alt

সম্পাদকীয়

রাজধানীতে বৃষ্টি কেন এত ভোগান্তি বয়ে আনল

: শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মৌসুমি বায়ু ও স্থল লঘুচাপের প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ৬ ঘণ্টায় ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ১১৩ মিলিমিটার। চলতি বছরের মধ্যে অল্প সময়ে রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টির রেকর্ড এটি। নগরবাসীকে সেই রাতে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

বৃষ্টিতে রাজধানীর অনেক সড়ক ডুবে যায়। ফলে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। বৃষ্টির পানিতে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে পড়লে কোথাও কোথাও দুর্ঘটনাও ঘটে। মিরপুরে জলাবদ্ধ সড়কে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন চারজন।

প্রশ্ন হচ্ছে, রাজধানীতে বৃষ্টি কেন এত ভোগান্তি বয়ে আনল। রেকর্ড বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশনে সময় লাগতে পারে, কোনো স্থান সাময়িকভাবে জলাবদ্ধ হতে পারে। বিশ্বের অনেক উন্নত নগরীকেও জলাবদ্ধ হয়ে পড়তে দেখা যায়। প্রশ্ন হচ্ছে, সেসব নগরী আর ঢাকার অবস্থা কী এক। কোনো দেশের এমন কোনো রাজধানীর কি সন্ধান মিলবে যেখানে ২৪ ঘণ্টাতেও বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হয় না।

অতিবৃষ্টির মতো দুর্যোগ থেকে নাগরিকদের তাৎক্ষণিক সহায়তা দিতে সেসব নগরীতে কী ব্যবস্থা নেয়া হয় আর ঢাকায় কী পদক্ষেপ নেয়া হয় সেটা জানা দরকার। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ অভিযোগ করে বলেছেন, সিটি করপোরেশনের কর্তাব্যক্তিরা মুখে বড় বড় কথা বললেও জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। রাজধানীতে পানি সরানোর ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

নগর কর্তৃৃপক্ষ দাবি করে, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা উন্নত করাই যথেষ্ট নয়।

রাজধানী ও এর আশপাশের জলাধারের সঙ্গে নিষ্কাশন ব্যবস্থার একটু সুষ্ঠু নেটওয়ার্ক থাকা জরুরি। কিন্তু জলাশয়গুলো রয়েছে বেহাল অবস্থায়। সুপরিকল্পিত একটি রাজধানীতে যে পরিমাণ জলাশয় থাকা জরুরি সেটা ঢাকাতে নেই বলে অভিযোগ রয়েছে। ড্যাপ-এ জলাশয় রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। নানান কারণে সেটা বাস্তবায়ন করা হয়নি বা যায়নি। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়ার কুফল ভোগ করতে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে। অল্প বৃষ্টিতেই রাজধানীবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আর বৃষ্টির রেকর্ড হলে নাগরিকদের দুর্ভোগেরও রেকর্ড হয়।

রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল ও নর্দমা সংস্কারের কাজে সিটি করপোরেশনকে বেশি মনোযোগী হতে হবে। খাল বা নালা সংস্কার করতে হবে সুপরিকল্পিতভাবে। সব জলাশয় রক্ষা করতে হবে।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

রাজধানীতে বৃষ্টি কেন এত ভোগান্তি বয়ে আনল

শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মৌসুমি বায়ু ও স্থল লঘুচাপের প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ৬ ঘণ্টায় ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ১১৩ মিলিমিটার। চলতি বছরের মধ্যে অল্প সময়ে রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টির রেকর্ড এটি। নগরবাসীকে সেই রাতে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

বৃষ্টিতে রাজধানীর অনেক সড়ক ডুবে যায়। ফলে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। বৃষ্টির পানিতে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে পড়লে কোথাও কোথাও দুর্ঘটনাও ঘটে। মিরপুরে জলাবদ্ধ সড়কে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন চারজন।

প্রশ্ন হচ্ছে, রাজধানীতে বৃষ্টি কেন এত ভোগান্তি বয়ে আনল। রেকর্ড বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশনে সময় লাগতে পারে, কোনো স্থান সাময়িকভাবে জলাবদ্ধ হতে পারে। বিশ্বের অনেক উন্নত নগরীকেও জলাবদ্ধ হয়ে পড়তে দেখা যায়। প্রশ্ন হচ্ছে, সেসব নগরী আর ঢাকার অবস্থা কী এক। কোনো দেশের এমন কোনো রাজধানীর কি সন্ধান মিলবে যেখানে ২৪ ঘণ্টাতেও বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হয় না।

অতিবৃষ্টির মতো দুর্যোগ থেকে নাগরিকদের তাৎক্ষণিক সহায়তা দিতে সেসব নগরীতে কী ব্যবস্থা নেয়া হয় আর ঢাকায় কী পদক্ষেপ নেয়া হয় সেটা জানা দরকার। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ অভিযোগ করে বলেছেন, সিটি করপোরেশনের কর্তাব্যক্তিরা মুখে বড় বড় কথা বললেও জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। রাজধানীতে পানি সরানোর ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

নগর কর্তৃৃপক্ষ দাবি করে, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা উন্নত করাই যথেষ্ট নয়।

রাজধানী ও এর আশপাশের জলাধারের সঙ্গে নিষ্কাশন ব্যবস্থার একটু সুষ্ঠু নেটওয়ার্ক থাকা জরুরি। কিন্তু জলাশয়গুলো রয়েছে বেহাল অবস্থায়। সুপরিকল্পিত একটি রাজধানীতে যে পরিমাণ জলাশয় থাকা জরুরি সেটা ঢাকাতে নেই বলে অভিযোগ রয়েছে। ড্যাপ-এ জলাশয় রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। নানান কারণে সেটা বাস্তবায়ন করা হয়নি বা যায়নি। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়ার কুফল ভোগ করতে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে। অল্প বৃষ্টিতেই রাজধানীবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আর বৃষ্টির রেকর্ড হলে নাগরিকদের দুর্ভোগেরও রেকর্ড হয়।

রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল ও নর্দমা সংস্কারের কাজে সিটি করপোরেশনকে বেশি মনোযোগী হতে হবে। খাল বা নালা সংস্কার করতে হবে সুপরিকল্পিতভাবে। সব জলাশয় রক্ষা করতে হবে।

back to top