দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ছোট যমুনা নদী খনন করা হয়নি বহু বছর ধরে। এতে নদীতে পলি জমে কমে গেছে নাব্য। প্রতি বর্ষায় প্লাবিত হচ্ছে সংশ্লিষ্ট এলাকা, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রবি শস্যসহ অন্যান্য ফসল। স্থানীয় বাসিন্দারা নদীটি খনন করার দাবি জানিয়েছে। এ নিয়ে গতকাল রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কেবল যে দেশের এই একটি নদীই খনন করা জরুরি তা নয়। অনেক নদ-নদীই খনন করা দরকার। নদীতে পলি জমে প্রাকৃতিক নিয়মে। উজান থেকে শুধু পানিই আসে না। পলি জমে জমেই এই ব-দ্বীপ তৈরি হয়েছে। পলি যেমন নতুন ভূমি তৈরি করে তেমন নৌপথও রুদ্ধ করে। নিয়মিত খনন করা না হলে বর্ষায় বন্যা ও শুষ্ক মৌসুমে নদ-নদীতে নাব্য সংকট দেখা দেয়। শুষ্ক মৌসুমে নৌপথগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতেকরে নদীকেন্দ্রীক জনজীবন হয়ে পড়ে স্থবির। শুকনো মৌসুমে জনসাধারণের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়, সময় ও অর্থের অপচয় হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) অনেক স্থানেই নদ-নদী ড্রেজিং করে। তবে তাতে সুফল কতটা মেলে সেই প্রশ্ন রয়েছে। অনেকে অভিযোগ করেন, নদ-নদী খননে বিআইডব্লিউটির কাজে পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। প্রশ্ন রয়েছে তাদের যোগ্যতা ও সক্ষমতা নিয়ে। দেশে হাজার হাজার কিলোমিটার নৌপথ হারিয়ে গেছে। এজন্য সংস্থাটির ব্যর্থতাকে দায়ী করেন অনেকে। নৌপথ রক্ষণাবেক্ষণে তাদের গা-ছাড়া ভাবের খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
আমরা বলতে চাই, ফুলবাড়ীতে ছোট যমুনা নদী দ্রুত খনন করা হোক। নদী খনন করা হলে সেখান মানুষের দুর্ভোগের অবসান হবে বলে আশা করা যায়। পাশাপাশি দেশের অন্যান্য নদ-নদীও খনন করতে হবে। নদী বাঁচাতে, পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ধরে রাখতে এর বিকল্প নেই। খনন কাজে কোনো গাফিলতি কাম্য নয়।
পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করলে অনেক নদ-নদীই রক্ষা করা সম্ভব বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। আর এ কাজের জন্য দরকার দূরদর্শীতা ও দায়িত্বশীলতা। নদী খনন করতে হবে গভীরভাবে। নদীর তলদেশ থেকে ওঠানো পলি যেন আবার নদীতে গিয়ে না জমে সেজন্য চাই সঠিক ব্যবস্থাপনা। এজন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ছোট যমুনা নদী খনন করা হয়নি বহু বছর ধরে। এতে নদীতে পলি জমে কমে গেছে নাব্য। প্রতি বর্ষায় প্লাবিত হচ্ছে সংশ্লিষ্ট এলাকা, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রবি শস্যসহ অন্যান্য ফসল। স্থানীয় বাসিন্দারা নদীটি খনন করার দাবি জানিয়েছে। এ নিয়ে গতকাল রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কেবল যে দেশের এই একটি নদীই খনন করা জরুরি তা নয়। অনেক নদ-নদীই খনন করা দরকার। নদীতে পলি জমে প্রাকৃতিক নিয়মে। উজান থেকে শুধু পানিই আসে না। পলি জমে জমেই এই ব-দ্বীপ তৈরি হয়েছে। পলি যেমন নতুন ভূমি তৈরি করে তেমন নৌপথও রুদ্ধ করে। নিয়মিত খনন করা না হলে বর্ষায় বন্যা ও শুষ্ক মৌসুমে নদ-নদীতে নাব্য সংকট দেখা দেয়। শুষ্ক মৌসুমে নৌপথগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতেকরে নদীকেন্দ্রীক জনজীবন হয়ে পড়ে স্থবির। শুকনো মৌসুমে জনসাধারণের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়, সময় ও অর্থের অপচয় হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) অনেক স্থানেই নদ-নদী ড্রেজিং করে। তবে তাতে সুফল কতটা মেলে সেই প্রশ্ন রয়েছে। অনেকে অভিযোগ করেন, নদ-নদী খননে বিআইডব্লিউটির কাজে পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। প্রশ্ন রয়েছে তাদের যোগ্যতা ও সক্ষমতা নিয়ে। দেশে হাজার হাজার কিলোমিটার নৌপথ হারিয়ে গেছে। এজন্য সংস্থাটির ব্যর্থতাকে দায়ী করেন অনেকে। নৌপথ রক্ষণাবেক্ষণে তাদের গা-ছাড়া ভাবের খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
আমরা বলতে চাই, ফুলবাড়ীতে ছোট যমুনা নদী দ্রুত খনন করা হোক। নদী খনন করা হলে সেখান মানুষের দুর্ভোগের অবসান হবে বলে আশা করা যায়। পাশাপাশি দেশের অন্যান্য নদ-নদীও খনন করতে হবে। নদী বাঁচাতে, পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ধরে রাখতে এর বিকল্প নেই। খনন কাজে কোনো গাফিলতি কাম্য নয়।
পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করলে অনেক নদ-নদীই রক্ষা করা সম্ভব বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। আর এ কাজের জন্য দরকার দূরদর্শীতা ও দায়িত্বশীলতা। নদী খনন করতে হবে গভীরভাবে। নদীর তলদেশ থেকে ওঠানো পলি যেন আবার নদীতে গিয়ে না জমে সেজন্য চাই সঠিক ব্যবস্থাপনা। এজন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।