alt

মতামত » সম্পাদকীয়

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিন

: শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

গত মঙ্গলবার কক্সবাজারের উখিয়ায় তিনটি আশ্রয়শিবিরে সাত ঘণ্টার ব্যবধানে চারজন রোহিঙ্গা খুন হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) হামলায় এসব রোহিঙ্গা মারা গেছেন। হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন দুইজন রোহিঙ্গা। গত দুই সপ্তাহে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৯ জন হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে তৈরি হয়েছে ৩৪টি আশ্রয় শিবির। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আশ্রয় শিবির এটি। আশ্রয় শিবিরে হত্যা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেই চলেছে। গত ছয় বছরে রোহিঙ্গা সংগঠনগুলোর নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের জেরে ১৭০ জনের মতো খুন হয়েছে। রাতের আঁধারে সক্রিয় হয়ে ওঠে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী। তাদের বিবাদে তটস্থ থাকে আশ্রয় শিবিরের বাসিন্দারা। তাদের কথামতো না চললে ক্যাম্পে আশ্রিত মানুষদের বরণ করতে হয় করুণ পরিণতি। অভিযোগ রয়েছে, এসব সশস্ত্র গোষ্ঠীর অনেকেই চায় না যে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যাক।

শুধু যে আধিপত্য বিস্তারের জন্যই ক্যাম্পে রক্ত ঝরছে তা নয়। সেখানে বহুমাত্রিক অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। পারিবারিক বিরোধের কারণে যেমন হত্যাকান্ড ঘটছে, তেমনি ঘটছে রাজনৈতিক কারণেও। গুম, মাদক চোরাচালান ও অপহরণসহ নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এসব অপরাধমূলক কর্মকান্ড ক্যাম্পের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না। এর প্রভাব পড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর।

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। শরণার্থী শিবিরে অবস্থানরত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখেরও বেশি। তার বিপরীতে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনীর সদস্য সংখ্যা কম। যে হারে অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে তাতে সীমিতসংখ্যক নিরাপত্তা সদস্য দিয়ে এতসংখ্যক রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।

ক্যাম্পে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। চালাতে হবে কঠোর নজরদারি। সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো দুর্বলতা আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। ক্যাম্পগুলোতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা জরুরি। সেটা হলে রাতের বেলায় সশস্ত্র বাহিনীগুলোর কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতে পারে। ক্যাম্পের নিরাপত্তার জন্য যা যা করণীয় তা দ্রুত করতে হবে। ক্যাম্পে চলাচলের রাস্তা সরু হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ কঠিন হয়ে পড়েছে। রাস্তাগুলো প্রশস্ত করা যায় কিনা- সেটা ভেবে দেখতে হবে।

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিন

শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

গত মঙ্গলবার কক্সবাজারের উখিয়ায় তিনটি আশ্রয়শিবিরে সাত ঘণ্টার ব্যবধানে চারজন রোহিঙ্গা খুন হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) হামলায় এসব রোহিঙ্গা মারা গেছেন। হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন দুইজন রোহিঙ্গা। গত দুই সপ্তাহে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৯ জন হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে তৈরি হয়েছে ৩৪টি আশ্রয় শিবির। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আশ্রয় শিবির এটি। আশ্রয় শিবিরে হত্যা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেই চলেছে। গত ছয় বছরে রোহিঙ্গা সংগঠনগুলোর নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের জেরে ১৭০ জনের মতো খুন হয়েছে। রাতের আঁধারে সক্রিয় হয়ে ওঠে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী। তাদের বিবাদে তটস্থ থাকে আশ্রয় শিবিরের বাসিন্দারা। তাদের কথামতো না চললে ক্যাম্পে আশ্রিত মানুষদের বরণ করতে হয় করুণ পরিণতি। অভিযোগ রয়েছে, এসব সশস্ত্র গোষ্ঠীর অনেকেই চায় না যে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যাক।

শুধু যে আধিপত্য বিস্তারের জন্যই ক্যাম্পে রক্ত ঝরছে তা নয়। সেখানে বহুমাত্রিক অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। পারিবারিক বিরোধের কারণে যেমন হত্যাকান্ড ঘটছে, তেমনি ঘটছে রাজনৈতিক কারণেও। গুম, মাদক চোরাচালান ও অপহরণসহ নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এসব অপরাধমূলক কর্মকান্ড ক্যাম্পের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না। এর প্রভাব পড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর।

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। শরণার্থী শিবিরে অবস্থানরত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখেরও বেশি। তার বিপরীতে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনীর সদস্য সংখ্যা কম। যে হারে অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে তাতে সীমিতসংখ্যক নিরাপত্তা সদস্য দিয়ে এতসংখ্যক রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।

ক্যাম্পে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। চালাতে হবে কঠোর নজরদারি। সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো দুর্বলতা আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। ক্যাম্পগুলোতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা জরুরি। সেটা হলে রাতের বেলায় সশস্ত্র বাহিনীগুলোর কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতে পারে। ক্যাম্পের নিরাপত্তার জন্য যা যা করণীয় তা দ্রুত করতে হবে। ক্যাম্পে চলাচলের রাস্তা সরু হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ কঠিন হয়ে পড়েছে। রাস্তাগুলো প্রশস্ত করা যায় কিনা- সেটা ভেবে দেখতে হবে।

back to top