alt

সম্পাদকীয়

শিশুর সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য করতে হবে বিনিয়োগ

: সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩

মানুষ মাত্রই উন্নত ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেন। মানুষের বসবাসের অনন্য এক গ্রহ এই পৃথিবী সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক সেটা আমরা সবাই চাই। মঙ্গলময় একটি বিশ্ব গড়তে হলে আগামী প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে ভবিষ্যতের কাণ্ডারি হিসেবে। অর্থাৎ শিশুর উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে।

শিশুর ভবিষ্যৎ উন্নত হবে, সে মঙ্গলময় একটি বিশ্বে বসবাস করবে- এমন স্বপ্ন দেখেন সবাই। তবে শিশুর ভবিষ্যৎকে উন্নত আর উজ্জ্বল করার স্বপ্ন দেখাই যথেষ্ট নয়। এই স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ করতে হবে। শিশুর সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য করতে হবে বিনিয়োগ।

আজ (২ অক্টোবর) বিশ্ব শিশু দিবস। প্রতি বছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্ব শিশু দিবস পালন করা হয়। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘শিশুর জন্য বিনিয়োগ করি, ভবিষ্যতের বিশ্ব গড়ি’।

পাশাপাশি ২ থেকে ৮ অক্টোবর পালন করা হবে শিশু অধিকার সপ্তাহ। এর লক্ষ্য হচ্ছে শিশুর অধিকার, সুরক্ষা এবং শিশুর উন্নয়ন ও বিকাশে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদ্যোগী ও সচেতন করা।

শিশুর উন্নতির ধারণা কেবল অর্থনৈতিক উন্নয়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। শিশুর অধিকারের ধারণাটি ব্যাপক ও বিস্তৃত। নানাভাবে দেশের শিশুদের বড় একটি অংশ অধিকার থেকে হচ্ছে বঞ্ছিত। অনেকেই লেখাপড়া শেষ করতে পারছে না, হচ্ছে বাল্যবিয়ের শিকার। আর্থসামাজিক টানাপোড়নের কারণে ঝরে পড়ছে অনেক শিক্ষার্থী।

অনেক সংকটের সঙ্গে যোগ হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট। এ কারণে অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে দেশের শিশুরা। যে কোন বিপর্যয়ে শিশুরাই সবচয়ে বড় হুমকিতে থাকে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপর্যয়ের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ঘটেনি। বন্যা, নদী ভাঙন, বিভিন্ন মাত্রার দূষণ শিশুদের ওপর প্রত্যক্ষভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে বিভিন্ন সময় জানা গেছে। বিভিন্ন গবেষণাতেও বিষয়টি ফুটে উঠেছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদ মোকাবিলা না করা গেলে কোন উন্নয়নই টেকসই হবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশু স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং শিক্ষায় বেশি বিনিয়োগ করা গেলে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে শিশুদের সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা যেতে পারে। আগামী প্রজন্মের সুরক্ষার স্বার্থে নীতিনির্ধারকরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে সেটা আমাদের প্রত্যাশা।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

শিশুর সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য করতে হবে বিনিয়োগ

সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩

মানুষ মাত্রই উন্নত ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেন। মানুষের বসবাসের অনন্য এক গ্রহ এই পৃথিবী সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক সেটা আমরা সবাই চাই। মঙ্গলময় একটি বিশ্ব গড়তে হলে আগামী প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে ভবিষ্যতের কাণ্ডারি হিসেবে। অর্থাৎ শিশুর উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে।

শিশুর ভবিষ্যৎ উন্নত হবে, সে মঙ্গলময় একটি বিশ্বে বসবাস করবে- এমন স্বপ্ন দেখেন সবাই। তবে শিশুর ভবিষ্যৎকে উন্নত আর উজ্জ্বল করার স্বপ্ন দেখাই যথেষ্ট নয়। এই স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ করতে হবে। শিশুর সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য করতে হবে বিনিয়োগ।

আজ (২ অক্টোবর) বিশ্ব শিশু দিবস। প্রতি বছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্ব শিশু দিবস পালন করা হয়। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘শিশুর জন্য বিনিয়োগ করি, ভবিষ্যতের বিশ্ব গড়ি’।

পাশাপাশি ২ থেকে ৮ অক্টোবর পালন করা হবে শিশু অধিকার সপ্তাহ। এর লক্ষ্য হচ্ছে শিশুর অধিকার, সুরক্ষা এবং শিশুর উন্নয়ন ও বিকাশে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদ্যোগী ও সচেতন করা।

শিশুর উন্নতির ধারণা কেবল অর্থনৈতিক উন্নয়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। শিশুর অধিকারের ধারণাটি ব্যাপক ও বিস্তৃত। নানাভাবে দেশের শিশুদের বড় একটি অংশ অধিকার থেকে হচ্ছে বঞ্ছিত। অনেকেই লেখাপড়া শেষ করতে পারছে না, হচ্ছে বাল্যবিয়ের শিকার। আর্থসামাজিক টানাপোড়নের কারণে ঝরে পড়ছে অনেক শিক্ষার্থী।

অনেক সংকটের সঙ্গে যোগ হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট। এ কারণে অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে দেশের শিশুরা। যে কোন বিপর্যয়ে শিশুরাই সবচয়ে বড় হুমকিতে থাকে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপর্যয়ের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ঘটেনি। বন্যা, নদী ভাঙন, বিভিন্ন মাত্রার দূষণ শিশুদের ওপর প্রত্যক্ষভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে বিভিন্ন সময় জানা গেছে। বিভিন্ন গবেষণাতেও বিষয়টি ফুটে উঠেছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদ মোকাবিলা না করা গেলে কোন উন্নয়নই টেকসই হবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশু স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং শিক্ষায় বেশি বিনিয়োগ করা গেলে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে শিশুদের সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা যেতে পারে। আগামী প্রজন্মের সুরক্ষার স্বার্থে নীতিনির্ধারকরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে সেটা আমাদের প্রত্যাশা।

back to top