alt

সম্পাদকীয়

কৃষিযন্ত্র বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

: শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সরকার কৃষকদের জন্য ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি দেয়ার ব্যবস্থা করলেও সে সুবিধা কৃষকরা পাচ্ছেন না। একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তাদের ঘুষ না দিলে কৃষকের কপালে মিলছে না এসব যন্ত্রপাতি। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে জানিয়েছে এই তথ্য।

আইএমইডি ৩২টি জেলার ১ হাজার ৮২৪ জন কৃষকের মতামত নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। জরিপে অংশ নেয়া ৭৪ শতাংশ কৃষক অভিযোগ করেছেন সরকারের দেয়া ভর্তুকির তালিকায় নাম লেখাতে তাদের নানা অসুবিধায় পড়তে হয়েছে। ৪৩ শতাংশ কৃষক বলেছেন অর্থ দেয়া হলেও যন্ত্রপাতি বুঝিয়ে দিতে কর্মকর্তারা নানা টালবাহানা করেছেন। আধুনিক যন্ত্রপাতি পাওয়ার রেটে তারা টাকা পরিশোধ করলেও দেয়া হয়েছে নিম্নমানের সরঞ্জাম। এমন দাবি করেছেন ৬ শতাংশ কৃষক।

কৃষকের শ্রমিক সংকট দূর করতে সরকার পাঁচ বছর মেয়াদি সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ২০২০ থেকে ২০২৫ সাল মেয়াদে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে। ভর্তুকি মূল্যে সরকার কৃষকদের ১২ ধরনের ৫১ হাজার ৩০০টি কৃষিযন্ত্র দিচ্ছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২০ কোটি টাকা।

কৃষকরা যেন সহজে এবং সুলভে কৃষিযন্ত্র পান, এজন্য সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। সমস্যা হচ্ছে, ভর্তুকি মূল্যের কৃষি যন্ত্রপাতি দিতে অসাধু কর্মকর্তারা কৃষকের কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিচ্ছেন। এদের সঙ্গে জড়িত রয়েছে যন্ত্র সরবরাহকারী কিছু কোম্পানি ও স্থানীয় দালাল। তারা পকেট ভারি করতে যন্ত্রের দাম বাড়িয়ে কৃষকের কাছ থেকে বাড়তি টাকা আদায় করছেন। বহুসংখ্যক ভুয়া উপকারভোগী কৃষক বানিয়ে তারা পুরো যন্ত্রের টাকা আত্মসাৎ করছেন। মানহীন কৃষিযন্ত্র নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন কৃষকরা।

সরঞ্জাম পেতে যদি কৃষককে অতিরিক্ত টাকাই গুনতে হয়, তাহলে সরকার কৃষকদের যে সুবিধা দিতে চাচ্ছে, সেই উদ্দেশ্যটাই তো পূরণ হবে না। আইএমইডির তথ্যে অনিয়ম ও দুর্নীতির যে চিত্র প্রকাশ পেয়েছে সেটা সংশ্লিষ্টরা আমলে নেবে, এটা আমরা আশা করব। অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে যে বা যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

কৃষিযন্ত্র বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সরকার কৃষকদের জন্য ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি দেয়ার ব্যবস্থা করলেও সে সুবিধা কৃষকরা পাচ্ছেন না। একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তাদের ঘুষ না দিলে কৃষকের কপালে মিলছে না এসব যন্ত্রপাতি। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে জানিয়েছে এই তথ্য।

আইএমইডি ৩২টি জেলার ১ হাজার ৮২৪ জন কৃষকের মতামত নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। জরিপে অংশ নেয়া ৭৪ শতাংশ কৃষক অভিযোগ করেছেন সরকারের দেয়া ভর্তুকির তালিকায় নাম লেখাতে তাদের নানা অসুবিধায় পড়তে হয়েছে। ৪৩ শতাংশ কৃষক বলেছেন অর্থ দেয়া হলেও যন্ত্রপাতি বুঝিয়ে দিতে কর্মকর্তারা নানা টালবাহানা করেছেন। আধুনিক যন্ত্রপাতি পাওয়ার রেটে তারা টাকা পরিশোধ করলেও দেয়া হয়েছে নিম্নমানের সরঞ্জাম। এমন দাবি করেছেন ৬ শতাংশ কৃষক।

কৃষকের শ্রমিক সংকট দূর করতে সরকার পাঁচ বছর মেয়াদি সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ২০২০ থেকে ২০২৫ সাল মেয়াদে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে। ভর্তুকি মূল্যে সরকার কৃষকদের ১২ ধরনের ৫১ হাজার ৩০০টি কৃষিযন্ত্র দিচ্ছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২০ কোটি টাকা।

কৃষকরা যেন সহজে এবং সুলভে কৃষিযন্ত্র পান, এজন্য সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। সমস্যা হচ্ছে, ভর্তুকি মূল্যের কৃষি যন্ত্রপাতি দিতে অসাধু কর্মকর্তারা কৃষকের কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিচ্ছেন। এদের সঙ্গে জড়িত রয়েছে যন্ত্র সরবরাহকারী কিছু কোম্পানি ও স্থানীয় দালাল। তারা পকেট ভারি করতে যন্ত্রের দাম বাড়িয়ে কৃষকের কাছ থেকে বাড়তি টাকা আদায় করছেন। বহুসংখ্যক ভুয়া উপকারভোগী কৃষক বানিয়ে তারা পুরো যন্ত্রের টাকা আত্মসাৎ করছেন। মানহীন কৃষিযন্ত্র নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন কৃষকরা।

সরঞ্জাম পেতে যদি কৃষককে অতিরিক্ত টাকাই গুনতে হয়, তাহলে সরকার কৃষকদের যে সুবিধা দিতে চাচ্ছে, সেই উদ্দেশ্যটাই তো পূরণ হবে না। আইএমইডির তথ্যে অনিয়ম ও দুর্নীতির যে চিত্র প্রকাশ পেয়েছে সেটা সংশ্লিষ্টরা আমলে নেবে, এটা আমরা আশা করব। অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে যে বা যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top