মৌসুমি বায়ু ও স্থল লঘুচাপের প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ৬ ঘণ্টায় ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ১১৩ মিলিমিটার। চলতি বছরের মধ্যে অল্প সময়ে রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টির রেকর্ড এটি। নগরবাসীকে সেই রাতে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
বৃষ্টিতে রাজধানীর অনেক সড়ক ডুবে যায়। ফলে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। বৃষ্টির পানিতে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে পড়লে কোথাও কোথাও দুর্ঘটনাও ঘটে। মিরপুরে জলাবদ্ধ সড়কে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন চারজন।
প্রশ্ন হচ্ছে, রাজধানীতে বৃষ্টি কেন এত ভোগান্তি বয়ে আনল। রেকর্ড বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশনে সময় লাগতে পারে, কোনো স্থান সাময়িকভাবে জলাবদ্ধ হতে পারে। বিশ্বের অনেক উন্নত নগরীকেও জলাবদ্ধ হয়ে পড়তে দেখা যায়। প্রশ্ন হচ্ছে, সেসব নগরী আর ঢাকার অবস্থা কী এক। কোনো দেশের এমন কোনো রাজধানীর কি সন্ধান মিলবে যেখানে ২৪ ঘণ্টাতেও বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হয় না।
অতিবৃষ্টির মতো দুর্যোগ থেকে নাগরিকদের তাৎক্ষণিক সহায়তা দিতে সেসব নগরীতে কী ব্যবস্থা নেয়া হয় আর ঢাকায় কী পদক্ষেপ নেয়া হয় সেটা জানা দরকার। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ অভিযোগ করে বলেছেন, সিটি করপোরেশনের কর্তাব্যক্তিরা মুখে বড় বড় কথা বললেও জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। রাজধানীতে পানি সরানোর ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
নগর কর্তৃৃপক্ষ দাবি করে, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা উন্নত করাই যথেষ্ট নয়।
রাজধানী ও এর আশপাশের জলাধারের সঙ্গে নিষ্কাশন ব্যবস্থার একটু সুষ্ঠু নেটওয়ার্ক থাকা জরুরি। কিন্তু জলাশয়গুলো রয়েছে বেহাল অবস্থায়। সুপরিকল্পিত একটি রাজধানীতে যে পরিমাণ জলাশয় থাকা জরুরি সেটা ঢাকাতে নেই বলে অভিযোগ রয়েছে। ড্যাপ-এ জলাশয় রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। নানান কারণে সেটা বাস্তবায়ন করা হয়নি বা যায়নি। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়ার কুফল ভোগ করতে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে। অল্প বৃষ্টিতেই রাজধানীবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আর বৃষ্টির রেকর্ড হলে নাগরিকদের দুর্ভোগেরও রেকর্ড হয়।
রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল ও নর্দমা সংস্কারের কাজে সিটি করপোরেশনকে বেশি মনোযোগী হতে হবে। খাল বা নালা সংস্কার করতে হবে সুপরিকল্পিতভাবে। সব জলাশয় রক্ষা করতে হবে।
শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
মৌসুমি বায়ু ও স্থল লঘুচাপের প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ৬ ঘণ্টায় ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ১১৩ মিলিমিটার। চলতি বছরের মধ্যে অল্প সময়ে রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টির রেকর্ড এটি। নগরবাসীকে সেই রাতে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
বৃষ্টিতে রাজধানীর অনেক সড়ক ডুবে যায়। ফলে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। বৃষ্টির পানিতে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে পড়লে কোথাও কোথাও দুর্ঘটনাও ঘটে। মিরপুরে জলাবদ্ধ সড়কে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন চারজন।
প্রশ্ন হচ্ছে, রাজধানীতে বৃষ্টি কেন এত ভোগান্তি বয়ে আনল। রেকর্ড বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশনে সময় লাগতে পারে, কোনো স্থান সাময়িকভাবে জলাবদ্ধ হতে পারে। বিশ্বের অনেক উন্নত নগরীকেও জলাবদ্ধ হয়ে পড়তে দেখা যায়। প্রশ্ন হচ্ছে, সেসব নগরী আর ঢাকার অবস্থা কী এক। কোনো দেশের এমন কোনো রাজধানীর কি সন্ধান মিলবে যেখানে ২৪ ঘণ্টাতেও বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হয় না।
অতিবৃষ্টির মতো দুর্যোগ থেকে নাগরিকদের তাৎক্ষণিক সহায়তা দিতে সেসব নগরীতে কী ব্যবস্থা নেয়া হয় আর ঢাকায় কী পদক্ষেপ নেয়া হয় সেটা জানা দরকার। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ অভিযোগ করে বলেছেন, সিটি করপোরেশনের কর্তাব্যক্তিরা মুখে বড় বড় কথা বললেও জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। রাজধানীতে পানি সরানোর ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
নগর কর্তৃৃপক্ষ দাবি করে, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা উন্নত করাই যথেষ্ট নয়।
রাজধানী ও এর আশপাশের জলাধারের সঙ্গে নিষ্কাশন ব্যবস্থার একটু সুষ্ঠু নেটওয়ার্ক থাকা জরুরি। কিন্তু জলাশয়গুলো রয়েছে বেহাল অবস্থায়। সুপরিকল্পিত একটি রাজধানীতে যে পরিমাণ জলাশয় থাকা জরুরি সেটা ঢাকাতে নেই বলে অভিযোগ রয়েছে। ড্যাপ-এ জলাশয় রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। নানান কারণে সেটা বাস্তবায়ন করা হয়নি বা যায়নি। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়ার কুফল ভোগ করতে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে। অল্প বৃষ্টিতেই রাজধানীবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আর বৃষ্টির রেকর্ড হলে নাগরিকদের দুর্ভোগেরও রেকর্ড হয়।
রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল ও নর্দমা সংস্কারের কাজে সিটি করপোরেশনকে বেশি মনোযোগী হতে হবে। খাল বা নালা সংস্কার করতে হবে সুপরিকল্পিতভাবে। সব জলাশয় রক্ষা করতে হবে।