alt

opinion » editorial

কৃষিঋণ বিতরণে অনিয়ম বন্ধে ব্যবস্থা নিন

: বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মোহনপুর ব্লকের কৃষি দপ্তরে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ব্যাংক থেকে ঋণ পাইয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন কৃষকদের। তিনি ১ লাখ টাকা ঋণ নিলে ৫ হাজার আর ২ লাখ নিলে ১০ হাজার টাকা জামানত নেন। এই হিসাবে সাতগাঁও, তীরচর, বাতাঘাসী গ্রামের ৪০ জন কৃষকের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নিয়েছেন। সাত দিনের কথা বলে ছয় মাসেও আর টাকা দেননি। কৃষকরা টাকা চাইতে গেলে তিনি টালবাহানা করছেন এবং হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। কিছুদিন ধরে তার কোনো খোঁজও পাওয়া যাচ্ছে না। ভুক্তভোগী কৃষকরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ধরনা দিয়েও সুরাহা পাননি।

কৃষকরা ফসল উৎপাদনের মৌসুমে অনেক সময় টাকা জোগাড় করতে পারেন না। তখন যদি তাদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে তাদের ফসল ফলানোর কাজে আর ব্যাঘাত ঘটে না। অনেক সময় ক্ষুদ্র প্রান্তিক ও বর্গাচাষিরা ধান, শাকসবজি, ফল ও ফুল চাষের জন্য শুধু ফসল বন্ধক রেখে জামানতবিহীন সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। আর ঋণ তারা ব্যাংক থেকে পান। যে কারণে কৃষিঋণ পেতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন কৃষকরা।

কৃষিঋণ পেতে যদি কৃষককে ঘুষ দিতে হয়, একটা অংশ যদি কর্মকর্তাদের পেটে চলে যায় তাহলে কৃষকরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ঋণের টাকা নিয়ে কৃষক চাষাবাদ করবেন। তারপর ফসল ঘরে উঠলে সেই টাকা সুদে-আসলে ফেরত দিতে হবে। ঋণ হিসেবে কৃষকরা যে টাকা পাওয়ার কথা, সেটা যদি তারা না পান তাহলে তো তাদের ফসল উৎপাদন কমে যাবে। ঋণ পরিশোধের সক্ষমতাও ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।

ঋণ দেয়ার নামে ‘জামানত’ নেয়ার ফাঁদ থেকে চান্দিনা উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের উদ্ধার করতে হবে। উপজেলার মোহনপুর ব্লকের কৃষি দপ্তরে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাংক থেকে ঋণ পাইয়ে দেয়ার নামে যে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে তা আমলে নেয়া হবে এটা আমরা আশা করব। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখে অভিযোগের সত্যতা মিললে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ‘জামানত’র নামে যে ৪০ জন কৃষকের কাছ থেকে পাঁচ হাজার ও ১০ করে টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে, তা কৃষকদের ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

শুধু চান্দিনায় নয়, অনেক এলাকায় কৃষকদের ব্যাংক ঋণ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে একশ্রেণীর অসাধু কৃষি ও ব্যাংক কর্মকর্তা কৃষকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন। ঋণ দেয়ার নামে কৃষকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার মতো অনিয়ম ও দুর্নীতি দূর করতে কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিয়েছে- এটা আমরা দেখতে চাই।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

কৃষিঋণ বিতরণে অনিয়ম বন্ধে ব্যবস্থা নিন

বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মোহনপুর ব্লকের কৃষি দপ্তরে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ব্যাংক থেকে ঋণ পাইয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন কৃষকদের। তিনি ১ লাখ টাকা ঋণ নিলে ৫ হাজার আর ২ লাখ নিলে ১০ হাজার টাকা জামানত নেন। এই হিসাবে সাতগাঁও, তীরচর, বাতাঘাসী গ্রামের ৪০ জন কৃষকের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নিয়েছেন। সাত দিনের কথা বলে ছয় মাসেও আর টাকা দেননি। কৃষকরা টাকা চাইতে গেলে তিনি টালবাহানা করছেন এবং হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। কিছুদিন ধরে তার কোনো খোঁজও পাওয়া যাচ্ছে না। ভুক্তভোগী কৃষকরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ধরনা দিয়েও সুরাহা পাননি।

কৃষকরা ফসল উৎপাদনের মৌসুমে অনেক সময় টাকা জোগাড় করতে পারেন না। তখন যদি তাদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে তাদের ফসল ফলানোর কাজে আর ব্যাঘাত ঘটে না। অনেক সময় ক্ষুদ্র প্রান্তিক ও বর্গাচাষিরা ধান, শাকসবজি, ফল ও ফুল চাষের জন্য শুধু ফসল বন্ধক রেখে জামানতবিহীন সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। আর ঋণ তারা ব্যাংক থেকে পান। যে কারণে কৃষিঋণ পেতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন কৃষকরা।

কৃষিঋণ পেতে যদি কৃষককে ঘুষ দিতে হয়, একটা অংশ যদি কর্মকর্তাদের পেটে চলে যায় তাহলে কৃষকরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ঋণের টাকা নিয়ে কৃষক চাষাবাদ করবেন। তারপর ফসল ঘরে উঠলে সেই টাকা সুদে-আসলে ফেরত দিতে হবে। ঋণ হিসেবে কৃষকরা যে টাকা পাওয়ার কথা, সেটা যদি তারা না পান তাহলে তো তাদের ফসল উৎপাদন কমে যাবে। ঋণ পরিশোধের সক্ষমতাও ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।

ঋণ দেয়ার নামে ‘জামানত’ নেয়ার ফাঁদ থেকে চান্দিনা উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের উদ্ধার করতে হবে। উপজেলার মোহনপুর ব্লকের কৃষি দপ্তরে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাংক থেকে ঋণ পাইয়ে দেয়ার নামে যে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে তা আমলে নেয়া হবে এটা আমরা আশা করব। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখে অভিযোগের সত্যতা মিললে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ‘জামানত’র নামে যে ৪০ জন কৃষকের কাছ থেকে পাঁচ হাজার ও ১০ করে টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে, তা কৃষকদের ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

শুধু চান্দিনায় নয়, অনেক এলাকায় কৃষকদের ব্যাংক ঋণ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে একশ্রেণীর অসাধু কৃষি ও ব্যাংক কর্মকর্তা কৃষকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন। ঋণ দেয়ার নামে কৃষকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার মতো অনিয়ম ও দুর্নীতি দূর করতে কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিয়েছে- এটা আমরা দেখতে চাই।

back to top