alt

সম্পাদকীয়

মানসিক অসুস্থতা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে

: রোববার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মানসিক, শারীরিক ও সামাজিক কার্যকারিতা পরস্পর নির্ভরশীল। শারীরিক বা মানসিক স্বাস্থ্য আলাদা নয়। শারীরিক অসুস্থতার মতো মানসিক অসুস্থতাও একধরনের ব্যাধি বা রোগ।

উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে, দেশের ৯২ ভাগ মানুষই মানসিক রোগের কোন চিকিৎসা নেন না। শিশু, বৃদ্ধ, নারী ও পুরুষ- যে কোন বয়সের মানুষই মানসিক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। দেশের ১৮ দশমিক ৭ ভাগ প্রাপ্ত বয়স্ক এবং ১২ দশমিক ৬ ভাগ শিশু-কিশোর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ সালের এক জরিপ থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে দেশে মানসিক স্বাস্থ্য পেশাজীবীরও ঘাটতি রয়েছে। ‘কমিউনিটিভিত্তিক মানসিক স্বাস্থ্য : বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যবধান কমিয়ে আনার চাবিকাঠি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে যৌথ সম্মেলনের আয়োজন করেছে বাংলাদেশে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি (বিসিপিএস) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ। মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় গত শুক্রবার।

মানসিক রোগ আমাদের দেশের জন্য বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য সমস্যা। প্রত্যেক মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার আছে; কিন্তু নানান কারণে নাগরিকদের এ অধিকার নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। মানসিকভাবে অসুস্থদের মনঃসামাজিক সহায়তা দেয়া, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নেয়া জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, মানসিক রোগের ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় চিকিৎসার প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসার ব্যয়ও বেশি। সিংহভাগ মানুষের পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যয় বহন করা সম্ভব হয় না।

তাই চিকিৎসার ব্যয় কমানোর ক্ষেত্রে সরকারের উদ্যোগ নিতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য স্বতন্ত্র কর্মপরিকল্পনা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে তৃণমূল পর্যন্ত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে হবে। সরকারি হাসপাতালগুলো মানসিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকতে হবে বা বিভাগ খুলতে হবে।

মানসিক অসুস্থতা প্রতিরোধযোগ্য। মানসিক সুস্থতার প্রথম ধাপ হচ্ছে সচেতনতা ও রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা। তাই মানসিক রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। শরীরের মতো মনেরও যে যত্ন নেয়া প্রয়োজন সেটা মানুষকে বোঝাতে হবে। তাদের জানাতে হবে যে, শরীরে রোগ হলে যেমন চিকিৎসা নিতে হয়, মনের রোগ হলেও তেমন চিকিৎসা নিতে হয়।

আঠারোবাড়ী হাওরের সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

পাঠ্যবই বিতরণে বিলম্ব : শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি আঘাত

কৃষিজমিতে কারখানা: ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

ওরস বন্ধ রাখাই কি একমাত্র সমাধান?

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে শিশুদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা করুন

নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে গাফিলতি

ফসল রক্ষা বাঁধে অনিয়ম কাম্য নয়

রিওভাইরাস: আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

শুল্ক-কর এখন বাড়ানো কি জরুরি ছিল

নওগাঁর বর্জ্য পরিশোধনাগার প্রসঙ্গে

সড়ক দুর্ঘটনা : বেপরোয়া গতি আর অব্যবস্থাপনার মাশুল

সংরক্ষিত বনের গাছ রক্ষায় উদাসীনতার অভিযোগ আমলে নিন

চালের দাম বাড়ছে: সংকট আরও বাড়ার আগেই ব্যবস্থা নিন

বারইখালী ও বহরবুনিয়ার মানুষের দুর্ভোগ কবে দূর হবে

রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি : সমাধান কোথায়?

সময়ের সমীকরণে বেকারত্বের নতুন চিত্র

বরুড়ায় খালের দুর্দশা

টেকনাফে অপহরণ: স্থানীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ ও সমাধানের প্রয়োজনীয়তা

স্কুল মাঠে মাটি কাটার অভিযোগ

কিশোর গ্যাং : আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতা ও সামাজিক সংকট

বই বিতরণে স্বচ্ছতা প্রয়োজন

পরিবেশ রক্ষায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করুন

হাসপাতালের লোকবল সংকট দূর করুন

প্রাথমিক শিক্ষা : উন্নত জাতি গঠনে অপরিহার্য ভিত্তি

খেলার মাঠে কারখানা : পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্যের বিপদ

শীতের তীব্রতা : বিপন্ন মানুষ এবং সরকারের কর্তব্য

বনে কেন করাতকল

গণপিটুনির দুঃসহ চিত্র

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক নিরাপত্তা

নববর্ষে মানবিক ও সমতার বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার

পরিযায়ী পাখি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

প্রবাসী কর্মীদের স্বাস্থ্য সমস্যা : সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে

অবৈধ ইটভাটার কারণে পরিবেশ ও কৃষির বিপর্যয়

পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন জরুরি

নরসিংদী-মদনগঞ্জ সড়কে ময়লার ভাগাড়

ভরা মৌসুমে বেড়েছে চালের দাম : বাজারে অস্থিরতা, গ্রাহকরা বিপাকে

tab

সম্পাদকীয়

মানসিক অসুস্থতা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে

রোববার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মানসিক, শারীরিক ও সামাজিক কার্যকারিতা পরস্পর নির্ভরশীল। শারীরিক বা মানসিক স্বাস্থ্য আলাদা নয়। শারীরিক অসুস্থতার মতো মানসিক অসুস্থতাও একধরনের ব্যাধি বা রোগ।

উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে, দেশের ৯২ ভাগ মানুষই মানসিক রোগের কোন চিকিৎসা নেন না। শিশু, বৃদ্ধ, নারী ও পুরুষ- যে কোন বয়সের মানুষই মানসিক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। দেশের ১৮ দশমিক ৭ ভাগ প্রাপ্ত বয়স্ক এবং ১২ দশমিক ৬ ভাগ শিশু-কিশোর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ সালের এক জরিপ থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে দেশে মানসিক স্বাস্থ্য পেশাজীবীরও ঘাটতি রয়েছে। ‘কমিউনিটিভিত্তিক মানসিক স্বাস্থ্য : বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যবধান কমিয়ে আনার চাবিকাঠি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে যৌথ সম্মেলনের আয়োজন করেছে বাংলাদেশে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি (বিসিপিএস) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ। মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় গত শুক্রবার।

মানসিক রোগ আমাদের দেশের জন্য বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য সমস্যা। প্রত্যেক মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার আছে; কিন্তু নানান কারণে নাগরিকদের এ অধিকার নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। মানসিকভাবে অসুস্থদের মনঃসামাজিক সহায়তা দেয়া, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নেয়া জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, মানসিক রোগের ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় চিকিৎসার প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসার ব্যয়ও বেশি। সিংহভাগ মানুষের পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যয় বহন করা সম্ভব হয় না।

তাই চিকিৎসার ব্যয় কমানোর ক্ষেত্রে সরকারের উদ্যোগ নিতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য স্বতন্ত্র কর্মপরিকল্পনা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে তৃণমূল পর্যন্ত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে হবে। সরকারি হাসপাতালগুলো মানসিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকতে হবে বা বিভাগ খুলতে হবে।

মানসিক অসুস্থতা প্রতিরোধযোগ্য। মানসিক সুস্থতার প্রথম ধাপ হচ্ছে সচেতনতা ও রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা। তাই মানসিক রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। শরীরের মতো মনেরও যে যত্ন নেয়া প্রয়োজন সেটা মানুষকে বোঝাতে হবে। তাদের জানাতে হবে যে, শরীরে রোগ হলে যেমন চিকিৎসা নিতে হয়, মনের রোগ হলেও তেমন চিকিৎসা নিতে হয়।

back to top