দেশের প্লাস্টিক কারখানাগুলোতে কোনো কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ ‘সিপিডি’র এক জরিপের তথ্য থেকে জানা গেছে, দেশের প্লাস্টিক কারখানাগুলোর ৭৪ শতাংশই গ্যাস সংযোগ নিয়েছে নিয়মবহির্ভূতভাবে। নিয়ম মেনে চলছে ১৪ শতাংশ কারখানা। আর নিয়মের কোনোরকম তোয়াক্কা না করে গ্যাস সংযোগ নিয়েছে ৯০ শতাংশ ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কারখানা।
গ্যাস বিতরণের নিয়ম অনুযায়ী, কারখানায় নিয়মিত হাইড্রোলিক টেস্টিং সুবিধা, অভিজ্ঞ বয়লার পরিচালক এবং অনুমোদিত স্টোরহাউজ থাকার কথা। কিন্তু এসব নিয়ম মানার কথা কারখানা কর্তৃপক্ষ কানেই তোলেনি। কারখানার দেয়ালগুলোও আগুন প্রতিরোধী হওয়ার কথা থাকলেও সেটা করা হয়নি।
নিয়ম অনুযায়ী, মাটির নিচ দিয়ে গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপন করতে হবে। কিন্তু বেশিরভাগ প্লাস্টিক কারখানা এ নিয়ম মানেনি। কেনই বা তারা নিয়ম মানল না আর নিয়ম না মানলেও তিতাস তাদের লাইন সংযোগ দিল কেন সেটা একটা প্রশ্ন।
তিতাসের একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্লাস্টিক কারখানার মালিকরা অবৈধ উপায়ে এসব গ্যাস সঞ্চালন লাইন নেয় বলে অভিযোগ আছে। নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করে তিতাসের গ্যাস সংযোগ নেয়ার কথা থাকলেও দুর্নীতির কারণে সেটা হয় না। অবৈধ উপায়ে গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়। মিটার টেম্পারিং করা হয়। তিতাসের এ ধরনের ২২টি দুর্নীতি রয়েছে বলে চিহ্নিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্নীতি রোধে তারা ১২ দফা সুপারিশও করেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কারখানার গ্যাস পাইপলাইনগুলো মাটির নিচ দিয়ে নেয়া দরকার ছিল। কিন্তু সেটা নেয়া হয়নি। লাইনগুলো মাটির নিচ দিয়ে নেয়ার সুযোগ সেখানে নেই। ফলে, এসব জায়গাগুলো বেশি বিপজ্জনক। তাই এসব জায়গায় নিরাপত্তার বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কারখানা চলাকালীন দরজা-জানালা খুলে রাখতে হবে। কারখানাগুলোর ফায়ার ড্রিল করার ব্যবস্থা নিতে হবে মালিকদের। কোনো প্লাস্টিক কারখানা যেন ঝুঁকিপূর্ণভাবে না চলে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
দেশের প্লাস্টিক কারখানাগুলোতে কোনো কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ ‘সিপিডি’র এক জরিপের তথ্য থেকে জানা গেছে, দেশের প্লাস্টিক কারখানাগুলোর ৭৪ শতাংশই গ্যাস সংযোগ নিয়েছে নিয়মবহির্ভূতভাবে। নিয়ম মেনে চলছে ১৪ শতাংশ কারখানা। আর নিয়মের কোনোরকম তোয়াক্কা না করে গ্যাস সংযোগ নিয়েছে ৯০ শতাংশ ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কারখানা।
গ্যাস বিতরণের নিয়ম অনুযায়ী, কারখানায় নিয়মিত হাইড্রোলিক টেস্টিং সুবিধা, অভিজ্ঞ বয়লার পরিচালক এবং অনুমোদিত স্টোরহাউজ থাকার কথা। কিন্তু এসব নিয়ম মানার কথা কারখানা কর্তৃপক্ষ কানেই তোলেনি। কারখানার দেয়ালগুলোও আগুন প্রতিরোধী হওয়ার কথা থাকলেও সেটা করা হয়নি।
নিয়ম অনুযায়ী, মাটির নিচ দিয়ে গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপন করতে হবে। কিন্তু বেশিরভাগ প্লাস্টিক কারখানা এ নিয়ম মানেনি। কেনই বা তারা নিয়ম মানল না আর নিয়ম না মানলেও তিতাস তাদের লাইন সংযোগ দিল কেন সেটা একটা প্রশ্ন।
তিতাসের একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্লাস্টিক কারখানার মালিকরা অবৈধ উপায়ে এসব গ্যাস সঞ্চালন লাইন নেয় বলে অভিযোগ আছে। নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করে তিতাসের গ্যাস সংযোগ নেয়ার কথা থাকলেও দুর্নীতির কারণে সেটা হয় না। অবৈধ উপায়ে গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়। মিটার টেম্পারিং করা হয়। তিতাসের এ ধরনের ২২টি দুর্নীতি রয়েছে বলে চিহ্নিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্নীতি রোধে তারা ১২ দফা সুপারিশও করেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কারখানার গ্যাস পাইপলাইনগুলো মাটির নিচ দিয়ে নেয়া দরকার ছিল। কিন্তু সেটা নেয়া হয়নি। লাইনগুলো মাটির নিচ দিয়ে নেয়ার সুযোগ সেখানে নেই। ফলে, এসব জায়গাগুলো বেশি বিপজ্জনক। তাই এসব জায়গায় নিরাপত্তার বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কারখানা চলাকালীন দরজা-জানালা খুলে রাখতে হবে। কারখানাগুলোর ফায়ার ড্রিল করার ব্যবস্থা নিতে হবে মালিকদের। কোনো প্লাস্টিক কারখানা যেন ঝুঁকিপূর্ণভাবে না চলে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।