alt

সম্পাদকীয়

প্লাস্টিক কারখানার অবৈধ গ্যাসলাইন, ব্যবস্থা নিন

: মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশের প্লাস্টিক কারখানাগুলোতে কোনো কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ ‘সিপিডি’র এক জরিপের তথ্য থেকে জানা গেছে, দেশের প্লাস্টিক কারখানাগুলোর ৭৪ শতাংশই গ্যাস সংযোগ নিয়েছে নিয়মবহির্ভূতভাবে। নিয়ম মেনে চলছে ১৪ শতাংশ কারখানা। আর নিয়মের কোনোরকম তোয়াক্কা না করে গ্যাস সংযোগ নিয়েছে ৯০ শতাংশ ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কারখানা।

গ্যাস বিতরণের নিয়ম অনুযায়ী, কারখানায় নিয়মিত হাইড্রোলিক টেস্টিং সুবিধা, অভিজ্ঞ বয়লার পরিচালক এবং অনুমোদিত স্টোরহাউজ থাকার কথা। কিন্তু এসব নিয়ম মানার কথা কারখানা কর্তৃপক্ষ কানেই তোলেনি। কারখানার দেয়ালগুলোও আগুন প্রতিরোধী হওয়ার কথা থাকলেও সেটা করা হয়নি।

নিয়ম অনুযায়ী, মাটির নিচ দিয়ে গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপন করতে হবে। কিন্তু বেশিরভাগ প্লাস্টিক কারখানা এ নিয়ম মানেনি। কেনই বা তারা নিয়ম মানল না আর নিয়ম না মানলেও তিতাস তাদের লাইন সংযোগ দিল কেন সেটা একটা প্রশ্ন।

তিতাসের একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্লাস্টিক কারখানার মালিকরা অবৈধ উপায়ে এসব গ্যাস সঞ্চালন লাইন নেয় বলে অভিযোগ আছে। নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করে তিতাসের গ্যাস সংযোগ নেয়ার কথা থাকলেও দুর্নীতির কারণে সেটা হয় না। অবৈধ উপায়ে গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়। মিটার টেম্পারিং করা হয়। তিতাসের এ ধরনের ২২টি দুর্নীতি রয়েছে বলে চিহ্নিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্নীতি রোধে তারা ১২ দফা সুপারিশও করেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কারখানার গ্যাস পাইপলাইনগুলো মাটির নিচ দিয়ে নেয়া দরকার ছিল। কিন্তু সেটা নেয়া হয়নি। লাইনগুলো মাটির নিচ দিয়ে নেয়ার সুযোগ সেখানে নেই। ফলে, এসব জায়গাগুলো বেশি বিপজ্জনক। তাই এসব জায়গায় নিরাপত্তার বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কারখানা চলাকালীন দরজা-জানালা খুলে রাখতে হবে। কারখানাগুলোর ফায়ার ড্রিল করার ব্যবস্থা নিতে হবে মালিকদের। কোনো প্লাস্টিক কারখানা যেন ঝুঁকিপূর্ণভাবে না চলে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

প্লাস্টিক কারখানার অবৈধ গ্যাসলাইন, ব্যবস্থা নিন

মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশের প্লাস্টিক কারখানাগুলোতে কোনো কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ ‘সিপিডি’র এক জরিপের তথ্য থেকে জানা গেছে, দেশের প্লাস্টিক কারখানাগুলোর ৭৪ শতাংশই গ্যাস সংযোগ নিয়েছে নিয়মবহির্ভূতভাবে। নিয়ম মেনে চলছে ১৪ শতাংশ কারখানা। আর নিয়মের কোনোরকম তোয়াক্কা না করে গ্যাস সংযোগ নিয়েছে ৯০ শতাংশ ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কারখানা।

গ্যাস বিতরণের নিয়ম অনুযায়ী, কারখানায় নিয়মিত হাইড্রোলিক টেস্টিং সুবিধা, অভিজ্ঞ বয়লার পরিচালক এবং অনুমোদিত স্টোরহাউজ থাকার কথা। কিন্তু এসব নিয়ম মানার কথা কারখানা কর্তৃপক্ষ কানেই তোলেনি। কারখানার দেয়ালগুলোও আগুন প্রতিরোধী হওয়ার কথা থাকলেও সেটা করা হয়নি।

নিয়ম অনুযায়ী, মাটির নিচ দিয়ে গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপন করতে হবে। কিন্তু বেশিরভাগ প্লাস্টিক কারখানা এ নিয়ম মানেনি। কেনই বা তারা নিয়ম মানল না আর নিয়ম না মানলেও তিতাস তাদের লাইন সংযোগ দিল কেন সেটা একটা প্রশ্ন।

তিতাসের একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্লাস্টিক কারখানার মালিকরা অবৈধ উপায়ে এসব গ্যাস সঞ্চালন লাইন নেয় বলে অভিযোগ আছে। নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করে তিতাসের গ্যাস সংযোগ নেয়ার কথা থাকলেও দুর্নীতির কারণে সেটা হয় না। অবৈধ উপায়ে গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়। মিটার টেম্পারিং করা হয়। তিতাসের এ ধরনের ২২টি দুর্নীতি রয়েছে বলে চিহ্নিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্নীতি রোধে তারা ১২ দফা সুপারিশও করেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কারখানার গ্যাস পাইপলাইনগুলো মাটির নিচ দিয়ে নেয়া দরকার ছিল। কিন্তু সেটা নেয়া হয়নি। লাইনগুলো মাটির নিচ দিয়ে নেয়ার সুযোগ সেখানে নেই। ফলে, এসব জায়গাগুলো বেশি বিপজ্জনক। তাই এসব জায়গায় নিরাপত্তার বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কারখানা চলাকালীন দরজা-জানালা খুলে রাখতে হবে। কারখানাগুলোর ফায়ার ড্রিল করার ব্যবস্থা নিতে হবে মালিকদের। কোনো প্লাস্টিক কারখানা যেন ঝুঁকিপূর্ণভাবে না চলে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

back to top