alt

opinion » editorial

নির্ধারিত মেয়াদে প্রকল্পের কাজ শেষ করা জরুরি

: মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে। তখন ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫০ কোটি টাকা। কাজ দেয়া হয় জিকেবিপিএল ও এসসিএল জয়েন্ট ভেঞ্চার নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে।

কথা ছিল হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হবে ২০২১ সালের জুন মাসে। প্রায় আড়াই বছর আগে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে। কাজ শেষ হয়নি। এই সময়ের মধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে তিন দফা। তারপরও কাজ শেষ করা যায়নি।

সরকারের বেশিরভাগ প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় ও ব্যয় বাড়ার প্রবণতা দেখা যায়। প্রকল্পের গতি কেন ধীর আর ব্যয় কেন বাড়ে সেটার ব্যাখ্যাও একেক সংস্থা দেয়। আমরা বলতে চাই, সব দিক বিবেচনা করেই একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। সেটা বাস্তবায়নে কী বাধা আসতে পারে সেটা সমীক্ষা করার সময়ই জানার কথা। তার ভিত্তিতে প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় নির্ধারণ করা হয়। অথচ বাস্তবে মেয়াদ ফুরিয়ে যায় কিন্তু কাজ শেষ হয় না। দফায় দফায় সময় যে নেয়া হয় তাতেও কাজ শেষ হয় না। এ এক অমোঘ নিয়মে পরিণত হয়েছে যেন।

যথাসময়ে কাজ শেষ করতে না পারার বহু নজির দেশে রয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা একটি অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। প্রকল্পের সময় বা ব্যয় বাড়লেও দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রে কাজের মান ভালো হয় না। ফলে জনদুর্ভোগ দূর হয় না।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই নির্দেশনা কতটুকু মানা হয় সেটা একটা প্রশ্ন।

আমরা বলতে চাই, সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোর অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। কোনো প্রকল্পের মেয়াদ বা ব্যয় বাড়ানোর আগে সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহি আদায় করা দরকার। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারলে এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার যে কাজ চলছে তা দ্রুত শেষ করতে হবে। এতে করে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনসাধারণ উপকৃত হবে।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

নির্ধারিত মেয়াদে প্রকল্পের কাজ শেষ করা জরুরি

মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে। তখন ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫০ কোটি টাকা। কাজ দেয়া হয় জিকেবিপিএল ও এসসিএল জয়েন্ট ভেঞ্চার নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে।

কথা ছিল হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হবে ২০২১ সালের জুন মাসে। প্রায় আড়াই বছর আগে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে। কাজ শেষ হয়নি। এই সময়ের মধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে তিন দফা। তারপরও কাজ শেষ করা যায়নি।

সরকারের বেশিরভাগ প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় ও ব্যয় বাড়ার প্রবণতা দেখা যায়। প্রকল্পের গতি কেন ধীর আর ব্যয় কেন বাড়ে সেটার ব্যাখ্যাও একেক সংস্থা দেয়। আমরা বলতে চাই, সব দিক বিবেচনা করেই একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। সেটা বাস্তবায়নে কী বাধা আসতে পারে সেটা সমীক্ষা করার সময়ই জানার কথা। তার ভিত্তিতে প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় নির্ধারণ করা হয়। অথচ বাস্তবে মেয়াদ ফুরিয়ে যায় কিন্তু কাজ শেষ হয় না। দফায় দফায় সময় যে নেয়া হয় তাতেও কাজ শেষ হয় না। এ এক অমোঘ নিয়মে পরিণত হয়েছে যেন।

যথাসময়ে কাজ শেষ করতে না পারার বহু নজির দেশে রয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা একটি অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। প্রকল্পের সময় বা ব্যয় বাড়লেও দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রে কাজের মান ভালো হয় না। ফলে জনদুর্ভোগ দূর হয় না।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই নির্দেশনা কতটুকু মানা হয় সেটা একটা প্রশ্ন।

আমরা বলতে চাই, সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোর অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। কোনো প্রকল্পের মেয়াদ বা ব্যয় বাড়ানোর আগে সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহি আদায় করা দরকার। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারলে এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার যে কাজ চলছে তা দ্রুত শেষ করতে হবে। এতে করে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনসাধারণ উপকৃত হবে।

back to top