দেশে প্রবীণ মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। গৃহগণনা ও জনশুমারির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মানুষ রয়েছেন এক কোটি ৯৮ লাখ। জাতিসংঘের জনসংখ্যা উন্নয়ন তহবিলের প্রাক্কলন অনুযায়ী, ২০৫০ সাল নাগাদ প্রবীণদের সংখ্যা বেড়ে হবে সাড়ে চার কোটি।
আজ ছিল বিশ্ব প্রবীণ দিবস। এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণায় প্রবীণদের জন্য প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি পূরণে প্রজন্মের ভূমিকা’।
প্রবীণ জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার নিয়ে দেশে অনেক অভাব-অভিযোগ আছে। তাদের সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবার মতো নানা চাহিদা যথাযথভাবে মেটানো যাচ্ছে না। বিশেষ করে প্রান্তিক দরিদ্রদের মধ্যে যারা প্রবীণ তারা ন্যূনতম সেবা পেতেও অনেক সময় হিমশিম খাচ্ছেন।
যেসব অসহায় মানুষের আয়ের পথ নেই তাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। সরকারি সহায়তাই তাদের একমাত্র ভরসা। প্রবীণদের সুরক্ষা দেয়ার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় কিছু কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেয়া হচ্ছে বয়স্ক ভাতা। এর পাশাপাশি বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা নারীদের জন্য ভাতা, ভিজিএফ প্রভৃতির আওতায়ও অনেকে কিছু সুবিধা পান। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, প্রবীণদের একটি বড় অংশই নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতার বাইরে রয়েছেন। বিশেষ করে শহুরে প্রবীণদের অনেকেই নিরাপত্তা কর্মসূচির বাইরে আছেন।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর যারা ভাতা পান তা অপ্রতুল। মাঝে ভাতার পরিমাণ বাড়ানো হলেও তা যথেষ্ঠ বলে প্রতীয়মান হয়নি। প্রবীণদের অসুখ-বিসুখে পথ্য আর পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার দুইয়ের চাহিদাই বাড়ে। ভাতার পরিমাণ কম হওয়ায় তাদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হয়। জীবনযাপনের খরচ বাড়ছে। যৎসামান্য টাকায় খাবার কিনলে ওষুধ জোটে না, ওষুধ কিনলে খাবার কেনার সামর্থ্য থাকে না। অন্য প্রয়োজন মেটানো তখন অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। প্রবীণদের জন্য ভাতার পরিমাণ যেমন বাড়ানো জরুরি তেমন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বাড়াতে হবে। প্রবীণদের মানবাধিকার রক্ষায় প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
দেশের অনেক প্রবীণ নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হন। জীবন সায়াহ্নে তারা কাক্সিক্ষত মর্যাদা বা অধিকার থেকে বঞ্ছিত হচ্ছেন। প্রবীণ নির্যাতনের বিষয়টি বেশির ভাগ সময় আড়ালেই রয়ে যায়। বিআইডিএসের এক জরিপ থেকে জানা যায়, দেশে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে শতকরা ৫ ভাগ শারীরিক এবং ২০ ভাগ মানসিক নির্যাতনের শিকার হন। নির্মম সত্য হচ্ছে স্বজনদের দ্বারাই তারা নির্যাতিত হন। প্রবীণ নির্যাতন বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি।
রোববার, ০১ অক্টোবর ২০২৩
দেশে প্রবীণ মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। গৃহগণনা ও জনশুমারির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মানুষ রয়েছেন এক কোটি ৯৮ লাখ। জাতিসংঘের জনসংখ্যা উন্নয়ন তহবিলের প্রাক্কলন অনুযায়ী, ২০৫০ সাল নাগাদ প্রবীণদের সংখ্যা বেড়ে হবে সাড়ে চার কোটি।
আজ ছিল বিশ্ব প্রবীণ দিবস। এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণায় প্রবীণদের জন্য প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি পূরণে প্রজন্মের ভূমিকা’।
প্রবীণ জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার নিয়ে দেশে অনেক অভাব-অভিযোগ আছে। তাদের সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবার মতো নানা চাহিদা যথাযথভাবে মেটানো যাচ্ছে না। বিশেষ করে প্রান্তিক দরিদ্রদের মধ্যে যারা প্রবীণ তারা ন্যূনতম সেবা পেতেও অনেক সময় হিমশিম খাচ্ছেন।
যেসব অসহায় মানুষের আয়ের পথ নেই তাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। সরকারি সহায়তাই তাদের একমাত্র ভরসা। প্রবীণদের সুরক্ষা দেয়ার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় কিছু কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেয়া হচ্ছে বয়স্ক ভাতা। এর পাশাপাশি বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা নারীদের জন্য ভাতা, ভিজিএফ প্রভৃতির আওতায়ও অনেকে কিছু সুবিধা পান। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, প্রবীণদের একটি বড় অংশই নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতার বাইরে রয়েছেন। বিশেষ করে শহুরে প্রবীণদের অনেকেই নিরাপত্তা কর্মসূচির বাইরে আছেন।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর যারা ভাতা পান তা অপ্রতুল। মাঝে ভাতার পরিমাণ বাড়ানো হলেও তা যথেষ্ঠ বলে প্রতীয়মান হয়নি। প্রবীণদের অসুখ-বিসুখে পথ্য আর পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার দুইয়ের চাহিদাই বাড়ে। ভাতার পরিমাণ কম হওয়ায় তাদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হয়। জীবনযাপনের খরচ বাড়ছে। যৎসামান্য টাকায় খাবার কিনলে ওষুধ জোটে না, ওষুধ কিনলে খাবার কেনার সামর্থ্য থাকে না। অন্য প্রয়োজন মেটানো তখন অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। প্রবীণদের জন্য ভাতার পরিমাণ যেমন বাড়ানো জরুরি তেমন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বাড়াতে হবে। প্রবীণদের মানবাধিকার রক্ষায় প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
দেশের অনেক প্রবীণ নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হন। জীবন সায়াহ্নে তারা কাক্সিক্ষত মর্যাদা বা অধিকার থেকে বঞ্ছিত হচ্ছেন। প্রবীণ নির্যাতনের বিষয়টি বেশির ভাগ সময় আড়ালেই রয়ে যায়। বিআইডিএসের এক জরিপ থেকে জানা যায়, দেশে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে শতকরা ৫ ভাগ শারীরিক এবং ২০ ভাগ মানসিক নির্যাতনের শিকার হন। নির্মম সত্য হচ্ছে স্বজনদের দ্বারাই তারা নির্যাতিত হন। প্রবীণ নির্যাতন বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি।