সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রতিটি অঙ্গ-প্রতঙ্গেরই যত্নের প্রয়োজন। তবে মানবদেহের এমন কয়েকটি অঙ্গ রয়েছে যেগুলো বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হৃদযন্ত্র বা হার্ট ভালো রাখার বিকল্প নেই। বিশ্বজুড়েই মানুষের মৃত্যুর বড় একটি কারণ হৃদরোগ। বাংলাদেশে ১৭ শতাংশ মৃত্যু হয় হৃদরোগে।
গত শুক্রবার ছিল ‘বিশ্ব হার্ট দিবস’। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘ইউজ হার্ট, নোউ হার্ট’। চিকিৎবিদ্যায় হৃদরোগকে বলা হয় মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন। এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রতিবছর দুই লাখ ৭৭ হাজার মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
অনেক কারণেই মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন। সাধারণত উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, অতিরিক্ত কোলেস্টেরল, ধূমপান প্রভৃতি কারণ হৃদরোগ হতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিস, গাউট বা গেঁটে-বাত, সোরিয়াসিস, অন্ত্রের প্রদাহ এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের মতো অবস্থাগুলোও হৃদরোগ সৃষ্টি করতে পারে।
মানুষ সচেতন হলে অনেক ক্ষেত্রেই হৃদরোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে চিকিৎসকরা মনে করেন। স্বাস্থ্যকর খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম, কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়াম, জাঙ্কফুড পরিহার, ওজন ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতির মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করা যায়। তবে এক্ষেত্রে অনেকেরই অসচেতনতা রয়েছে। এর মধ্যে নানা কারণে নারীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা তুলনামূলকভাবে কম বলে অনেক বিশেষজ্ঞ অভিমত দিয়েছেন।
হৃদরোগের চিকিৎসা নিয়ে অনেকের অসচেতনতা বা ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। সাধারণ মানুষ হৃদরোগের লক্ষণ সম্পর্কে ধারণা রাখেন না। লক্ষণ দেখে দ্রুত চিকিৎসা নিলে বড় ধরনের জটিলতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, হৃদ্রোগের সাধারণ উপসর্গ হলো বুকব্যথা বা অস্বস্তি। এছাড়া শ্বাসকষ্ট, পাকস্থলীর ওপরের দিকে অসহনীয় ব্যথা অনুভব করা হতে পারে উপসর্গ। পাশাপাশি মাথা হালকা লাগা, পিঠ, পেট, গলা, বাম বাহুতে ব্যথা, ঘাড় বা চোয়ালে ব্যথা বা অস্বস্তি হলে সতর্ক হওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকরা।
দেশে এখন হৃদরোগের উন্নত চিকিৎসা আছে বলে দাবি করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করেন, চিকিৎসা খরচও আগের তুলনায় কমেছে। মানুষ সচেতন হলে, সময়মতো চিকিৎসা নিলে তারা হৃদরোগ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারে।
তবে বাস্তবতা হচ্ছে, দেশের সিংহভাগ মানুষেরই ন্যূনতম স্বাস্থ্য ব্যয় মেটানোর সামর্থ্য নেই। চিকিৎসা করাতে গিয়ে অনেক পরিবারই নিঃস্ব হয়ে পড়ে। বিশেষকরে প্রান্তিক দরিদ্র মানুষ প্রয়োজনীয় অনেক চিকিৎসা থেকেই বঞ্চিত থাকে। তাদের কথা সংশ্লিষ্টদের ভাবতে হবে। মানুষকে যেমন হৃদরোগ সম্পর্কে সচেতন করতে হবে তেমন চিকিৎসাসেবাকেও সহজলভ্য করতে হবে।
শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রতিটি অঙ্গ-প্রতঙ্গেরই যত্নের প্রয়োজন। তবে মানবদেহের এমন কয়েকটি অঙ্গ রয়েছে যেগুলো বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হৃদযন্ত্র বা হার্ট ভালো রাখার বিকল্প নেই। বিশ্বজুড়েই মানুষের মৃত্যুর বড় একটি কারণ হৃদরোগ। বাংলাদেশে ১৭ শতাংশ মৃত্যু হয় হৃদরোগে।
গত শুক্রবার ছিল ‘বিশ্ব হার্ট দিবস’। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘ইউজ হার্ট, নোউ হার্ট’। চিকিৎবিদ্যায় হৃদরোগকে বলা হয় মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন। এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রতিবছর দুই লাখ ৭৭ হাজার মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
অনেক কারণেই মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন। সাধারণত উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, অতিরিক্ত কোলেস্টেরল, ধূমপান প্রভৃতি কারণ হৃদরোগ হতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিস, গাউট বা গেঁটে-বাত, সোরিয়াসিস, অন্ত্রের প্রদাহ এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের মতো অবস্থাগুলোও হৃদরোগ সৃষ্টি করতে পারে।
মানুষ সচেতন হলে অনেক ক্ষেত্রেই হৃদরোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে চিকিৎসকরা মনে করেন। স্বাস্থ্যকর খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম, কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়াম, জাঙ্কফুড পরিহার, ওজন ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতির মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করা যায়। তবে এক্ষেত্রে অনেকেরই অসচেতনতা রয়েছে। এর মধ্যে নানা কারণে নারীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা তুলনামূলকভাবে কম বলে অনেক বিশেষজ্ঞ অভিমত দিয়েছেন।
হৃদরোগের চিকিৎসা নিয়ে অনেকের অসচেতনতা বা ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। সাধারণ মানুষ হৃদরোগের লক্ষণ সম্পর্কে ধারণা রাখেন না। লক্ষণ দেখে দ্রুত চিকিৎসা নিলে বড় ধরনের জটিলতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, হৃদ্রোগের সাধারণ উপসর্গ হলো বুকব্যথা বা অস্বস্তি। এছাড়া শ্বাসকষ্ট, পাকস্থলীর ওপরের দিকে অসহনীয় ব্যথা অনুভব করা হতে পারে উপসর্গ। পাশাপাশি মাথা হালকা লাগা, পিঠ, পেট, গলা, বাম বাহুতে ব্যথা, ঘাড় বা চোয়ালে ব্যথা বা অস্বস্তি হলে সতর্ক হওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকরা।
দেশে এখন হৃদরোগের উন্নত চিকিৎসা আছে বলে দাবি করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করেন, চিকিৎসা খরচও আগের তুলনায় কমেছে। মানুষ সচেতন হলে, সময়মতো চিকিৎসা নিলে তারা হৃদরোগ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারে।
তবে বাস্তবতা হচ্ছে, দেশের সিংহভাগ মানুষেরই ন্যূনতম স্বাস্থ্য ব্যয় মেটানোর সামর্থ্য নেই। চিকিৎসা করাতে গিয়ে অনেক পরিবারই নিঃস্ব হয়ে পড়ে। বিশেষকরে প্রান্তিক দরিদ্র মানুষ প্রয়োজনীয় অনেক চিকিৎসা থেকেই বঞ্চিত থাকে। তাদের কথা সংশ্লিষ্টদের ভাবতে হবে। মানুষকে যেমন হৃদরোগ সম্পর্কে সচেতন করতে হবে তেমন চিকিৎসাসেবাকেও সহজলভ্য করতে হবে।