alt

সম্পাদকীয়

প্রবীণদের মানবাধিকার রক্ষায় প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে

: রোববার, ০১ অক্টোবর ২০২৩

দেশে প্রবীণ মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। গৃহগণনা ও জনশুমারির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মানুষ রয়েছেন এক কোটি ৯৮ লাখ। জাতিসংঘের জনসংখ্যা উন্নয়ন তহবিলের প্রাক্কলন অনুযায়ী, ২০৫০ সাল নাগাদ প্রবীণদের সংখ্যা বেড়ে হবে সাড়ে চার কোটি।

আজ ছিল বিশ্ব প্রবীণ দিবস। এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণায় প্রবীণদের জন্য প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি পূরণে প্রজন্মের ভূমিকা’।

প্রবীণ জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার নিয়ে দেশে অনেক অভাব-অভিযোগ আছে। তাদের সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবার মতো নানা চাহিদা যথাযথভাবে মেটানো যাচ্ছে না। বিশেষ করে প্রান্তিক দরিদ্রদের মধ্যে যারা প্রবীণ তারা ন্যূনতম সেবা পেতেও অনেক সময় হিমশিম খাচ্ছেন।

যেসব অসহায় মানুষের আয়ের পথ নেই তাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। সরকারি সহায়তাই তাদের একমাত্র ভরসা। প্রবীণদের সুরক্ষা দেয়ার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় কিছু কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেয়া হচ্ছে বয়স্ক ভাতা। এর পাশাপাশি বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা নারীদের জন্য ভাতা, ভিজিএফ প্রভৃতির আওতায়ও অনেকে কিছু সুবিধা পান। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, প্রবীণদের একটি বড় অংশই নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতার বাইরে রয়েছেন। বিশেষ করে শহুরে প্রবীণদের অনেকেই নিরাপত্তা কর্মসূচির বাইরে আছেন।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর যারা ভাতা পান তা অপ্রতুল। মাঝে ভাতার পরিমাণ বাড়ানো হলেও তা যথেষ্ঠ বলে প্রতীয়মান হয়নি। প্রবীণদের অসুখ-বিসুখে পথ্য আর পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার দুইয়ের চাহিদাই বাড়ে। ভাতার পরিমাণ কম হওয়ায় তাদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হয়। জীবনযাপনের খরচ বাড়ছে। যৎসামান্য টাকায় খাবার কিনলে ওষুধ জোটে না, ওষুধ কিনলে খাবার কেনার সামর্থ্য থাকে না। অন্য প্রয়োজন মেটানো তখন অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। প্রবীণদের জন্য ভাতার পরিমাণ যেমন বাড়ানো জরুরি তেমন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বাড়াতে হবে। প্রবীণদের মানবাধিকার রক্ষায় প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

দেশের অনেক প্রবীণ নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হন। জীবন সায়াহ্নে তারা কাক্সিক্ষত মর্যাদা বা অধিকার থেকে বঞ্ছিত হচ্ছেন। প্রবীণ নির্যাতনের বিষয়টি বেশির ভাগ সময় আড়ালেই রয়ে যায়। বিআইডিএসের এক জরিপ থেকে জানা যায়, দেশে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে শতকরা ৫ ভাগ শারীরিক এবং ২০ ভাগ মানসিক নির্যাতনের শিকার হন। নির্মম সত্য হচ্ছে স্বজনদের দ্বারাই তারা নির্যাতিত হন। প্রবীণ নির্যাতন বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

প্রবীণদের মানবাধিকার রক্ষায় প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে

রোববার, ০১ অক্টোবর ২০২৩

দেশে প্রবীণ মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। গৃহগণনা ও জনশুমারির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মানুষ রয়েছেন এক কোটি ৯৮ লাখ। জাতিসংঘের জনসংখ্যা উন্নয়ন তহবিলের প্রাক্কলন অনুযায়ী, ২০৫০ সাল নাগাদ প্রবীণদের সংখ্যা বেড়ে হবে সাড়ে চার কোটি।

আজ ছিল বিশ্ব প্রবীণ দিবস। এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণায় প্রবীণদের জন্য প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি পূরণে প্রজন্মের ভূমিকা’।

প্রবীণ জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার নিয়ে দেশে অনেক অভাব-অভিযোগ আছে। তাদের সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবার মতো নানা চাহিদা যথাযথভাবে মেটানো যাচ্ছে না। বিশেষ করে প্রান্তিক দরিদ্রদের মধ্যে যারা প্রবীণ তারা ন্যূনতম সেবা পেতেও অনেক সময় হিমশিম খাচ্ছেন।

যেসব অসহায় মানুষের আয়ের পথ নেই তাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। সরকারি সহায়তাই তাদের একমাত্র ভরসা। প্রবীণদের সুরক্ষা দেয়ার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় কিছু কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেয়া হচ্ছে বয়স্ক ভাতা। এর পাশাপাশি বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা নারীদের জন্য ভাতা, ভিজিএফ প্রভৃতির আওতায়ও অনেকে কিছু সুবিধা পান। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, প্রবীণদের একটি বড় অংশই নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতার বাইরে রয়েছেন। বিশেষ করে শহুরে প্রবীণদের অনেকেই নিরাপত্তা কর্মসূচির বাইরে আছেন।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর যারা ভাতা পান তা অপ্রতুল। মাঝে ভাতার পরিমাণ বাড়ানো হলেও তা যথেষ্ঠ বলে প্রতীয়মান হয়নি। প্রবীণদের অসুখ-বিসুখে পথ্য আর পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার দুইয়ের চাহিদাই বাড়ে। ভাতার পরিমাণ কম হওয়ায় তাদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হয়। জীবনযাপনের খরচ বাড়ছে। যৎসামান্য টাকায় খাবার কিনলে ওষুধ জোটে না, ওষুধ কিনলে খাবার কেনার সামর্থ্য থাকে না। অন্য প্রয়োজন মেটানো তখন অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। প্রবীণদের জন্য ভাতার পরিমাণ যেমন বাড়ানো জরুরি তেমন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বাড়াতে হবে। প্রবীণদের মানবাধিকার রক্ষায় প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

দেশের অনেক প্রবীণ নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হন। জীবন সায়াহ্নে তারা কাক্সিক্ষত মর্যাদা বা অধিকার থেকে বঞ্ছিত হচ্ছেন। প্রবীণ নির্যাতনের বিষয়টি বেশির ভাগ সময় আড়ালেই রয়ে যায়। বিআইডিএসের এক জরিপ থেকে জানা যায়, দেশে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে শতকরা ৫ ভাগ শারীরিক এবং ২০ ভাগ মানসিক নির্যাতনের শিকার হন। নির্মম সত্য হচ্ছে স্বজনদের দ্বারাই তারা নির্যাতিত হন। প্রবীণ নির্যাতন বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি।

back to top