alt

সম্পাদকীয়

সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

: শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশের বাস্তবতা হচ্ছে, সড়ক নির্মাণের পর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তা যাতায়াত-যোগাযোগের অযোগ্য হয়ে পড়ে। সংস্কার-পুনঃসংস্কার করা হয়, কিন্তু টেকসই হয় না। নির্মাণ আর সংস্কারের খেলা শেষ হয় না। জনগণের ভোগান্তিও দূর হয় না।

সড়কে চলাচলের দুর্ভোগ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রায়ই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ময়মনসিংহের গৌরীপুর-শ্যামগঞ্জ সড়কটি মানুষের যাতায়াত-যোগাযোগে ভোগান্তি তৈরি করছে। সড়কের অনেক স্থানে বিটুমিন উঠে গেছে, তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, বছর তিনেক আগে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে উক্ত সড়ক সংস্কার করা হয়েছিল। সংস্কারের পর সেটা টেকসই হয়নি। অভিযোগ উঠেছে যে, সড়ক সংস্কারের অনেক নিয়মই মানা হয়নি। ব্যবহার করা হয়নি মানসম্মত উপকরণ। তার ওপর উক্ত সড়কে চলাচল করেছে ভারি যানবাহন। যে কারণে সড়কটি টেকসই হয়নি।

নির্মাণ বা সংস্কার করার পর সড়কগুলো টেকসই হয় না কেন- এটা পুরনো প্রশ্ন। অভিযোগ রয়েছে, সড়ক খাত অনিয়ম-দুর্নীতির একটি বড় ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। নির্মাণের পর দেশের কোনো সড়ক ভালোয় ভালোয় মেয়াদ পূর্ণ করতে পেরেছে কিনা সেটা জানা দরকার। এমনও তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে যে, সড়ক নির্মাণের পর বছর না ঘুরতেই ভেঙে যায়। তখন সেই সড়ক সংস্কার বা পুনর্নিমাণের জন্য আবার কাজ করা হয়। এতে করে রাষ্ট্রের টাকার অপচয় হয়।

সড়ক তৈরি করার সময় নিয়মকানুন যথাযথভাবে মানতে হবে। মানসম্মত নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে সড়ক নির্মাণ করা জরুরি। তাহলে সেটা টেকসই হবে। সড়ক নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অবসান ঘটানো জরুরি।

সড়কের উপর দিয়ে কোন ধরনের এবং কত যানবাহন চলবে, সেসব যানবাহন কী পরিমাণ ভার বহন করতে হবে- সেটার নিয়ম রয়েছে। অনেক সড়কই ভারী যানবাহন চলাচলের উপযোগী নয়। তারপরও দেখা যায় সেসব সড়ক দিয়ে ভারী যানবহন চলছে। ফলে যা হবার তা-ই হয়। সড়ক দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। সড়ক টেকসই করতে হলে ভারি যানবাহন চলাচলের নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

শ্রমিক বিক্ষোভ : আলোচনায় সমাধান খুঁজুন

ডেঙ্গু নিয়ে বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা

গুমের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত ও বিচার করা জরুরি

লুটপাট-অগ্নিকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

সচিবালয়ে সংঘাত-সংঘর্ষ : সুষ্ঠু তদন্ত হোক

ভয়াবহ বন্যা : বিভ্রান্তি নয়, মানুষকে প্রকৃত তথ্য জানান

পাট জাগ দিতে ‘রিবন রেটিং’ পদ্ধতির প্রসার বাড়াতে হবে

মানুষ হিসেবে অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান

দখল-লুটপাটের অপসংস্কৃতি

বিচার বিভাগে রদবদল

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে কিছু প্রশ্ন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: শুভকামনা, দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনুন

মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিন, প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরান

এই অরাজকতা চলতে দেওয়া যায় না, সবাইকে সংযত হতে হবে

অরাজকতা বন্ধ হোক, শান্তি ফিরুক

সিংগাইরে নূরালীগঙ্গা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

কৃষক কেন ন্যায্যমূল্য পান না

শিশুটির বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন কি অপূর্ণ রয়ে যাবে

ধনাগোদা নদী সংস্কার করুন

স্কুলের খেলার মাঠ রক্ষা করুন

চাটখিলের ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ হালনাগাদ করুন

মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন, যারা ভালো করেনি তাদের পাশে থাকতে হবে

মিঠাপুকুরে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা বন্ধের উদ্যোগ নিন

সড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করুন

কালীহাতির খরশীলা সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারে আর কত অপেক্ষা

গতিসীমা মেনে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে

সাটুরিয়ার সমিতির গ্রাহকদের টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিন

ইভটিজারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

ধোবাউড়ায় ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিন

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

ডুমুরিয়ার বেড়িবাঁধের দখল হওয়া জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

পুড়ছে সুন্দরবন

কাজ না করে প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ সুরাহা করুন

সরকারি খালে বাঁধ কেন

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

tab

সম্পাদকীয়

সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশের বাস্তবতা হচ্ছে, সড়ক নির্মাণের পর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তা যাতায়াত-যোগাযোগের অযোগ্য হয়ে পড়ে। সংস্কার-পুনঃসংস্কার করা হয়, কিন্তু টেকসই হয় না। নির্মাণ আর সংস্কারের খেলা শেষ হয় না। জনগণের ভোগান্তিও দূর হয় না।

সড়কে চলাচলের দুর্ভোগ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রায়ই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ময়মনসিংহের গৌরীপুর-শ্যামগঞ্জ সড়কটি মানুষের যাতায়াত-যোগাযোগে ভোগান্তি তৈরি করছে। সড়কের অনেক স্থানে বিটুমিন উঠে গেছে, তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, বছর তিনেক আগে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে উক্ত সড়ক সংস্কার করা হয়েছিল। সংস্কারের পর সেটা টেকসই হয়নি। অভিযোগ উঠেছে যে, সড়ক সংস্কারের অনেক নিয়মই মানা হয়নি। ব্যবহার করা হয়নি মানসম্মত উপকরণ। তার ওপর উক্ত সড়কে চলাচল করেছে ভারি যানবাহন। যে কারণে সড়কটি টেকসই হয়নি।

নির্মাণ বা সংস্কার করার পর সড়কগুলো টেকসই হয় না কেন- এটা পুরনো প্রশ্ন। অভিযোগ রয়েছে, সড়ক খাত অনিয়ম-দুর্নীতির একটি বড় ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। নির্মাণের পর দেশের কোনো সড়ক ভালোয় ভালোয় মেয়াদ পূর্ণ করতে পেরেছে কিনা সেটা জানা দরকার। এমনও তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে যে, সড়ক নির্মাণের পর বছর না ঘুরতেই ভেঙে যায়। তখন সেই সড়ক সংস্কার বা পুনর্নিমাণের জন্য আবার কাজ করা হয়। এতে করে রাষ্ট্রের টাকার অপচয় হয়।

সড়ক তৈরি করার সময় নিয়মকানুন যথাযথভাবে মানতে হবে। মানসম্মত নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে সড়ক নির্মাণ করা জরুরি। তাহলে সেটা টেকসই হবে। সড়ক নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অবসান ঘটানো জরুরি।

সড়কের উপর দিয়ে কোন ধরনের এবং কত যানবাহন চলবে, সেসব যানবাহন কী পরিমাণ ভার বহন করতে হবে- সেটার নিয়ম রয়েছে। অনেক সড়কই ভারী যানবাহন চলাচলের উপযোগী নয়। তারপরও দেখা যায় সেসব সড়ক দিয়ে ভারী যানবহন চলছে। ফলে যা হবার তা-ই হয়। সড়ক দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। সড়ক টেকসই করতে হলে ভারি যানবাহন চলাচলের নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

back to top