alt

সম্পাদকীয়

দূষণ রোধে সমন্বিত পরিকল্পনা থাকতে হবে

: রোববার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩

বায়ুর মানদন্ডে বিশ্বের মধ্যে রাজধানী ঢাকার অবস্থান সুখকর নয়। বিশ্বের যেসব শহরে বেশি বায়ুদূষণ হয় সেগুলোর মধ্যে ঢাকা অন্যতম। দূষণ নিয়ে যখনই কোনো আন্তর্জাতিক স্তরে গবেষণা হয়, তখনই রাজধানী ঢাকা ওপরের দিকে স্থান পায়।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার বিশ্বের বিভিন্ন শহরের বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত প্রকাশ করে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচকে প্রায় প্রতিদিন ঢাকার বাতাস থাকে অস্বাস্থ্যকর।

ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই (পিএম ২.৫) দূষণের প্রধান উৎস। এখন শুষ্ক মৌসুম। এই মৌসুমে রাজধানীর বায়ুর মান বরাবরই বিপজ্জনক রূপ ধারণ করে। শীত মৌসুমের আগে কুয়াশার কারণে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেড়ে যায়, তাতে জমা হয় মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর সূক্ষ্ম বস্তুকণা।

কোনো নগর দূষিত হলে সেখানকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বায়ুদূষণের কারণে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। প্রশ্ন হচ্ছে বায়ুদূষণ কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না।

বাস্তবতা হচ্ছে রাতারাতি বায়ুদূষণ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। তবে দূষণমুক্ত নগরী গড়ে তোলার প্রচেষ্টা জারি রাখতে হবে। হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। অনেকের মতে বায়ুদূষণকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সংকট হিসেবে দেখতে হবে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দূষণ রোধে প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

দূষণ থেকে রক্ষা পেতে হলে দূষণের উৎসগুলো বন্ধ করতে হবে সবার আগে। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যেসব কারখানা বায়ুদূষণের জন্য দায়ী সেগুলোতে নজরদারি চালাতে হবে। নানান পর্যায়ে নির্মাণ কাজ চলছে। চলমান নির্মাণকাজ বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বায়ুর মান রক্ষা করে কিভাবে নির্মাণ কাজ এগিয়ে নেয়া যায় সেই ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলায় মনোযোগী হতে হবে। উন্নয়ন যেমন জরুরি, পরিবেশও তেমন জরুরি। পরিবেশের কথা ভুলে গিয়ে উন্নয়ন করলে সেটা টেকসই হবে না। বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ করে টেকসই উন্নয়ন ঘটানোর উপায় বের করতে হবে। রাজধানীসহ দেশের বড় বড় শহরে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলা জরুরি। সব ধরনের দূষণ রোধে সমন্বিত পরিকল্পনা থাকা ও তা বাস্তবায়ন করা জরুরি।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

দূষণ রোধে সমন্বিত পরিকল্পনা থাকতে হবে

রোববার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩

বায়ুর মানদন্ডে বিশ্বের মধ্যে রাজধানী ঢাকার অবস্থান সুখকর নয়। বিশ্বের যেসব শহরে বেশি বায়ুদূষণ হয় সেগুলোর মধ্যে ঢাকা অন্যতম। দূষণ নিয়ে যখনই কোনো আন্তর্জাতিক স্তরে গবেষণা হয়, তখনই রাজধানী ঢাকা ওপরের দিকে স্থান পায়।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার বিশ্বের বিভিন্ন শহরের বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত প্রকাশ করে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচকে প্রায় প্রতিদিন ঢাকার বাতাস থাকে অস্বাস্থ্যকর।

ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই (পিএম ২.৫) দূষণের প্রধান উৎস। এখন শুষ্ক মৌসুম। এই মৌসুমে রাজধানীর বায়ুর মান বরাবরই বিপজ্জনক রূপ ধারণ করে। শীত মৌসুমের আগে কুয়াশার কারণে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেড়ে যায়, তাতে জমা হয় মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর সূক্ষ্ম বস্তুকণা।

কোনো নগর দূষিত হলে সেখানকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বায়ুদূষণের কারণে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। প্রশ্ন হচ্ছে বায়ুদূষণ কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না।

বাস্তবতা হচ্ছে রাতারাতি বায়ুদূষণ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। তবে দূষণমুক্ত নগরী গড়ে তোলার প্রচেষ্টা জারি রাখতে হবে। হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। অনেকের মতে বায়ুদূষণকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সংকট হিসেবে দেখতে হবে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দূষণ রোধে প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

দূষণ থেকে রক্ষা পেতে হলে দূষণের উৎসগুলো বন্ধ করতে হবে সবার আগে। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যেসব কারখানা বায়ুদূষণের জন্য দায়ী সেগুলোতে নজরদারি চালাতে হবে। নানান পর্যায়ে নির্মাণ কাজ চলছে। চলমান নির্মাণকাজ বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বায়ুর মান রক্ষা করে কিভাবে নির্মাণ কাজ এগিয়ে নেয়া যায় সেই ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলায় মনোযোগী হতে হবে। উন্নয়ন যেমন জরুরি, পরিবেশও তেমন জরুরি। পরিবেশের কথা ভুলে গিয়ে উন্নয়ন করলে সেটা টেকসই হবে না। বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ করে টেকসই উন্নয়ন ঘটানোর উপায় বের করতে হবে। রাজধানীসহ দেশের বড় বড় শহরে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলা জরুরি। সব ধরনের দূষণ রোধে সমন্বিত পরিকল্পনা থাকা ও তা বাস্তবায়ন করা জরুরি।

back to top