alt

opinion » editorial

মরক্কোতে ভয়াবহ ভূমিকম্প

: রোববার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোতে ভূমিকম্পে মারা গেছেন দুই হাজারেরও বেশি মানুষ, আহত হয়েছেন অন্তত আরও দুই হাজার। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত শুক্রবার রাতে দেশটির মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এর প্রভাবে দেশটির চতুর্থ বৃহৎ নগরী মারাকেশসহ বিস্তীর্ণ জনপদ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় মরক্কোবাসীর প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।

ভূমিকম্প এমন এক প্রাকৃতি দুযোগ যার পূর্বাভাস মেলে না। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ চোখের পলকেই বড় ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি করতে পারে। যেমনটা ঘটেছে মরক্কোতে। অতীতে এর চেয়েও বড় ভূমিকম্প পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলে আঘাত হেনেছে।

আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও। মাঝে মাঝে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। গত শনিবার বিকেলে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয় সিলেটে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৫। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ভারতের আসাম রাজ্যের শিলচর থেকে ১৯ কিলোমিটার দক্ষিণে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের অবস্থান হচ্ছে ইন্ডিয়ান প্লেট, ইউরেশিয়ান প্লেট এবং বার্মিজ প্লেটের সংযোগস্থলে। তাদের মতে, বাংলাদেশে ‘বিপজ্জনক ভূকম্পনের’ প্রধান উৎস দুটি। এর একটি হচ্ছে ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাউকি ‘ফল্ট’, আরেকটি হচ্ছে টেকনাফ-পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চল সাবডাকশন জোন। ডাউকি ফল্টের অবস্থান সিলেট থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরে। মৃদু মাত্রায় ভূমিকম্প অনুভূত হলে ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয় না। তবে কখনো বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে দেশের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে।

ভূমিকম্প এমন এক প্রাকৃতিক দুযোগ যাকে প্রতিরোধ করা যায় না। তবে ভূমিকম্পসহনশীল ভবন নির্মাণ করতে পারলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটা কমানো সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ করার ওপর জোর দেন। দেশের যেসব এলাকা ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে আছে সেসব এলাকায় ভবন নির্মাণে কঠোর নজরদারি চালাতে হবে। রাজধানীসহ অন্যান্য নগরীতে ঝুঁকিপূর্ণ অনেক ভবন গড়ে তোলা হয়েছে। এসব নগরীতে ভূমিকম্পজনিত বিপর্যয় ঘটলে সেটা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। আর উদ্ধার তৎপরতা চালানোও কঠিন হবে। এসব বিষয় মাথায় রেখে সংশ্লিষ্টদের ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণ করতে হবে।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

মরক্কোতে ভয়াবহ ভূমিকম্প

রোববার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোতে ভূমিকম্পে মারা গেছেন দুই হাজারেরও বেশি মানুষ, আহত হয়েছেন অন্তত আরও দুই হাজার। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত শুক্রবার রাতে দেশটির মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এর প্রভাবে দেশটির চতুর্থ বৃহৎ নগরী মারাকেশসহ বিস্তীর্ণ জনপদ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় মরক্কোবাসীর প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।

ভূমিকম্প এমন এক প্রাকৃতি দুযোগ যার পূর্বাভাস মেলে না। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ চোখের পলকেই বড় ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি করতে পারে। যেমনটা ঘটেছে মরক্কোতে। অতীতে এর চেয়েও বড় ভূমিকম্প পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলে আঘাত হেনেছে।

আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও। মাঝে মাঝে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। গত শনিবার বিকেলে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয় সিলেটে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৫। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ভারতের আসাম রাজ্যের শিলচর থেকে ১৯ কিলোমিটার দক্ষিণে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের অবস্থান হচ্ছে ইন্ডিয়ান প্লেট, ইউরেশিয়ান প্লেট এবং বার্মিজ প্লেটের সংযোগস্থলে। তাদের মতে, বাংলাদেশে ‘বিপজ্জনক ভূকম্পনের’ প্রধান উৎস দুটি। এর একটি হচ্ছে ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাউকি ‘ফল্ট’, আরেকটি হচ্ছে টেকনাফ-পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চল সাবডাকশন জোন। ডাউকি ফল্টের অবস্থান সিলেট থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরে। মৃদু মাত্রায় ভূমিকম্প অনুভূত হলে ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয় না। তবে কখনো বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে দেশের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে।

ভূমিকম্প এমন এক প্রাকৃতিক দুযোগ যাকে প্রতিরোধ করা যায় না। তবে ভূমিকম্পসহনশীল ভবন নির্মাণ করতে পারলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটা কমানো সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ করার ওপর জোর দেন। দেশের যেসব এলাকা ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে আছে সেসব এলাকায় ভবন নির্মাণে কঠোর নজরদারি চালাতে হবে। রাজধানীসহ অন্যান্য নগরীতে ঝুঁকিপূর্ণ অনেক ভবন গড়ে তোলা হয়েছে। এসব নগরীতে ভূমিকম্পজনিত বিপর্যয় ঘটলে সেটা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। আর উদ্ধার তৎপরতা চালানোও কঠিন হবে। এসব বিষয় মাথায় রেখে সংশ্লিষ্টদের ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণ করতে হবে।

back to top