।

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র‌্যাগিংবিরোধী কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) র‌্যাগিং বন্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে। এ নির্দেশ বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাস্তবে কী ব্যবস্থা নিয়েছে সেটা জানা দরকার।

আমরা চাই, র‌্যাগিং অপসংস্কৃতির অবসান হোক। ইবিতে এক শিক্ষার্থীকে র‌্যাগিংয়ের যে অভিযোগ উঠেছে তা আমলে নিতে হবে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। র‌্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি র‌্যাগিংয়ের নামে শিক্ষার্থী নির্যাতনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় তাহলে এ অপসংস্কৃতির অবসান হতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াচ্ছে- এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

ইবিতে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ আমলে নিন

শুক্রবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এক শিক্ষার্থী ওরিয়েন্টেশনের দিন র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়েছে। র‌্যাগিংয়ের শিকার শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে বাড়ি চলে গেছে। উক্ত শিক্ষার্থীর অভিভাবক এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রারকে প্রাথমিকভাবে ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়েছেন। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

অনেক শিক্ষার্থীকেই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরুতে র‌্যাগিং নামক অপসংস্কৃতির শিকার হতে হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে ইবির দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গেস্ট রুমে র‌্যাগিংয়ের নামে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে নির্যাতন করা হয়েছিল। সেখানকার ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী এর সঙ্গে জড়িত ছিল। সেই ঘটনায় দেশে অনেক সমালোচনা হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে- আবারো বিশ্ববিদ্যালয়টিতে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে র‌্যাগিংয়ের অনেক ঘটনাই ঘটে। এর মধ্যে খুব কম ঘটনাই প্রকাশ পায়। যেসব নবীন শিক্ষার্থী এ অপসংস্কৃতির শিকার হন তাদের অনেকেই নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ করে না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে র‌্যাগিংয়ের অপচর্চা হয় কী করে সেটা একটা প্রশ্ন। কখনো যদি র‌্যাগিংয়ের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ পায় তখন কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। কখনো কখনো ব্যবস্থাও নেয়া হয়, তবে র‌্যাগিং অপসংস্কৃতি বন্ধ হয় না।

র‌্যাগিং ?একজন শিক্ষার্থীর জীবনকে নানানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এর শিকার শিক্ষার্থীকে পরবর্তী জীবনে মানসিক সমস্যা মোকাবিলা করতে হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। তাই এটা বন্ধ করা জরুরি।

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র‌্যাগিংবিরোধী কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) র‌্যাগিং বন্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে। এ নির্দেশ বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাস্তবে কী ব্যবস্থা নিয়েছে সেটা জানা দরকার।

আমরা চাই, র‌্যাগিং অপসংস্কৃতির অবসান হোক। ইবিতে এক শিক্ষার্থীকে র‌্যাগিংয়ের যে অভিযোগ উঠেছে তা আমলে নিতে হবে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। র‌্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি র‌্যাগিংয়ের নামে শিক্ষার্থী নির্যাতনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় তাহলে এ অপসংস্কৃতির অবসান হতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াচ্ছে- এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

back to top