alt

সম্পাদকীয়

চালতাবুনিয়ায় পাকা রাস্তা চাই

: রোববার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

যাতায়াত-যোগাযোগব্যবস্থার সঙ্গে উন্নয়নের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে টেকসই পাকা রাস্তা নির্মাণের কথা বলছে সরকার। বাস্তবতা হচ্ছে এখনও কাঁচা সড়ক রয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। আর গ্রামীণ সড়কের ৬৭ শতাংশই কাঁচা।

কাঁচা রাস্তার এমনই একটি চিত্র দেখা গেছে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামে। সেখানকার প্রায় ৪ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকা হয়নি আজও। ফলে চার গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে নিত্যদিন পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। এলাকার বাসিন্দারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত রাস্তাটি পাকা করে দেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

চালিতাবুনিয়া ও এর আশপাশের চার গ্রামের হাজারো মানুষের যাতায়াত-যোগাযোগের একমাত্র ভরসা এই কাঁচা রাস্তা। বর্ষায় রাস্তাটি চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। তখন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কৃষকরা উৎপাদিত ফসল বিক্রির জন্য বাজারে যেতে পারে না। অসুস্থ রোগী নিয়ে শহরে যেতে নাস্তানাবুদ হতে হয় স্বজনদের।

স্বাধীনতার পর ৫২ বছর পেরিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে উক্ত এলাকায় অনেক জনপ্রতিনিধিই নির্বাচিত হয়েছেন। ভোটের আগে অনেকেই হয়তো রাস্তাটি পাকা করে দেয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। বাস্তবে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়নি। এভাবেই বছরের পর বছর কেউ কথা রাখেননি।

চালিতাবুনিয়া গ্রামের মানুষের দুর্ভোগের কথা স্বীকারও করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। খুব শীঘ্রই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করে রাস্তাটি পাকা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। আমরা আশা করব এই আশ্বাস বাস্তবে রূপ নেবে, দ্রুত রাস্তাটি পাকা হবে। রাস্তাটি যেন টেকসই হয়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। দেশে সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। চালতাবুনিয়ার রাস্তা পাকাকরণের ক্ষেত্রে সেটা যেন না ঘটে।

শুধু মির্জাগঞ্জের চালিতাবুনিয়া গ্রামেই নয়, দেশের অনেক এলাকাতেই আজও কাঁচা রাস্তা রয়েছে। সরকার পর্যায়ক্রমে এসব কাঁচা রাস্তা পাকা করার ব্যবস্থা নেবে সেটা আমরা আশা করব।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

চালতাবুনিয়ায় পাকা রাস্তা চাই

রোববার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

যাতায়াত-যোগাযোগব্যবস্থার সঙ্গে উন্নয়নের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে টেকসই পাকা রাস্তা নির্মাণের কথা বলছে সরকার। বাস্তবতা হচ্ছে এখনও কাঁচা সড়ক রয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। আর গ্রামীণ সড়কের ৬৭ শতাংশই কাঁচা।

কাঁচা রাস্তার এমনই একটি চিত্র দেখা গেছে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামে। সেখানকার প্রায় ৪ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকা হয়নি আজও। ফলে চার গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে নিত্যদিন পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। এলাকার বাসিন্দারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত রাস্তাটি পাকা করে দেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

চালিতাবুনিয়া ও এর আশপাশের চার গ্রামের হাজারো মানুষের যাতায়াত-যোগাযোগের একমাত্র ভরসা এই কাঁচা রাস্তা। বর্ষায় রাস্তাটি চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। তখন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কৃষকরা উৎপাদিত ফসল বিক্রির জন্য বাজারে যেতে পারে না। অসুস্থ রোগী নিয়ে শহরে যেতে নাস্তানাবুদ হতে হয় স্বজনদের।

স্বাধীনতার পর ৫২ বছর পেরিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে উক্ত এলাকায় অনেক জনপ্রতিনিধিই নির্বাচিত হয়েছেন। ভোটের আগে অনেকেই হয়তো রাস্তাটি পাকা করে দেয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। বাস্তবে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়নি। এভাবেই বছরের পর বছর কেউ কথা রাখেননি।

চালিতাবুনিয়া গ্রামের মানুষের দুর্ভোগের কথা স্বীকারও করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। খুব শীঘ্রই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করে রাস্তাটি পাকা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। আমরা আশা করব এই আশ্বাস বাস্তবে রূপ নেবে, দ্রুত রাস্তাটি পাকা হবে। রাস্তাটি যেন টেকসই হয়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। দেশে সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। চালতাবুনিয়ার রাস্তা পাকাকরণের ক্ষেত্রে সেটা যেন না ঘটে।

শুধু মির্জাগঞ্জের চালিতাবুনিয়া গ্রামেই নয়, দেশের অনেক এলাকাতেই আজও কাঁচা রাস্তা রয়েছে। সরকার পর্যায়ক্রমে এসব কাঁচা রাস্তা পাকা করার ব্যবস্থা নেবে সেটা আমরা আশা করব।

back to top